সমাসের প্রধান উদ্দেশ্য কয়েকটি শব্দ নিয়ে একটি শব্দ গঠন করা।
সমাস শব্দের অর্থ মিলন। একাধিক শব্দের মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরির প্রক্রিয়াকেই বলা হয় সমাস। মূলত, সমাসে একটি বাক্যাংশ একটি শব্দে পরিণত হয়।
সমাস শিখতে হলে প্রথমে কয়েকটি বিষয় জেনে নিতে হবে:
ব্যাসবাক্য: যে বাক্যাংশ থেকে সমাসের মাধ্যমে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ব্যাসবাক্য। একে সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যও বলা হয়।
সমস্ত পদ: ব্যাসবাক্য থেকে সমাসের মাধ্যমে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় সমস্ত পদ।
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন
এখানে ব্যাসবাক্য হলো- ‘সিংহ চিহ্নিত আসন’।
আর সমস্ত পদ হলো ‘সিংহাসন’।
পূর্বপদ : সমস্ত পদের প্রথম অংশ/ শব্দকে পূর্বপদ বলে। এখানে সিংহ পূর্ব পদ।
পরপদ/ উত্তরপদ: সমস্ত পদের শেষ অংশ/ শব্দকে পরপদ/ উত্তরপদ বলে। এখানে আসন পরপদ।
প্রকারভেদ: সমাস প্রধানত ৬ প্রকার- দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব। তবে অনেকেই দ্বিগু সমাসকে কর্মধারয় সমাসের অন্তর্ভূক্ত করে থাকেন। আবার অনেকে কর্মধারয় সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভূক্ত করে থাকেন। এছাড়াও কিছু অপ্রধান সমাসও রয়েছে। যেমন- প্রাদি, নিত্য সমাস প্রভৃতি।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।
পরের পাতাসমুহ >>
0 responses on "NTRCA শিক্ষক নিবন্ধন -> বাংলা -> সমাস ও প্রত্যয়"