
আজকে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কি সে বিষয়ে জানবো। সহজভাবে বলতে গেলে টেক্ট বা নকশা ব্যবহার করে সুন্দর এবং মানসম্মত চিত্রকর্ম তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়ে থাকে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আপনি নিশ্চই সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চিত্র দেখতে পান, বিভিন্ন কোম্পানির এড দেখতে পান ।এই যে চিত্রগুলো আপনি দেখতে পান এই চিত্রগুলোকেই বলা হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। আগের যুগে যে চিত্রকর্মগুলো শিল্পীরা হাতে একে তৈরি করত এখন সেইসব জিনিস তৈরি করা হচ্ছে কম্পিউটারের কিছু অসাধারন সফটঅয়্যার দিয়ে।এতে করে চিত্রগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত করা সম্ভব হচ্ছে। কিছু সময় উপযোগী গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটঅয়্যার হচ্ছে অ্যাডোভ ফটোশপ,ইলাস্ট্রেটর ।
আরো দেখুন:গ্রাফিক ডিজাইন করে কিভাবে আয় করবেন?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে কি! আচ্ছা তার আগে আমাকে বলুন এমন কিছু কি আছে যাতে গ্রাফিক্স ডিজাইন নেই?! সব কিছুতে ডিজাইন আছে, পৃথিবী-পৃথিবীর বাইরে সব কিছুতেই একটা ডিজাইন আছে। তা প্রাকৃতিকভাবে হোক বা কৃতিমভাবে। আপনি হয়ত তা দেখার চেষ্টা করছেন না বা খেয়াল করছেন না। একটু খুজে দেখুন কোন জিনিসটায় ডিজাইন নেই!
এবার আসুন সংজ্ঞায় দেয়ার চেষ্টা করি, নিজের মত করে সংজ্ঞা দিচ্ছি, আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সংজ্ঞা এক কথায় দেওয়া সম্ভব নয়, তারপরও চেষ্টা করছি।
” যা কিছু ডিজাইনড সবই গ্রাফিক্স ডিজাইন ”
”একটি ক্রিয়েটিভ প্রসেস যা আর্ট এবং টেকনোলজী এর সমন্বয়ে আইডিয়াগুলো প্রকাশ করে তাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে”
বিখ্যাত ডিজাইনার Neville Brody এর মতে”ডিজাইন প্রয়োজনসমূহ, তথ্য এবং কালারের এমন একটি সংশ্লেষন যা এর অংশসমূহের সমষ্টির থেকেও বেশি কিছু তৈরি করে” (তার এই সংজ্ঞার জন্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরুষ্কারও পেয়েছে।
উপরের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষন করলে যা পাই তা হল গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে আপনার মনের ভাব, কিছু প্রয়োজন, তথ্য ও কালারের সমন্বয়ে আর্ট ও টেকনোলজীর সাহায্যে উপস্থাপন করতে পারবেন।
আরো দেখুন:পেশা হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন
উপরের সংজ্ঞাগুলোয় আসলে টেকনিক্যাল দিকগুলো ফুটে ওঠে যা হয়তো কারো কারো কাছে বুঝতে কঠিন হতে পারে।
আরও একটু সহজ করে দিই..Nothing is better than example:
আপনি হয়তো লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ইন্টেরিওর-এক্সটেরিওর ডিজাইনের কথা শুনে থাকবেন।
একটা লোগোতে একটা কোম্পানীর বিষয়বস্তু/নাম/বর্ননা/কাজ ইত্যাদি ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়একটা বিজনেস কার্ডে ডিজাইনের মাধ্যমে একজন বিজনেসম্যান এর বিভিন্ন তথ্যগুলো দেওয়া হয়একটা ইন্টেরিওর বা এক্সটেরিওর ডিজাইনে একটা বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন করা হয়।
এরকম উদাহরন আরও দেয়া যায়, আস্তে আস্তে পাবেন এগুলো সবই গ্রাফিক্স ডিজাইন।
আরো দেখুন:গ্রাফিক ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে?
