
কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
কারিগরি শিক্ষাকে আরও জনপ্রিয় করার উপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব নয়।
রোববার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইডিইবি) মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিংএনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের সহায়তায় এই কর্মশালা আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার কিন্তু কারিগরি শিক্ষা হলো অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। সরকার কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ডিজিটাইজেশনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যুগোপযোগী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন এবং শিক্ষা প্রশাসনের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল পুনর্গঠন করে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে ভিশন ২০২১ অর্জন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে ২০৪১ খ্রিস্টাব্দে মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত করার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জনের জন্য কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের কোন বিকল্প নেই।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ১৪ শতাংশ ভর্তি হার নিশ্চিত করেছি। সরকার এই হার ২০২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ২০ শতাংশ ও ২০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ৩০ শতাংশ করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতি উপজেলায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, আরও ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং বিভাগীয় শহরে আরও ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস।