আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় দেখা যায় সবাই একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছে, “SEO is dead”, “ChatGPT, Gemini এইসব AI দিয়েই নাকি সব করা যায়”, “Google এখন শুধু paid ad-ই প্রমোট করে”. অন্যদিকে আবার এইটাও শোনা যাচ্ছে, Facebook ad campaign-ও নাকি আগের মতো কাজ করে না। সব মিলিয়ে অনেকে ধরে নিচ্ছে, digital marketing-এর আর কোনো দরকার নেই, এখন সবই নাকি AI করে দেবে।
কিন্তু আসলেই কি তাই? AI-ই সব করে দিবে, একদম মানুষের মতো? আচ্ছা, AI তো আমরা মানুষরাই বানিয়েছি, তাই না? তাহলে কি এমন হবে যে নিজেদের তৈরি জিনিস দিয়েই আমরা নিজেদের কাজ বন্ধ করে দেব? মোটেই না! AI কিন্তু আমাদের চাকরি কেড়ে নেবে না। বরং আমাদের কাজগুলোকে আরও সহজ, আরও ফাস্ট আর অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ করে তুলবে।
তাই “SEO is dead” বা “digital marketing-এ আর ভবিষ্যৎ নেই”, এসব কথা একদমই ভুল।
মানুষ তার প্রতিদিনের কাজের জন্য এখনো গুগল ব্যবহার করে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে, নতুন আইডিয়া নিতে অথবা কোনো সমস্যার সমাধান নিতে। Conductor-এর ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৩% ওয়েবসাইট ট্রাফিক এখনো অর্গানিক সার্চ থেকেই আসে. অন্যদিকে, The Financial Express-এর ২০২৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের Online Advertising বাজারের জন্য একটা রিপোর্ট বলছে ২০২৫-এ দেশের অ্যাডভার্টাইজিং বাজার পৌঁছাবে প্রায় US$ 669.10 মিলিয়ন-এ।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান বা রিসার্চ রিপোর্টের ডাটা এনালাইসিস করলেই বুঝা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ডিমান্ড কমছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে। যেখানে digital marketing career গড়ার সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
কেন সবাই এখন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কথা বলছে?
কয়েক বছর আগেও মানুষ কিছু কিনতে হলে বাজারে যেত, দোকানে প্রাইস নিয়ে bargaining করত। আর এখন? এক কাপ চা হাতে নিয়ে মোবাইলের স্ক্রিনে গুগল বা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করলেই নিজের দরজায় প্রোডাক্ট চলে আসে. মানুষের কেনাকাটার অভ্যাস বদলে গেছে, আর সেই সঙ্গে বদলে গেছে ব্যবসা পরিচালনা করার ধরণও। ব্যবসাগুলোও বুঝে গেছে গ্রাহক যেখানে, তাদের উপস্থিতিও সেখানেই দরকার।
Facebook, Google, TikTok, YouTube প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম এখন হয়ে উঠেছে মার্কেটপ্লেস। ছোট হোক বা বড়, প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই এখন অনলাইন প্রোমোশন, বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের দিকে ঝুঁকছে।
এখন শুধু Ads না, মানুষ খুঁজছে এমন কনটেন্ট যা তাদের কথা বলে, সমস্যা বুঝে এবং সমাধান দেয়। একটা সময় যেখানে শুধু বড় কোম্পানিগুলোই প্রচার – প্রচারণা করতে পারত, এখন সেখানে যে কেউ অনলাইনে নিজেকে বা নিজের ব্যবসাকে প্রোমোট করতে পারে, যদি সে জানে কিভাবে digitally মার্কেটিং করতে হয় বা একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর পরামর্শ নেয়. বিশেষ করে, ২০২৫ সালের পরের সময়টা হবে ডিজিটাল যুগের সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তনের সময়।
তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন এক স্কিল, যেখানে ডেটা, কনটেন্ট আর টেকনোলজি একসাথে কাজ করে business গুলোকে মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসে. আর এই কারণেই আজ সবাই এই স্কিল নিয়ে কথা বলছে, শিখছে, এমনকি ক্যারিয়ার গড়ছে।
AI, automation এবং voice search যত বাড়বে, ততই বাড়বে সেই মানুষদের চাহিদা যারা ডিজিটাল দুনিয়াকে বুঝে, মানুষের আচরণ বুঝে সঠিকভাবে ব্র্যান্ডকে উপস্থাপন করতে জানে।
২০২৫ পরবর্তী Digital Marketing Landscape কেমন হবে?