আমরা প্রথমেই জেনে নিই গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে বা তার কাজ কি। তার আগে বলি, গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো আর্ট বা কলা’র এ মাধ্যম। ডিজাইনার তার কাজের মাধ্যমে এন্ড ইউজার অর্থ্যাৎ সর্বশেষ ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি ভালো প্রভাব ফেলতে পারেন। যেটি সেই ব্যবহারকারীর ব্রেইন এ একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেন তিনি, যিনি গ্রাহকের চাহিদানুযায়ী বেশ কিছু কালার, টাইপফেস, ইমেজ এবং অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে তার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হন। এটার আউটপুট ডিজিটাল বা প্রিন্ট উভয়ই হতে পারে। আর বর্তমান সময়ে সচরাচর পাওয়া বিভিন্ন টুলস ও লেআউট ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে আরো বেশি ক্রিয়েটিভ ও গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি তৃপ্তি দিতে পারছেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে যেখানে চাকরি পাবেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দায়িত্ব হলো তার কাজ, পণ্য বা সেবার ওভারঅল লুক ও ভাবমূর্তি ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া ডিজাইন করা যতোই ভালো পণ্য হোক না কেনো সেটি প্রথমেই ব্যার্থ হবে। তাই একটি নিদ্দিষ্ট পরিকল্পনা ও ক্রিয়েটিভিটি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মানকে উন্নত করে। তাই নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের অভাব হয় না! সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সম্প্রতি দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে প্রায় ৩৫ শতাংশ গ্রাফিক্স ডিজাইনার আত্বনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন?
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সংজ্ঞাই যেহেতু মৌলিকভাবে দেয়া যাচ্ছে না অর্থাত নির্দিষ্ট করে দেয়া যাচ্ছে না, উপরের কথাগুলো বিশ্লেষন করলেই আপনি হয়ত আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। আবারও বলছি আপনার আশেপাশের বস্তুগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য কর দেখুন তাতে একটি ডিজাইন আছে এবং তা একটি অর্থও প্রকাশ করছে এবং তার একটি প্রয়োজনও আছে।মূলত এ বিষয়গুলোর জন্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন।
সৃষ্টির শুরু থেকেই সবকিছুতে ডিজাইন ছিল, ডিজাইন হচ্ছে, ডিজাইন হবে।
মানুষের হাতে ডিজাইন করা শুরু হয় আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে থেকে। তবে নিদর্শন হিসেবে বিভিন্ন গুহায় যে প্রমান পাওয়া যায় তাতে বলতে হয় এর শুরু অনেক আগে থেকেই। আর এটা শুরু হইছে মানুষের প্রয়োজনেই। খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ বছর আগের একটি নিদর্শন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে যেটিই মানুষের হাতে সবচেয়ে আগের জটিল ডিজাইন বলে ধারনা করা হয়।
আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার পরে আপনার কাজের ক্ষেত্র
সেখান থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অনেক বছর চলে গেছে। আজ পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখুন আর সেদিনের কথা একবার চিন্তা কর অনেক কিছু ডিজাইন করা হইছে, অনেক নতুনত্বের সৃষ্টি হইছে, সুন্দর থেকে সুন্দরতর! সবই মানুষের প্রয়োজনে। আগে করা হত মাটিতে, পাতায়, খাতায় আর এখন করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে আরও সুন্দর করে।
এত বকবক করার মূল কারন হল শুধু এটুকই বলতে চাই গ্রাফিক্স ডিজাইন/ডিজাইন মূলত মানুষের প্রয়োজনেই তা মনের খোরাক মেটানোর জন্য হোক বা পেশা হোক বা ব্যবসায়িক কারন হোক মূলত মানুষের প্রয়োজনেই ডিজাইন।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র কোথায় হতে পারে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-
ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া: কয়জন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন ও ভাগ্যকে পরিবর্তন করার যে ক্ষেত্রটি পান সেটি হলো ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া। এখানে বিশেষত টেক্সট, গ্রাফিক্স, ভিডিও, অ্যানিমেশন, অডিওসহ যেকেনো কিছু এবং এ সম্পর্কিত সব কিছুই নিয়ে কাজ হয়। আমার মতে ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া হলো তেমনই একটি ভালো নিশ যেখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন।
প্রমোশনাল ডিসপ্লে: সাধারণত যারা বড় ধরনের বা বড় আকারের কাজ করতে চান বা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো মাধ্যম। এ কাজগুলো মূলত বিভিন্ন অ্যাডমিডিয়াতে পাওয়া যায়। এখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে বিভিন্ন ধরণের বিলবোর্ড ডিজাইন এবং একই ধরণের প্রোমোশনার ডিসপ্লে ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হয়।
আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন
জার্নাল: বিভিন্ন ধরণের জার্নালগুলো (বিষয়ভিত্তিক বা ব্যাঙ্গাত্বক) ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে সাধারণত পাঠককে আকৃষ্ট করার কাজটি করতে হয়। এখানে আপনাকে ছোটখাটো লোগো, ইমোটিকন থেকে শুরু করে কমপ্লিট কাভার ডিজাইন করতে হতে পারে।
কর্পোরেট রিপোর্টস: এটি রেগুলার জব না হলেও কম নয়! একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন কোম্পানির কর্পোরেট রিপোর্ট তৈরি করে ভালোমানের আয় করতে পারেন। এটা অনেকটাই প্রফেশনাল কিন্তু মোটেই বোরিং কাজ নয়। কাজের মধ্যে অনেক স্বাচ্ছদ্য বোধ করা যায়।
মার্কেটিং ব্রোশিউর: এটিও অনেকটাই প্রোমোশনাল ডিসপ্লের কাজের মতো। এখানে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিয়ে ডিজাইনের কাজটি করতে হবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া যেহেতু কাজটি সম্ভব নয়, তাই এখানেও আপনার কাজের ক্ষেত্রটি হতে পারে।
সংবাদপত্র: গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া সংবাদপত্র! মোটেই সম্ভব নয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি সংবাদপত্রকে ঠিকই সংবাদপত্রেরই মতো করে তোলেন। ফাইনাল লেআউট দেওয়ার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার অবশ্যই জরুরী। এখানে আপনার পেশার সন্মানটাও বেশি। তাই সংবাদপত্র একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য একটি সাফল্যজনক কাজের ক্ষেত্র।
ম্যাগাজিন: এটাও মূলত সংবাদপত্র ও জার্নালের মতো। তবে ম্যাগাজিনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের পরিমান অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। কারণ ম্যাগাজিনে ভিজ্যুয়াল লেআউট বেশি থাকে। তাই ম্যাগাজিনের প্রত্যেকটা প্রকাশনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার, অবশ্যই আবশ্যক। এটাও আপনার যথোপযুক্ত কাজের ক্ষেত্র হতে পারে।
আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?
লোগো ডিজাইন: একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হলো লোগো ডিজাইন। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করতে বেশি সময় লাগে না। আপনার ক্রিয়েটিভিই হলো লোগো ডিজাইনের মূল কথা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তার প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরির জন্য একজন ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইনার অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইনারে খোঁজ করেন। তাই আপনি সহজেই কাজ পাবেন এবং ভালো করতে পারলে তাদেরকেই আপনার রেগুলার বায়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: সবশেষে বললেও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজের ক্ষেত্র ওয়েবসাইট ডিজাইন। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেনো প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও আপনা গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নিদ্দিষ্ট লক্ষ্যে।
আরো দেখুন:যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রফেশনালি দক্ষ হতে চান তাদের জন্য বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শুরু করবেন?
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা বেশ সহজ,আপনি আপনার পরিচিত কারো সাহায্য বা কোন ট্রেনিং সেন্টার (IT PAL ORGANIZATION) যেমন: ইশিখন.কম এ ফ্রিতে অনলাইন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কয়েকমাসেই চেষ্টা করলেই শেখা সম্ভব।ভালভাবে শিখতে পারলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর প্রচুর চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং এ হাজার হাজার কাজ পাওয়া যায়।
ভাল ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন আইডিয়া, রঙ এবং টাইপোগ্রাফি জানুন এবং প্রয়োগ কর! আপনি কি আপনার গ্রাফিক ডিজাইন স্কিল নিয়ে হতাশ হয়েছেন, বা ভাবছেন কিভাবে গ্রাফিক ডিজাইনাররা এত সুন্দর প্রফেশনাল আর ইফেক্টিভ ডিজাইন তৈরি করে? অথবা আপনি কেবল গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে আরও জানতে চান বা একটি গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে শুরু করতে চান? তাহলে এই কোর্সটি আপনার জন্য। এখানে বেসিক থেকে শুরু করে প্রজেক্টভিত্তিক প্রতিটি এডভ্যান্স ডিজাইন শেখানো হবে। ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরের দুটো ২ জন এক্সপার্ট শিক্ষক আলাদা আলাদাভাবে শেখাবেন।
কারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন?
