
GRE কি:
GRE হল বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি পরীক্ষা, এটি মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য সহায়ক।জিআরই বা GRE পুরো নাম ‘Graduate Record Examination। আমেরিকা,কানাডা এবং কিছু ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় মেধা যাচাইয়ে GRE স্কোরকে গুরুত্ব দেয়।সিজিপিএ-ভিত্তিক বৈষম্য দূর করে আন্তর্জাতিক মানের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে GRE এক্সাম নেওয়া হয়। স্কলারশিপ এবং ফান্ডিং পাওয়ার ক্ষেত্রে GRE অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জিআরই (GRE) পরীক্ষা ২ ভাবে দেওয়া যায়। সাবজেক্ট টেস্ট ও জেনারেল টেস্ট। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা মূলত জেনারেল টেস্টই দিয়ে থাকেন।
জেনারেল টেস্ট এটি ৩ ধাপে গ্রহণ করা হয়।
যেমনঃ
১.অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং
২.ভার্বাল রিজনিং
৩.কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং।
GRE জেনারেল টেস্টের মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ ভাষাগত দক্ষতা, গণিত জ্ঞান, এনালিটিক্যাল দক্ষতা পরিমাপ করে। অন্যদিকে GRE সাবজেক্ট টেস্ট তার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান যাচাই করে।বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়-ভিত্তিক GRE দেওয়া লাগতে পারে।
যেসব দেশে GRE বাধ্যতামূলক
** আমেরিকা: প্রায় ৯০% বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য GRE বাধ্যতামূলক।
** কানাডা: Top Ranked বিশ্ববিদ্যালয়ে GRE স্কোর একটি বাড়তি সুবিধা প্রদান করে।
** ইউরোপ এবং এশিয়া: Top notched প্রতিষ্ঠানে GRE স্কোর প্রয়োজন হতে পারে।
##কাদের জন্য কোর্সটি ?
**বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য-
- মাস্টার্স প্রোগ্রাম:
GRE স্কোর প্রায়ই আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রয়োজন।
পিএইচডি প্রোগ্রাম:
গবেষণামূলক প্রোগ্রামে (PhD) ভর্তির জন্য GRE স্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- স্কলারশিপ বা ফান্ডিং প্রাপ্তির জন্য
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থা স্কলারশিপ বা ফান্ডিং প্রদানের ক্ষেত্রে GRE স্কোরকে মূল্যায়নের একটি উপাদান হিসেবে বিবেচনা করে।
সিজিপিএ এর ব্যাকআপ:
সিজিপিএ কিছুটা কম থাকলেও জিআরই স্কোর দিয়ে ব্যাকআপ দেওয়া যায়।