সময় বদলাচ্ছে, আর তার সঙ্গে বদলাচ্ছে মার্কেটিংয়ের ধরণও। ২০২৫ সালের পরবর্তী সময় গুলোতে digital marketing শুধু Facebook পোস্ট, এড রান বা Google ad পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না। এখন AI, automation আর data-driven strategy পুরো সেক্টরটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলছে, যা স্পষ্টভাবে দেখায় future of digital marketing কতটা dynamic হতে চলেছে।
Artificial Intelligence অনেক repetitive কাজ সহজ করে দিচ্ছে যেমন কন্টেন্ট সাজানো, ক্যাম্পেইন অপ্টিমাইজ করা, এমনকি ট্রেন্ড বুঝে সঠিক সময় পোস্ট করার মতো কাজগুলো এখন AI-ই সামলাচ্ছে। কিন্তু তারপরও human creativity-র গুরুত্ব থেকেই যায়। কারণ যতই টুলস আসুক, মানুষের feelings বোঝার ক্ষমতা, গল্প বলার টোন আর ক্রিয়েটিভ থিংকিং এগুলো কখনোই কোনো AI রিপ্লেস করতে পারবে না।
High demand skills for the next 10 years হিসেবে SEO, Social Media Strategy, video marketing, data analytics আর content storytelling থাকবে শীর্ষে। বিশ্বব্যাপী voice search, personalization, short-form video content-এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। যার মানে এখন মানুষ চায়, কোনো ব্র্যান্ড বা ব্যবসা তাদের সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সেল করার পাশাপাশি কাস্টমার এর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুক, যেন তারা একে অপরের ওপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন নয়। প্রতিদিন নতুন নতুন অনলাইন ব্যবসা গড়ে উঠছে, উদ্যোক্তারা নিজের পণ্যকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাইছে। তাই এখানকার মার্কেটেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ শুধু উজ্জ্বল নয়, বরং অনেক বড় সম্ভাবনার জায়গা তৈরি করছে।
শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাক না কেন, ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিশ্বাস আর আবেগের ওপর। আর সেই আবেগটাই সৃষ্টি করতে পারে একজন সচেতন ও দক্ষ digital marketer।
বাংলাদেশে Digital Marketing Career কতটা সম্ভাবনাময়?
আজকাল শুধু বড় কোম্পানিই না, ছোট একটা অনলাইন দোকান বা হোম বিজনেসও এখন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা গুগলের মাধ্যমে গ্রাহক খুঁজে নিচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে digital marketing career–এর চাহিদা। কারণ ব্যবসা যত অনলাইনে যাচ্ছে, তত বেশি দরকার এমন মানুষ যারা জানে কীভাবে ব্র্যান্ডকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হয়।
লোকাল মার্কেটে কাজের সুযোগ যেমন দ্রুত বাড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও digital marketers-এর চাহিদা আকাশচুম্বী। Upwork, Fiverr বা LinkedIn-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা এখন নিয়মিত প্রজেক্ট পাচ্ছে SEO, content marketing, social media strategy, আর paid campaign–এর মতো কাজের জন্য।
এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এখন অনেকেই digital marketing course in Bangladesh করে নিজেদের স্কিল তৈরি করছেন। কারণ এই স্কিল একবার আয়ত্তে আনলে শুধু চাকরির বাজারে নয়, freelancing এবং উদ্যোক্তা হিসেবেও অসীম সম্ভাবনা তৈরি হয়।
আজকের দিনে কেউ যদি নিজের skill development–এ সময় দেয়, আগামী কয়েক বছরে তার জায়গা হবে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন প্রফেশনালদের তালিকায়। আজকের দিনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ মানে শুধু একটা চাকরি না, বরং নিজের ক্যারিয়ারটাই পাল্টে দেওয়ার সুযোগ থাকে। এই স্কিলটা থাকলে আপনি চাইলেই কাজ করতে পারেন দেশের যেকোনো কোম্পানিতে, আবার বিশ্বের নানা প্রান্তের ক্লায়েন্টদের সাথেও। একটা ল্যাপটপ, ইন্টারনেট আর শেখার ইচ্ছে থাকলেই শুরু করা যায়.
ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা নিরাপদ?
অনেকে ভাবে, automation এলে মানুষের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আসলে তা নয়, automation শুধু repetitive কাজগুলো করে দেয় আর ক্রিয়েটিভ সিদ্ধান্ত, মানুষের ইমোশন বোঝা আর strategy তৈরি করার কাজটা থেকে যায় কিন্তু মানুষের হাতেই। তাই ২০২৫-এর পরেও digital marketing career একদমই হারিয়ে যাবে না, বরং আরও নতুনভাবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরী করে দিবে।
আজকে একজন digital marketer যদি নিজের skill development-এ মনোযোগ দেয়, নিয়মিত নতুন টুল আর ট্রেন্ড শেখে, তাহলে তার ক্যারিয়ার অনেক বেশি নিরাপদ। বাংলাদেশের মার্কেটে বর্তমানে একজন digital marketing executive গড়ে মাসে ৩০,০০০–৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। আর আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে, একই কাজের জন্য আয় হয় ৫০০ থেকে ২০০০ ডলার পর্যন্ত প্রতি মাসে, যা অভিজ্ঞতা আর কাজের ধরন অনুযায়ী আরও বাড়ে।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এখানে আপনি একসাথে দুইভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। একদিকে কোম্পানিতে চাকরি, আরেকদিকে freelancing + remote job করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ। তাই যদি কেউ প্রশ্ন করে, “Is digital marketing a good career?” উত্তরটা একদম ক্লিয়ার, “হ্যাঁ, এবং এটা ভবিষ্যতের সবচেয়ে promising career path গুলোর একটি।”
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করবো কীভাবে?
অনেকে ভাবে, digital marketing মানে শুধু Facebook পোস্ট বা ad run করা। আসলে এটা অনেক বড় একটা ক্ষেত্র যেখানে ধাপে ধাপে শেখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা হওয়া উচিত awareness দিয়ে যেমন বুঝে নেওয়া আসলে digital marketing কী, কোথায় ব্যবহার হয়। তারপর আসে learning phase যেখানে SEO, social media, email marketing, content creation আর analytics-এর মতো skills গুলো শেখা হয়। এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো practice। নিজের প্রজেক্টে কাজ করা, একটা ছোট portfolio বানানো এবং ধীরে ধীরে বাস্তবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
অনলাইনে অনেক free digital marketing course পাওয়া যায়, যেমন Google Digital Garage, HubSpot Academy বা YouTube-এর কিছু বাংলা চ্যানেল থেকেও অনেক কিছু শেখা সম্ভব। তবে, free resources সবসময় গাইডেড হয় না, তাই অনেকেই মাঝপথে বুঝে ওঠে না কোথা থেকে শুরু করবে বা কোনটা শেখা দরকার।
এই জায়গাতেই eShikhon-এর মতো skill development institute গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে beginner থেকে expert হওয়ার একটা clear step-by-step roadmap আছে। যারা একদম শুরু থেকে শেখতে চায়, তাদের জন্য আমরা রেখেছি ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ইন বাংলাদেশ, যেখানে আপনি বেসিক ধারণাগুলো পাবেন একদম সহজভাবে। চাইলে Free Digital Marketing Course থেকেই শুরু করতে পারেন, তারপর পুরো professional course করে একটা complete career গড়তে পারেন।
Freelancing দিয়ে Digital Marketing career শুরু করবেন কীভাবে?
আজকাল অনেকেই জানতে চান, how to start freelancing with no experience বা একজন student হিসেবে freelancing করা কি সম্ভব? উত্তর হলো – অবশ্যই সম্ভব, যদি আপনার হাতে থাকে সঠিক freelancing skills for beginners আর শেখার ইচ্ছে।
এখনকার অনলাইন মার্কেটে SEO, Social Media Marketing (SMM) আর Content Marketing হলো সবচেয়ে demandable skill. কারণ প্রতিটি ব্যবসাই চায়, তাদের ব্র্যান্ড অনলাইনে active হোক, sell বাড়ুক আর গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হোক। এই কাজগুলোই করে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার।
আপনি যদি একদম নতুন হন, তাহলে প্রথম ধাপ হবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে শিখবো সেটা বোঝা। eShikhon-এর মতো skill development institute থেকে শেখা শুরু করতে পারেন। ভালো ভাবে শেখার পর নিজের freelancing profile তৈরি করুন Fiverr, Upwork বা LinkedIn Marketplace-এ। শুরুতে ছোট কাজ নিন, প্রজেক্ট ডেলিভারি ভালোভাবে করুন, ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভদ্রভাবে যোগাযোগ রাখুন এখান থেকেই আপনার প্রথম আয়ের যাত্রা শুরু হবে।
বাংলাদেশে অনেক ছাত্র এখন পড়াশোনার পাশাপাশি freelancing করে মাসে ১৫,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছে, আবার অভিজ্ঞরা মাসে ১ লাখ টাকারও বেশি ইনকাম করছেন। তাই আপনি চাইলে এখনই শুরু করতে পারেন হোক সেটা part-time freelancing বা full-time career হিসেবে।
SEO ও Social Media Marketing – দুটি স্কিল কেন সবসময় demand-এ থাকবে?
ডিজিটাল দুনিয়ায় Search Engine Optimization (SEO) আর Social Media Marketing (SMM) হলো এমন দুটি স্কিল, যেগুলোর চাহিদা কখনোই কমবে না। কারণ প্রতিটি ব্যবসাই চায়, তাদের ওয়েবসাইট Google-এর প্রথম পেজে থাকুক, ব্র্যান্ডের নামটা মানুষের নিউজফিডে ঘুরে বেড়াক।
Search Engine Optimization (SEO) অনেক জনপ্রিয়, কারণ এখানকার ব্যবসাগুলো Local SEO-এর মাধ্যমে নিজেদের এলাকাভিত্তিক গ্রাহক বাড়াতে পারছে। আবার যারা গ্লোবাল মার্কেটে কাজ করতে চান, তাদের জন্য Global SEO দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সুযোগ।
অন্যদিকে, যারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চান, তাদের জন্য Facebook, Instagram, YouTube এখন এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম। ব্র্যান্ড প্রমোশন, পেইড ক্যাম্পেইন আর কনটেন্ট ক্রিয়েশন সব জায়গায়ই দক্ষ মার্কেটারদের চাহিদা তুঙ্গে।
তাই যারা ক্যারিয়ার শুরু করতে চান, তারা এখনই best SEO course in Bangladesh বা Social Media Marketing শেখা শুরু করলে, ভবিষ্যতে এই স্কিলগুলো দিয়েই স্থায়ী ও লাভজনক ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সময়, খরচ ও বাস্তব প্রস্তুতি