- যারা গ্রাফিক ডিজাইন হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান
- অনলাইন উদ্যোক্তা বা আইটি স্পেশালিস্ট হতে চান
- ডিজাইন, আর্ট, ওয়েব গ্রাফিক্স, ট্রল পেইজ, ইউটিউবার কিংবা ফটোগ্রাফার
- যারা পড়াশুনার পাশাপাশি পার্টটাইম কিছু করে পড়াশুনা চালিয়ে নিতে চান
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে যা প্রয়োজন:
- ইন্টারনেট কানেকশসহ একটি কম্পিউটার
- কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর প্রাথমিক ধারণা
- একটি হেডফোন (ল্যাপটপ হলে হেডফোন আবশ্যক নয়।
কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন :
অনলাইন এ গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে https://eshikhon.com
ইশিখন.কম এ বিশেষ সুবিধা সমুহ:
সাধারণত বাজারে কিংবা অন্যান্য ওয়েবসাইটে যে রেকর্ডিং টিউটোরিয়াল কিংবা ভিডিও কোর্সগুলো পেয়ে থাকি, সেগুলো বেশির ভাগই অনলাইন/ইউটিউব দেখে দেখে অদক্ষ ব্যক্তিরা ব্যবসার জন্য বানান। ২ মিনিট দেখে ২ মিনিট রেকর্ড করেন। অনেক ক্ষেত্রে পুর্নাঙ্গভাবে সবকিছু দেওয়াও থাকে না। কিন্তু ইশিখন.কম এর ভিডিওগুলো আমাদের স্বনামধন্য শিক্ষকদের লাইভ ক্লাসের ভিডিও, এর সাথে আমাদের বিগত ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্বও রয়েছে এবং প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখানো হয়েছে, ফলে আপনি পুর্নাঙ্গভাবে শিখতে সক্ষম হবেন।
$ লাইভ ক্লাস মিস করলে পরের দিন কোর্সের ভেতর উক্ত ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং ও আলোচিত ফাইল সমুহ পাবেন।
$ লাইভ ক্লাসের সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও কোর্স, ( শুধুমাত্র এই ভিডিও কোর্সই অনেক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে।)
$ প্রতিটি ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। (প্রতিটি এসাইনমেন্ট এর জন্য ১০ মার্ক)
$ প্রতিটি ক্লাসের লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রাকটিজ ফাইল পাবেন এবং কনটেন্ট পাবেন।
$ প্রতিটি ক্লাসের প্রথম ১৫ মিনিট আগের ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধান হবে, পরের ১ ঘন্টা মুল ক্লাস শেষ ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব
$ প্রতিটি ক্লাসের শেষে ১০ নাম্বারের মডেল টেস্ট। এই মডেল টেস্ট মার্ক এবং এসাইমেন্ট মার্ক ও নিয়মিত উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট এর মান নির্ধারণ হবে।
$ কোর্স শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
$ লাইভ ক্লাস সমুহের ডিভিডি পাওয়া যাবে।
eshikhon.com এ কোর্স শেষে আয়ের ক্ষেত্রসমুহ:
$ আপওয়ার্ক, ফাইভর
$ এনভাটো মার্কেকে ডিজাইন বিক্রির সুযোগ
$ ওগ্রাফিক ডিজাইন হিসেবে যেকোন আইটি কম্পানিতে চাকরির সুযোগ
$ আপওয়ার্ক ও ফাইবারে গ্রাফিক ডিজাইন সর্ম্পকিত কাজ
আজ এই পর্যন্তই । আগামিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার এর উপর টিপস, ট্রিক্সস নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।