এক নজরে মোহাম্মদ আলী।The peoples champions
=
((বুলেটিন–৩৬))
১) মোহাম্মদ আলী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি এবং মারা যান ২০১৬ সালের ৩ জুন।
২) তিনি মোট ৬১টি লড়াইয়ে ৫৬টি জয় পান এবং বক্সিং এ তিনবার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন।
৩) মোহাম্মদ আলীর পূর্বনাম — ক্যাসিয়াস মারসেলাস ক্লে।
৪) তিনি ১ম স্বর্ণপদক জিতেন ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে।
৫) তিনি ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধী ছিলেন এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।
(নোট : ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংঘটিত একটি দীর্ঘমেয়াদী সামরিক সংঘাত। এটি দ্বিতীয় ইন্দোচীন যুদ্ধ নামেও পরিচিত। যুদ্ধের একপক্ষে ছিল উত্তর ভিয়েতনামি জনগণ ও ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট এবং অন্যপক্ষে ছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামি সেনাবাহিনী ও মার্কিন সেনাবাহিনী। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামিরা প্রথম ইন্দোচীন যুদ্ধে লড়াই করে ফ্রান্সেরঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে। এই যুদ্ধ শেষে ভিয়েতনামকে সাময়িকভাবে উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম – এই দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। ভিয়েতনামের সাম্যবাদীরা যারা ফ্রান্সের বিরোধিতা করেছিল, তারা উত্তর ভিয়েতনামের নিয়ন্ত্রণ পায়। অন্যদিকে দক্ষিণ ভিয়েতনামে সাম্যবাদ-বিরোধী ভিয়েতনামিরা শাসন শুরু করে। উত্তর ভিয়েতনামের সাম্যবাদীরা একটি একত্রিত সাম্যবাদী ভিয়েতনাম গঠন করতে চাচ্ছিল।
মার্কিন নীতিনির্ধারকেরা বিশ্বাস করেছিলেন যে যদি সমগ্র ভিয়েতনাম সাম্যবাদী শাসনের অধীনে চলে আসে, তবে “”ডমিনো তত্ত্ব”” অনুসারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বত্র সাম্যবাদ ছড়িয়ে পড়বে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামের ঘটনাবলির সাথে জড়িয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা দক্ষিণ ভিয়েতনামে সাম্যবাদ বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। কিন্তু এই সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণের প্রতিবাদে দক্ষিণ ভিয়েতনামে আন্দোলন শুরু হয় এবং ১৯৬০ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট গঠন করা হয়।
১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ ভিয়েতনামি সরকারের পতন রোধকল্পে সেখানে সৈন্য পাঠায়, কিন্তু এর ফলে যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, তাতে শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হতে পারেনি। ১৯৭৫ সালে সাম্যবাদী শাসনের অধীনে দুই ভিয়েতনাম একত্রিত হয়। ১৯৭৬ সালে এটি সরকারীভাবে ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নাম ধারণ করে। এই যুদ্ধে প্রায় ৩২ লক্ষ ভিয়েতনামি মারা যান। এর সাথে আরও প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ লাও ও ক্যাম্বোডীয় জাতির লোক মারা যান। মার্কিনীদের প্রায় ৫৮ হাজার সেনা নিহত হন।)
৬) তিনি ১৯৭৫ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
৭) ১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং তাকে ঐ বছর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
৮) তিনি ১৯৮১ সালে বক্সিং থেকে অবসর নেন।
৯) তিনি ৪২ বছর বয়স থেকে পার্কিনসন্স রোগে ভুগছিলেন।
১০) ২০০৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রীডম’ পান।
(নোট : প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রীডম ও কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল দুটোই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক। ১৭৭৬ সাল থেকে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল এবং ১৯৬০ সাল থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রীডম দেওয়া হচ্ছে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড.ইউনুস ২০১৩ সালে ‘কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল’ লাভ করেন।)
স্বর্গ দেখতে চাইলে বাংলাদেশে যাও।
——— মোহাম্মদ আলী।