অনেকে জানতে চান, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে? সাধারণভাবে বলা যায়, যদি নিয়মিত সময় দিয়ে শেখা যায়, তাহলে ৩ থেকে ৬ মাসেই একজন শিক্ষার্থী বেসিক থেকে প্রফেশনাল লেভেল পর্যন্ত স্কিল গড়ে তুলতে পারেন। তবে শুধু সময় নয়, শেখার ধৈর্য আর প্র্যাকটিসই এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে কি কি শেখানো হয় ? একটি ভালো কোর্সে থাকে SEO, Social Media Marketing, Email Marketing, Google Ads, Analytics, এবং Content Marketing-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এগুলো একসাথে শেখার মাধ্যমে আপনি পুরো অনলাইন মার্কেটিং সিস্টেমটা বুঝে ফেলবেন।
এখানে একটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার, তা হলো শেখা মানেই সঙ্গে সঙ্গে আয় শুরু হবে না। বাস্তবে শেখা → প্র্যাকটিস → ছোট প্রজেক্ট → ক্লায়েন্ট কাজ, এই টাইমলাইন অনুসরণ করলেই ভালো ফলাফল আসবে। তাই কোর্সের পাশাপাশি কিছু practice project বা internship করা উচিত, এতে এক্সপেরিয়েন্স বাড়ে আর আত্মবিশ্বাসও তৈরি হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে? শুধু ল্যাপটপ, ইন্টারনেট আর শেখার ইচ্ছা, এই তিনটি জিনিস থাকলেই শুরু করা যায়।
ভবিষ্যতের জন্য এখনই কেন স্কিল ডেভেলপ করা দরকার?
আজকের চাকরির বাজারে শুধু ডিগ্রি থাকলেই হয় না। এখন টিকে থাকতে হলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোম্পানিগুলো এমন মানুষ চায় যারা বাস্তবে কাজ জানে, ফলাফল দিতে পারে আর নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
একটা কথা মনে রাখুন, সময় করার জন্য অপেক্ষা করে না। আজ যদি আপনি শেখা শুরু করেন, আগামীকাল আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। আপনি digital marketing career শুরু করতে পারেন freelancing দিয়ে, নিজের ব্যবসা বাড়াতে কিংবা দেশের-বিদেশের কোম্পানিতে কাজের সুযোগও তৈরি করতে পারেন।
এখনই সময় নিজের ওপর বিনিয়োগ করার, নিজের ভবিষ্যতকে নিরাপদ করার। আপনি চাইলে eShikhon-এর Digital Marketing Course in Bangladesh দিয়েই শুরু করতে পারেন এই যাত্রা। আজ যে সিদ্ধান্তটা নেবেন, সেটাই আগামীতে আপনার ক্যারিয়ারকে নতুন পথে নিয়ে যাবে।
এরকম আরও গাইড, টিপস আর সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন eShikhon Blog Page.
Frequently Asked Questions
ক্যারিয়ার এর জন্য দুটো পথই ভালো, এটা নির্ভর করে আপনার lifestyle ও লক্ষ্যের উপর। যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, ফ্রিল্যান্সিং দারুণ। আর স্থায়ী ইনকাম ও টিমে কাজ করতে চাইলে চাকরি ভালো অপশন।
AI টুল দিয়ে এখন Campaign Research, Content Idea, Copywriting এমনকি ডেটা এনালাইসিসও করা যায় কয়েক মিনিটে। তবে Tool শুধু সাহায্য করবে, সিদ্ধান্তটা নিতে হবে আপনাকেই।
সবচেয়ে বড় ভুল হলো প্রাকটিস না করে শুধু থিওরি শেখা। অনেকে একসাথে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করে, কিন্তু একটা স্কিলও ভালোভাবে শেখে না. এরকম অভ্যাস এভয়েড করা উচিত।
অবশ্যই সম্ভব। প্রথমে ছোটভাবে শুরু করে ২–৩টা ক্লায়েন্ট নিয়ে কাজ করা যায়. ভালো রেজাল্ট দিলে ও রেফারাল পেলে ধীরে ধীরে এজেন্সি বড় হবে।
হ্যাঁ, অবশ্যই পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং টেক নয়, এটা বেশি ক্রিয়েটিভিটি ও স্ট্র্যাটেজির কাজ। শুধু শেখার ইচ্ছা থাকলেই এই ফিল্ডে সাকসেস সম্ভব।