
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে কিছু আলোচনাঃ
বর্তমানে যারা অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন বা মোবাইল চালান মোবাইলে দেখে থাকবেন বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস রয়েছে। এবং অনেকেই এগুলোকে মোবাইলের সফটওয়্যারও বলে থাকে। Android Apps Development করার জন্য কি কি শিখতে হবে, কোথায় যেতে হবে, কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত থাকবে আজকের এই আলোচনায়।
Android Apps Development কিঃ
Android Apps মূলত আমরা যে স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার করে থাকি এই ফোনের ব্যবহৃত যে সমস্ত সফটওয়্যার গুলো রয়েছে সেগুলোকে বোঝায়। দৈনন্দিন কাজে বিভিন্ন কাজ করার জন্য মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় এখানে একটি সফটওয়্যার অ্যাপস হচ্ছে Android Apps. এবং এই প্রত্যেকটি অ্যাপস বা সফটওয়্যার এক এক জন ব্যক্তি নির্মাণ করে থাকেন বা বানিয়ে থাকেন। স্মার্টফোনের জন্য সফটওয়্যার বা এর বানানোর কাজটা হচ্ছে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট।
অ্যান্ড্রয়েড এপস ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে পার্থক্যঃ
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডিজাইন হলো একটি সফটওয়্যার এর বাহ্যিক দিকটা দেখতে কেমন হবে সেটা নির্ধারণ করা এবং ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে একটি অ্যাপস এর ভেতর থেকে কিভাবে কাজ করবে সেটা নির্ধারণ করাই হচ্ছে Android Apps Development। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডিজাইন মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি ডিজাইন করে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে কোম্পানি এপটি বানিয়ে দেবে তারা এপস এর পেটার্ন নির্ধারণ করে দেন। এবং সে অনুযায়ী অ্যাপসটি তৈরি করতে হয়।
অ্যান্ড্রয়েড এপস কেন শিখবঃ
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস আমরা এ কারণে শিখব এর ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। কেননা বর্তমানে মোবাইল এর ব্যবহারকারী এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় অনলাইন রিলেটেড কাজ রয়েছে বেশিরভাগই মোবাইল দাঁড়ায় সেরে ফেলেছে তাই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এর কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও একজন অ্যাপ ডেভেলপার এর মূল্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক উচ্চতায়। মূলত একটা সম্মানী পেশা এবং ভালো পরিমাণে আয় করার একটি মাধ্যম হিসেবে আমরা Android Apps Development শিখতে পারি।
অ্যান্ড্রয়েড এপস (Android Apps) ডেভেলপার হিসাবে ক্যারিয়ারঃ
ক্যারিয়ার হিসেবে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিতে চাইলে কেমন হবে সেটার অনেক ভালো। বর্তমানে মোবাইল ইউজার যেমনটা বাড়ছে তেমনি মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের ফিচার এবং বিভিন্ন ধরনের কাজের পরিধিও বাড়ছে তাই আপনারা চাইলেই যেকোনো রিলেটেড অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ (Android App) বানাতে পারেন। একজন ভাল মানের ডিজাইনার অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কে প্রতিনিয়ত কাজের পাচ্ছে এবং তাদের ইনকাম দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পরে। অনেক অ্যাপ ডেভলপার রয়েছে যারা প্রতিমাসে 10 লক্ষ থেকে 20 লক্ষ টাকা ইনকাম করছে শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে।
অ্যান্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট(Android Apps Development) শিখতে কেমন সময় লাগবেঃ
এ প্রশ্নটির উত্তর দিতে গেলে এভাবে বলতে হয় আপনি ঠিক কতটুকু আগ্রহী এবং প্রতিদিন কতটুকু সময় দিতে পারছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনার এন্ড্রোয়েড অ্যাপস ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করার কতদিন সময় লাগবে। আপনি যদি ভালোভাবে প্রতিদিন 6 থেকে 8 ঘণ্টা সময় অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শেখার কাজে বের করতে পারেন তাহলে তিন থেকে ছয় মাস কাজ করলেই মোটামুটি মানের একজন ডেভেলপার হতে পারবেন এবং এডভান্স মানে একজন অ্যাপ ডেভেলপার হতে আপনাকে থেকে 2 বছর কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
