এফিলিয়েট মার্কেটি-
যদি সহজ করে আমার ভাষায় যদি বলি তা হলঃ অন্য মানুষ বা কম্পানির কোন পন্য বিক্রয় করে দিয়ে, সেই বিক্রিত মূল্য থেকে একটা কমিশন নেওয়াই এফিলিয়েট মার্কেটিং । আরো সহজভাবে বললে এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি হচ্ছে অন্য কোন কোম্পানীর হয়ে প্রচার করা।আপনার মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল হলে সে কোম্পানি আপনাকে একটা সেলস কমিশন দিবে এটাকে মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
কেন শিখবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং?
যারা ভালো মানের ইনকাম করতে চান তারা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলে আপনি রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন বিষয়টা আসলে এমন না। আপনাকে ধৈর্য্য ধরে প্রথমে অন্তত ছয় মাস সময় নিয়ে শিখতে হবে। তারপড় আস্তে আস্তে আপনার ইনকাম শুরু হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিমাসে আপনি কতটাকা ইনকাম করতে পারবেন এটা সম্পূর্ণরুপে আপনার উপর নির্ভর করবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনার মাসিক ইনকাম কেমন হবে এটা অনুমান করেও বলা প্রায় অসম্ভব। তবে ধৈর্য্য ধরে সঠিক পদ্ধতীতে এগিয়ে গেলে ইনকাম অনেক ভালো মানের হবে। এটা হতে পারে প্রতি মাসে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত। তাই ভালো মানের ইনকাম করতে চাইলে এফিলেয়েট মার্কেটিংয়ের বিকল্প নাই। এছাড়াও এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের উল্লোখযোগ্য কিছু সুবিধা হলোঃ
আরো দেখুন:কিভাবে শুরু করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং?
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে তেমন কোনো ইনভেস্ট করার দরকার হয় না
- কোনো নিজস্ব প্রোডাক্ট থাকার দরকার হয় না
- পছন্দমতো প্রোডাক্ট প্রমোট করা যায়
- ঘরে বসে কাজ করা যায়
- প্রোডাক্টের আফটার সেলস সার্ভিস নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না
- ফুলটাইম ক্যারিয়ার গড়া যায়
- সময়ের স্বাধীনতা থাকে
- বিভিন্ন কোম্পানির কাছে যথেষ্ট কদর পাওয়া যায়
আরো দেখুন:কেন শিখবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং?
ক্যারিয়ার হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং-
বর্তমানে প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে।মানুষ যত বেশি অনালাইন ব্যাবহার করছে অনলাইন বিজনেস ততই বাড়ছে।তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মার্কেটিং ভিত্তিক অনলাইন কাজ গুলো।সেই সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এমনকি বাংলাদেশ ও পিছিয়ে নেই,এখন এমন অনেক বাংলাদেশি কোম্পানি আছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অফার করে।প্রোডাক্ট মেকাররা বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটারদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছে।বিশ্বের বড় বড় কম্পানীগুলো এখন এফিলিয়েট মার্কেটারের উপর নির্ভরশীল।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়-
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো প্যাসিভ ইনকাম সোর্স অর্থাৎ আপনি একটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পণ্য প্রমোটের মাধ্যমে যে নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন হিসাবে পেয়ে থাকেন তাকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে এবং যারা এই প্রোমোটিং এর কাজ করে থাকেন তাদেরকে এফিলিয়েট মার্কেটার বলে!প্রথম দিকে ইনকাম কম হবে ধরে নিলাম আপনি তিন মাসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে কাজ শুরু করলেন আপনার আয় হতে পারে ১০০ থেকে ২০০ ডলার, ছয় মাস বা এক বছর পরে আয় ১০০০ ডলারের উপরে হবে। তবে বলে রাখা ভালো এই আয় নির্ভর করবে সম্পূর্ন আপনার কাজের উপর, আপনার কাজ ও পরিশ্রম যত ভালো হবে আপনার আয়ও তত ভালো হবে উপরের আয়ের সংখ্যাটা ধারণা দেয়ার জন্য বলা।
আরো দেখুন:এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
কাদের জন্য এই কোর্স-
- আপনারা যারা অনলাইনে আয় করতে চান কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে আগ্রহী।
- মোটামুটি ইংরেজি বুঝেন।
- সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণে বদ্ধপরিকর।
আরো দেখুন:এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন
এই কোর্স কাদের জন্য না-
- অল্প সময়ে অনেক বেশি আয় করতে চান
- খুব সহজে আয় করতে চান
- চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মানসিকতা নেই
- পরিশ্রম না করেই আয় করতে চান
- শর্টকাট ওয়েতে বড়লোক হতে চান।
কোথায় শিখবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং?
বর্তমানে যেখানে সেখানে অনেক ধরণের ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার গড়ে উঠেছে কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারা ট্রেইনিং সেন্টারের সংখ্যা খুবই কম। দিন দিন সবাই এখন অনলাইন ইনকামের দিকে ঝুকে পড়ছে তাই সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিযোগিতাও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে ইশিখন.কম দীর্ঘদিন বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা দক্ষ প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছে অনলাইন ট্রেইনিং সেন্টার, যেখানে আপনি ঘরে বসেই লাইভ ক্লাস করতে পারবেন। ইশিখনে কোর্স করলে আপনি আরো সকল সুবিধাসমূহ পাবেন।
ইশিখনে এফিলিয়েট মার্কেটীং কোর্স করার বিশেষ সুবিধা-
- লাইভ ক্লাস মিস করলে পরের দিন কোর্সের ভেতর উক্ত ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং ও আলোচিত ফাইল সমুহ পাবেন।
- লাইভ ক্লাসের সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও কোর্স, ( শুধুমাত্র এই ভিডিও কোর্সই অনেক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে।)
- ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। (প্রতিটি এসাইনমেন্ট এর জন্য ১০ মার্ক)
- প্রতিটি ক্লাসের লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রাকটিজ ফাইল পাবেন এবং কনটেন্ট পাবেন।
- ক্লাসের প্রথম ১৫ মিনিট আগের ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধান হবে, পরের ১ ঘন্টা মুল ক্লাস শেষ ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব
- ক্লাসের শেষে ১০ নাম্বারের মডেল টেস্ট। এই মডেল টেস্ট মার্ক এবং এসাইমেন্ট মার্ক ও নিয়মিত উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট এর মান নির্ধারণ হবে।
- কোর্স শেষে সার্টিফিকেট
- লাইভ ক্লাস সমুহের ডিভিডি ।
0 responses on "কেন শিখবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং?"