
৩৬ তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে একটি চাকরি পাওয়া মানেই বাকি জীবনটা সুন্দর এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত। কিন্তু তা কি এতই সহজ? না এর জন্য কঠোর অধ্যবসায় ও পড়াশোনা দরকার। ইঈঝ প্রস্তুতি নিতে হয় ধীরে সুস্থে। নিজেকে তৈরি করতে হয় বুঝে শুনে। কারণ প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষার পুলসিরাত পার হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। তখন যে কোন দিক থেকে কোন প্রশ্ন হয়, তা প্রশ্ন হওয়ার পূর্ব মুহূর্তেও বোঝা দায়। তাই প্রস্তুতিটা হওয়া উচিত কংক্রিটের মতো শক্ত। তাই প্রস্তুতিটা এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি পরবর্তী থেকে ধীরে ধীরে নেওয়াই ভালো। যাই হোক, আমাদের আলোচনার মূল বিষয় বিসিএস অবতীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রস্তুতি এবং কৌশল অর্থাৎ বিসিএস পরীক্ষার জন্য আপনাকে এখনই যেটি যা জানা প্রয়োজন, তা জেনে নিন আর দেরি না করে।
৩৬ বিসিএস আগেরগুলো থেকে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসছে,
আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অন্যান্য বারের চেয়ে এবারে প্রার্থী সংখ্যা সীমিত হলেও এবারে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকতা নিয়োগ হবে। শিক্ষক ক্যাটেগরিতে অন্যান্য বারের চেয়ে এবারে বেশি সংখ্যক নিয়োগ হবে, তাই শিক্ষা ক্যাটেগরিতে সাফল্য বেশি।এবারই প্রথম তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে কর্মকতা নিয়োগ হবে, যথা সম্ভব আগস্টে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তাই এখন থেকে যথাযথ প্রস্তুতি নিন।
একটি পরিসংখ্যান
সম্মান, সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ এবং দেশ সেবার সুযোগ- এসবই মিলতে পারে বিসিএস ক্যাডার হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলে। তবে বিসিএস পরীক্ষার বিশাল সিলেবাস, বিভিন্ন বিষয়ের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ কাজটা সহজ নয় মোটেই। বিসিএস পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীকে দু’তিনটি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয় এর কিছুটা আঁচ পাওয়া সম্ভব বিগত পরীক্ষার পরিসংখ্যান থেকে। ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় ৪,৫৯৪টি শূন্য পদের বিপরীতে ১,২০,৬৪০ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৪৬,৭৯০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় এবং ৫,০৬৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ২৫তম বিসিএসে ১,৬১৯টি শূন্যপদের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ১,৪০,১৭৪ জন। এর মধ্যে প্রিলিমিনারি টেস্টে অংশ নেয় ১,১৯,৭৯৭ জন। উত্তীর্ণ হয় ১৮,৬২৯ জন। ২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় ১,৭৭৬টি শূন্যপদের বিপরীতে ১,৩৫,০০০ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে।
২৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ২৪ হাজার অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয় ১৩ হাজার ৫৩৬ জন। ৩০তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করে প্রায় দেড়লাখ এতে উত্তীর্ণ হয় ১৪ হাজার ৪৭০ জন। ৩১তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করেন ১৪ লাখ ৪১৪৬ জন উত্তির্ণ ১০ হাজার ২১২ জন, ৩২তম (বিশেষ) অংশগ্রহণ করে ২৪ হাজার ৯৬৪ জন ১৪৮৯টি পদের বিপরীতে, উত্তির্ণ হয় ১০ হাজার ৮০৮ জন, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রায় ১ লাখ ৭৫০০০ পরীক্ষার্থী ৪২০৬টি পদের বিপরীতে উত্তির্ণ হয় ২৮ হাজার ৯১৭ জন।
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২০৫২টি পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারিতে অংশগ্রহণ করে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৩৩ জন।
পরিসংখ্যান থেকেই অনুমান করা যায়, বিসিএস পরীক্ষা কতটা প্রতিযোগিতামূলক এবং প্রতিদিন প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই যখন অবস্থা তখন বিসিএস এ সফল হতে হলে প্রতিযোগিতা করে জেতা ছাড়া উপায় নেই। আর সেজন্য চাই সুশৃঙ্খল, পরিমার্জিত ও কঠোর পরিশ্রম নির্ভর পরিকল্পিত ৩৬।
৩৬ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের ধারা ও মানবন্টন দেখে নিন এখান থেকে