অ্যান্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট (Android Apps Development) শিখতে কেমন খরচ হবেঃ
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে কত টাকা খরচ হবে এ কথার উত্তর দিতে গেলে এভাবেই বলতে হবে যে আপনি টাকা ছাড়াই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারবেন। এবং যদি আপনার টাকা বেশি থাকে বা খরচ করার মন-মানসিকতা থাকেনা খুব দ্রুত কাজ শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই টাকা খরচ করেই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে হবে।
অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ফ্রি এবং পেইড দুই ভাবেই শেখা যায়।
১। ফ্রি মেথডঃ আপনি যদি ফ্রি ভাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ইউটিউব এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লগ বা অনলাইন কোর্স গুলো ভালভাবে আয়ত্ত করতে হবে এবং এর পেছনে প্রচুর পরিমানে সময় ব্যয় করতে হবে। কেননা এর পুরো দিকনির্দেশনা আপনার নিজেকেই দিতে হবে।
২। পেইড মেথডঃ যদি টাকা খরচ করে আপনি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান সেক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান থেকে শিখবেন তারা আপনাকে সম্পূর্ণ গাইড লাইন দেবে। এতে করে আপনার অনেক সময় বেচে যাবে এবং পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পারবেন কাজ সেটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি টাকা দিয়ে Android Apps Development শিখতে চান আপনার 10 থেকে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট (Android Apps Development) কিভাবে শিখবঃ
যদি আপনি ফ্রিতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ (Android Apps) শিখতে চান তাহলে চলে যান ইউটিউবের মাধ্যমে শিখতে পারবেন। সেখানে অসংখ্য ফ্রী কোর্স পেয়ে যাবেন সেগুলো দেখতে থাকুন এবং শিখতে থাকুন। যদি একটি কোর্স ভালো না লাগে তাহলে অন্য আরেকটি কোর্স দেখুন এভাবে দেখতে দেখতে দেখবেন এক সময় ভালো মানের ডেভলপার হয়ে গেছেন। আর আপনি যদি চান কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখবেন তাও পারবেন।
আর যদি টাকা খরচ করে (Android Apps Development) শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ যেকোনো ট্রেনিং সেন্টারে চলে যান তারা আপনাকে দিক-নির্দেশনা দেবে এবং কিভাবে শিখবেন কতটুকু সময় লাগবে কখন কখন শিখাবে সে নির্দেশনা অনুযায়ী শিখতে থাকুন।
অ্যান্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে কি কি শিখতে হবেঃ
Android Apps Development শিখতে কি কি শিখতে হবে এক্ষেত্রে যে ওয়েবসাইট বা যে ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিখবেন সে ট্রেনিং সেন্টারে দিক-নির্দেশনা দেবে কি কি শিখতে হবে তারপরও আমি বলে দিচ্ছি কি কি কাজ শিখতে হবে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য আপনাকে Android Studio Software টি সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে এবং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে এরমধ্যে প্রধানতঃ
১। জাভা/Java
২। কর্টলিন/Kotlin হতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য কি যোগ্যতা লাগবেঃ
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই মোটামুটি মানের ইংরেজি জানতে হবে কেননা বেশিরভাগ কোড গুলো ইংরেজিতে লেখা রয়েছে। এর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা প্রয়োজন নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক না কেন মোটামুটি ইংরেজি জানে আপনি শুরু করে দিতে পারেন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শেখা।
অ্যান্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট সেখার জন্য যা প্রয়োজন হবেঃ
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে গেলে অবশ্যই কিছু জিনিস আপনার প্রয়োজন হবে। যেমন,
একটি ভালো Desktopঅথবা Laptop কম্পিউটার
একটি স্মার্টফোন/Smart Phone (চাইলে ভার্চুয়ালি স্মার্টফোন ইউজ করতে পারেন)
ইন্টারনেট কানেকশন
১। দেশে অথবা বিদেশে অ্যাপের চাহিদা কেমনঃ
মোবাইল ব্যাবহার কারি দিন দিন বেরেই চলছে সাথে সাথে অ্যাপের চাহিদাও বাড়ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৪ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়েছে। যারা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে দিন্তু অ্যাপ ব্যবহার করে না এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।
সুতরাং যে কোনো ডেভেলপার অ্যাপ ডেভেলপ করে প্লে স্টোরে তা আপলোড করে কোনো জব করা ছাড়াই দারুণ আয় করতে পারে। আর যদি একটা অ্যাপ হয়ে যায় সেখান থেকে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।
২। অ্যাপ ডেভলমেন্ট শিখতে হলে কী কী বিষয় জানা থাকা দরকারঃ
অ্যাপ ডেভলপিং যেহেতু সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কাজ। তাই সবার প্রথমে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞানের পাশপাশি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো হবে। এরপর ঠিক করতে হবে কোন প্লাটফর্মের জন্য অ্যাপ ডেভেলপ করতে চান। কারণ প্রত্যেক প্লাটফর্মে আলাদা আলাদা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের দরকার হয়। যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষা শেখার পর আরো কিছু বিষয় জানতে হবে। যেমনঃ ভেরিয়েবল, অপারেটর, স্টেটমেন্ট, কন্ডিশন, ইটারেটর, মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, অ্যারে ও ফাইল অপারেশন। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনার তৈরি অ্যাপ্লিকেশনটির নকশা। কি অ্যাপ তৈরি করতে চাচ্ছেন, তার পরিষ্কার ধারণা।
৩। কাদের এই পেশায় আসা উচিত?
যারা শিক্ষিত বা আধা শিক্ষত ইংরেজি এবং ম্যাথ সম্পর্কে ভালো তারা এই পেশায় আসতে পারবেন। তবে তাকে অবশ্যই সৃষ্টিশীল মানসিকতার হতে হবে। আর যাদের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর প্রতি আগ্রহ রয়েছে কেবলমাত্র তাদেরই অ্যাপ তৈরি করতে আসা উচিত। সাধারণ নিষ্ঠা ও ধৈর্যের সাথে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করলে জবের উপর নির্ভর করতে হবে না। জব করার ইচ্ছে না থাকলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে এই সেক্টরে কাজ করা দারুণ একটা বিষয় হতে পারে। একটা ভালো মানের অ্যাপ তৈরি করতে পারলে, ওটা থেকে নিয়মিত টাকা আসতে থাকবে। কারো যদি স্বাধীন পেশা ভালো লাগে, তাহলে তিনি এই অ্যাপ ডেভেলপমেন্টকে বেছে নিতে পারেন।
৪। অ্যাপ ডেভলমেন্ট কিভাবে শুরু করবেনঃ
ভালোমানের আইটি ইন্সটিটিউড বা অনলাইন ট্রেনিং প্লাটফর্ম থেকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর ট্রেনিং করে এই পেশায় আসতে পারেন। চাইলে আমাদের ইশিখন.কম ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডেভেলপেমেন্ট লাইভ কোর্স করে নিজেকে সাভলম্বী করতে পারেন।
৫। একজন সফল অ্যাপ ডেভেলপারের কী কী গুণাবলী থাকতে হবে?
অ্যাপ ডেভেলপার হতে হলে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ালেখা করতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। তবে যে কেউই অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারবে। প্রথমে তাকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। থাকতে হবে সৃষ্টিশীল মানসিকতা, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, কাজের প্রতি একাগ্রতা, আন্তরিকতা ও ধৈর্য। যারা নিজে অ্যাপ তৈরি করে প্লে স্টোরে দিতে চায়, তাদের উচিত ইউনিক কিন্তু প্রয়োজনীয় এমন কোনো বিষয়ে অ্যাপ তৈরি করা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আর ক্লায়েন্টদের জন্য তৈরি করতে হলে ওই বিষয়ে পড়াশোনা করে যত্ন সহকারে কাজ করতে হবে।
৬। বাংলাদেশে অ্যাপ ডেভেলপারদের কী কী সমস্যা ও সুবিধা আছে?
অ্যাপ তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত অবস্থা অনেক টা ভালো। প্রথম সমস্যা ইন্টারনেটের গতি। কম গতির কারণে বড় এসডিতে ফাইলগুলো নামাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়। এই এসডিকেগুলো মাঝে মাঝেই আপডেট দিতে হয়। যারা লিমিটেড মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে, একবার আপডেট দিতে তাদের এক মাসের জন্য কেনা ব্যান্ডউইথ এক সাথেই শেষ হয়ে যায়। এছাড়া অনলাইনে এসংক্রান্ত যেসব রিসোর্স রয়েছে, সেগুলোও সহজলভ্য নয়। দ্বিতীয় কারণ মূলধনের অভাব। মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে একজন ডেভেলপারকে ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিনতে হয়। আর সেটি যদি অ্যাপলভিত্তিক অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হয়, তাহলে তাঁর খরচ বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে যায়।
৭। স্থায়িত্বের বিচারে পেশা হিসেবে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কতটুকু সম্ভাবনাময়?
মোবাইল গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ টু গাইডেন্সের মতে, অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের এই যে, বিশাল বাজার, তার ৬৬ শতাংশ কাজই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ শতাংশ ছোট খুচরা ব্যবসায়ী, ৭৭ শতাংশ বড় ব্যবসায়ী, ৭৫ শতাংশ ব্র্যান্ড, ৫৯ শতাংশ স্টোর এবং ৭৮ শতাংশ ফাস্টফুড শপ অ্যাপ ব্যবহার করে। ই-কমার্সে অ্যাপের ব্যবহার দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করার পাশাপাশি অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। গত বছর ইবে অ্যাপের মাধ্যমে ২০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তাছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে অ্যামাজনের বার্ষিক আয় পাঁচ বিলিয়নেরও বেশি। বিলিয়ন ডলারের এই অ্যাপ-বাজারে বাংলাদেশি অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বয়েছে এক উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের হাতছানি। এছাড়া যারা অ্যাপ তৈরি করতে পারে, নতুন কোন প্লাটফর্ম এলে তারা সহজেই সুইচ করতে পারবে। তাই স্থায়িত্বের কথা চিন্তা না করেই এই পেশা আসা যায়।
৮। অ্যাপ ডেভলপার মাসে কত টাকা ইনকাম করেঃ
একজন ডেভেলপার কত টাকা আয় করবে, তা ডেভেলপারের উপর নির্ভর করবে। সে চেষ্টা করলে ভালো টাকা আয় করতে পারবে। সঠিক প্রচারণা কৌশল ও ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ইউনিক অ্যাপ তৈরি করলে এই বাজার ধরতে তেমন কষ্ট করতে হবে না হবে না। অ্যাপগুলো থেকে টাকা আয় করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। প্লেস্টোর থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং বিভিন্ন কম্পানিতে ভালো টাকার বেতনে জব করতে পারবেন।
সর্বশেষে আমাদের পরামর্ষঃ
সবশেষে আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি যদি Android Apps Development শিখতে চান বা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো ভাবে কাজ শিখতে হবে। আপনি যেটা গুগল বা ইউটিউব থেকে শিখুন অথবা কোনো আইটি সেন্টার থেকে। আইটি সেন্টার থেকে শিখলে আবশ্যই কোর্স কারিকুলাম এবং বিস্তারিত যেনে ভর্তি হবেন। কোনো ভূয়া প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতারিত হবেন না।
আমাদের ইশিখন.কম দিচ্ছে প্রফেশনাল মানের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স করার সুযোগ। কোর্স কারিকুলাম নিচে দেওয়া হলোঃ-