
মার্চ
:: ০১: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। সমগ্র বাংলাদেশে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রচারিত হয়।
:: ০২: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র ধর্মঘট পালিত হয় এবং শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
:: ০৬: লেঃ জেঃ টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর নিয়োগ করা হয়।
:: ০৭:
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যেটি ৭ই মার্চের ভাষণ নামে খ্যাত।
কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি গেরিলা যুদ্ধের আহ্বান করে।
:: ০৮:
-শেখ মুজিবুর রহমান ১০-দফা দাবী পেশ করেন।
-গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত একটি বেনামী লিফলেট প্রচারিত হয়।
– পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৪-দফা দাবী পেশ করা হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ শিক্ষার্থী সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
:: ০৯:
– মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক জনসভায় বলেন, “পূর্ব পাকিস্তানের আজাদী রক্ষা ও মুক্তি সংগ্রামে ঝাপাইয়া পড়ুন”।তিনি তার ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নিয়ে শেখ মুজিবের সাথে আন্দোলন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
-টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
:: ১৪: ভুট্টো দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
:: ১৭: মুজিব-ইয়াহিয়া দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে শেখ মুজিব বলেন যে, আন্দোলন চলবে।
:: ১৯: জয়দেবপুরের রাজবাড়িতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নকে নীরস্ত্র করার পশ্চিম পাকিস্তানী প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় বাঙালি সৈন্যরা।
:: ২০: উপদেষ্টাসহ মুজিব-ইয়াহিয়া চতুর্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
:: ২১: ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে ভুট্টো ঢাকায় আসেন।
:: ২২: ইয়াহিয় ২৫ মার্চ আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।
:: ২৩: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
:: ২৫: পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে সমগ্র ঘুমন্ত ও নীরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায় যেটি অপারেশন সার্চলাইট হিসেবে পরিচিত।
:: ২৬: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
:: ২৭: কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
:: ৩০: পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের গণহত্যা রোধে এগিয়ে আসার জন্য জাতিসংঘ এ বৃহৎ শক্তিবর্গের প্রতি মেজর জিয়াউর রহমান আহ্বান জানান।
:: ৩১: কুষ্টিয়া প্রতিরোধ শুরু।
এপ্রিল
:: এপ্রিল ২: জিঞ্জিরা গণহত্যা.
:: এপ্রিল ৬: ব্লাড টেলিগ্রাম
:: এপ্রিল ১১: নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের রেডিও ভাষণ।
:: এপ্রিল ১০: মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।
:: এপ্রিল ১২: এম এ জি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন .
:: এপ্রিল ১৭: অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে বৈদ্যনাথতলায় (যা এখন মুজিবনগর নামে পরিচিত) ।
:: এপ্রিল ১৮: দরুইনের যুদ্ধে সিপাহী মোস্তফা কামাল ও রাঙ্গামাটি-মহালছড়ির যুদ্ধে ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফ শহীদ হন।
:: এপ্রিল ২৪: অনাবাসী বাংলাদেশীরা যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি-তে বাংলাদেশ একশন কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
:: এপ্রিল ২৮: বিশ্ববাসীর কাছে তাজউদ্দিনের অস্ত্র সাহায্য প্রার্থনা
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।