
দেশের ৯৫টির মধ্যে ২৩টিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধক্ষ্য না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এসব বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পরিচালিত হয় তা খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসিকে) খোঁজ নিতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার বঙ্গভবনে ৫৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে সাক্ষাতের সময় বিশ্ববিদ্যলয়গুলোর আচার্য আবদুল হামিদ এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে ওই সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধক্ষ্য না থাকায় রাষ্ট্রপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে এসব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আবদুল হামিদ। ওই বৈঠকে রাষ্ট্রপতি পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ছে। এরফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলোকে এ বিষয়ে তদারকি করার জন্য কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।’
আবদুল হামিদ সাক্ষাতের সময় বলেন, শিক্ষার মান যেকোন মূল্যে বজায় রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানের ও যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে। একই সাথে রাষ্ট্রপতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের মনিটরিং করতে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, “শিক্ষার্থীরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পাস করার পর যাতে সেই স্বপ্ন ভেঙে না যায়- সেদিকে নজর দিতে হবে।” আবদুল হামিদ মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতে আধুনিক গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার স্থাপনের আহ্বানও জানান।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইউজিসি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: