বাংলা পত্র ও আবেদন পত্র – NTRCA শিক্ষক নিবন্ধন
(বাংলা ব্যাকরণ থেকে BCS প্রিলিমিনারিতে সর্বোচ্চ ১৫ নম্বর থাকবে ।)
‘পত্র’ শব্দটির আভিধানিক বা ব্যবহারিক অর্থ – চিহ্ন বা স্মারক
পত্র লেখার মূল উদ্দেশ্য -ভাব বিনিময়।
পত্রের শুরুতে সম্বোধন হওয়া উচিত-প্রেরক-প্রাপকের সম্পর্ক অনুসারে।
পত্রের ভাষা হওয়া উচিত-সহজ-সরল ও বিষয়ভিত্তিক
সাধারণত পত্রের দুটি অংশ থাকে-শিরোনাম ও পত্রগর্ভ
পত্রের মূল অংশ বলা হয়-পত্রগর্ভকে
পত্রের শিরোনামের অংশ- দুটি
ব্যক্তিগত পত্রের অংশ- ছয়টি।
ব্যক্তিগত পত্রের ছয়টি অংশ -মঙ্গলসূচক শব্দ, পত্রগর্ভ, স্থান ও তারিখ, সম্বোধন, লেখকের স্বাক্ষর, শিরোনাম।
পত্রের শিরোনামের প্রধান অংশ – প্রাপকের ঠিকানা।
পত্র এর গর্ভাংশ বলে-মূল বিষয় অংশ।
পত্রের শিরোনাম বলে-প্রাপকের ঠিকানা।
বাংলা চিঠিপত্র রচনার ক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষার প্রভাব বিদ্যমান
পত্র লেখার সময় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয় বক্তব্য বিষয়।
পত্রের বিষয়বস্তু ও আঙ্গিক বিচারে পত্র দুই প্রকার-ব্যক্তিগত ও ব্যবহারিক।
স্পষ্ট ও পূর্ণ নাম-ঠিকানার অভাবে পত্র ডেড লেটার হয়।
খামের ওপর কোনো ডাকটিকিট না থাকলে পত্রটি হয়-বিয়ারিং পত্র।
বিয়ারিং লেটারের ডাকমাসুল দিতে হয়-পত্র প্রাপককে।
বিয়ারিং লেটারের মাসুল হয়-দ্বিগুণ।
জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করতে হয়-চাকরির আবেদনপত্রে।
পত্র প্রাপকের নাম-ঠিকানা খামের লিখতে হয়-খামের ডানপাশে।
বিদেশে চিঠি পাঠাতে হলে খামের ওপর নাম-ঠিকানা লিখতে হয়-ইংরেজী ভাষায়।
খামের ওপর BY AIR MAIL লিখতে হয়-বিদেশে চিঠি পাঠাতে হলে।
লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি সংক্রান্ত পত্রকে বলে- ব্যবসাসংক্রান্ত পত্র।
বিদায় অনুষ্ঠান বা বরণ অনুষ্ঠানে যে পত্র পাঠ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় বলে-মানপত্র।
সুলিখিত পত্র অনেক সময় মর্যাদা লাভ করে-সাহিত্যের।
‘প্রাপক’ অর্থ – যার উদ্দেশ্যে পত্রটি রচিত।
চাকরির জন্য যে পত্র লিখতে হয় তার নাম কি- আবেদনপত্র।
সুযোগ-সুবিধা প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত পত্রের নাম-আবেদনপত্র।
সংবাদপত্রে একটি আবেদন প্রকাশের জন্য পাঠাতে হবে-সম্পাদক বরাবর।
লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি বিষয়ক পত্রকে বলে- ব্যবসাসংক্রান্ত পত্র।
চিঠিপত্র ‘ডেড লেটার’ বলে চিহ্নিত হয়- পূর্ণ ও স্পষ্ট ঠিকানা অভাবে।
অল্প পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির প্রতি পত্রে সম্ভাষণ হবে-সালামবাদ বা নমস্কারপূর্বক।
মাতার নিকট পুত্রের পত্রে সম্বোধন হবে -পাক জনাবেষু।
সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে বৈষয়িক ব্যাপারে লিখিত পত্রের নাম – দলিলপত্র।
পত্র লেখকের ঠিকানা লিখতে হয়-পত্রের ওপরে ডান পার্শ্বে।
ব্যক্তিগত পত্রের সম্ভাষণে ব্যবহৃত হয় না – জনাব।
জমি বিক্রয় করতে গেলে অগ্রিম কিছু টাকা গ্রহণ করে যে লিখিত চুক্তি হয় তার নাম -বায়নানামা।
কোন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে বিদায়ানুষ্ঠানে যে শ্রদ্ধার্ঘ্য পত্র দেয়া হয় তাকে বলে-মানপত্র।
প্রাপকের উদ্দেশ্যে সম্বোধন সূচক শব্দ ব্যবহারে পার্থক্য দেখা যায় -হিন্দু ও মুসলিম রীতিতে, প্রাপক ও প্রেরকের সম্পর্ক ভেদে, প্রাপক ও প্রেরকের বয়স ভেদে।
দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লিখতে হলে প্রাধান্য দিতে হয়-মূল বক্তব্য সহজ ও সরল ভাষায় সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করতে হয়।
সাক্ষীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন – চুক্তিপত্রে।
যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম -পত্র।
বন্ধুর কাছে লিখিত পত্রে বিদায়সূচক শব্দটি ব্যবহার করতে হয়-প্রীতিধন্য।
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর