৩৮ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি :: আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি (New )“ বিমসটেক থেকে প্রশ্ন আসবে।
————-
. :: সম্ভাব্য প্রশ্ন:
১। বিমসটেক কি ধরণের সংস্থা? এর পূর্ণরূপ, পূর্বনাম, গঠনের প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য, কার্যনীতি উল্লেখ কর
২। ‘লুক ওয়েস্ট পলিসি’ এবং ‘লুক ইস্ট পলিসি’ কোন দেশসমূহের সাথে জড়িত? বিমসটেক এর সাথে এটি কিভাবে সম্পর্কযুক্ত?
৩। সার্ক চ্যার্টার এর দুর্বলতা কাটিয়ে বিমস্টেক কিভাবে একটি ‘কার্যকর আঞ্চলিক সংস্থা’ হতে পারে?
৪। বিমসটেক কিভাবে ‘আঞ্চলিক কানেকটিভিটি’ প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখতে পারে?
৫। বিমসটেক কিভাবে ‘আঞ্চলিক সমৃদ্ধির প্লাটফর্ম’ হিসেবে কাজ করতে পারে?
৬। বিমসটেকের মাধ্যমে কিভাবে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে?
.
:: লিখিত সিলেবাসে উল্লেখকৃত (আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি):
Section A: Conceptual Issues = International Economic Relations: International trade, free trade, FDI, regionalism & regionalization.
Section B: (Empirical Issue) = BIMSTEC
.
:: কেন প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মনে হচ্ছে?
১। গত বত্সর ঢাকায় বিমসটেক এর সচিবালয় চালু হয়েছে।
২। সার্ক চ্যার্টার এর দুর্বলতা ও সার্কে রয়েছে ঐক্যের অভাব। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সমৃদ্ধির প্লাটফর্ম হিসেবে সার্ক এর বিকল্প হতে পারে বিমসটেক। (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)
.
==
.
বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকনমিক কোঅপারেশন বা সংক্ষেপে বিম্সটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েকটি দেশকে নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। মূলত বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে অবস্থিত দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য গঠিত ফোরাম/সংস্থাই হলো বিমসটেক।
.
:: পূর্ণরূপ :
Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation (BIMSTEC)
.
:: পূর্বনাম :
Bangladesh, India, Sri Lanka and Thailand Economic Cooperation (BISTEC)
.
:: সদর দপ্তর :
এর সদর দপ্তর ঢাকায় গুলশানে অবস্থিত। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমস্টেকের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
.
:: সদস্যভূক্ত দেশসমূহ :
বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপাল।
.
:: গঠনের প্রেক্ষাপট :
১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকাও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে “ব্যাংকক ডিক্লারেশন” এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বে অফ বেঙ্গল ইকনমিক কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন গঠিত হয়। পরে সদস্য দেশগুলোর নামানুসারে সংগঠনটির নাম রাখা হয় BISTEC; বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন। পরে এতে মায়ানমার যোগ দিলে নাম দাঁড়ায় BIMSTEC। ভুটান ও নেপাল ২০০৪ সালে সংগঠনটিতে যোগ দিলে সংগঠনটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
.
:: লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য :
বিমস্টেকের গঠনের পেছনে মৌল উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে: অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পরিবেশ তৈরি করা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কারিগরি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জ্বালানি, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনীতিতে গতিময়তা আনয়নের বৃহত্তর স্বার্থে প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়ন উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্জন করা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক, সামাজিক, কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সহায়তা করা, যৌথ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহযোগিতাপূর্ণ এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সুবিধা সহযোগী সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কর্মকাণ্ডে ব্যাপ্ত করা। সদস্যরাষ্ট্র একে অন্যের সহযোগিতায় বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষতায় সিনার্জী তৈরি হবে।
.
১। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সহ পর্যটন, কৃষি, জ্বালানি ও অবকাঠামো এবং পরিবহন খাতে নির্দিষ্ট সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সক্রিয় পরিবেশ সৃষ্টি করা।
২। অর্থনৈতিক সাম্য ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উপ-অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা।
৩। অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্বি করা।
৪। শিক্ষা, পেশা এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সুবিধা প্রদান।
৫। যৌথ প্রচেষ্টায় সদস্য রাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করা এবং পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নতি করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
৬। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং লাভজনক সহযোগিতা বজায় রাখা।
.
.
:: মূলনীতি:
১। সার্বভৌম সমতা, ভৌগলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নীতর উপর ভিত্তি করে এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পারস্পরিক সুবিধা ও সহযোগিতার জন্য কাজ করা।
.
.
:: কার্যনীতি:
সংস্থাটি ১৪ টি সেক্টর নিয়ে কাজ করে। যথা:
1. Trade & Investment (বাণিজ্য ও বিনিয়োগ)
2. Technology (প্রযুক্তি)
3. Energy (শক্তি)
4. Transport & Communication (পরিবহন ও যোগাযোগ)
5. Tourism (পর্যটন)
6. Fisheries (মৎস্য)
7. Agriculture (কৃষি)
8. Cultural Cooperation (সাংস্কৃতিক সহযোগিতা)
9. Environment & Disaster Management (পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা)
10. Public Health (জনস্বাস্থ্য)
11. People to People (পিপলস টু পিপলস)
12. Poverty Alleviation (দারিদ্র্য বিমোচন)
13. Counter-Terrorism and Transnational Crime (কাউন্টার-টেররিজম এবং ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম)
14. Climate Change (জলবায়ু পরিবর্তন)
.
.
:: প্রশ্ন: ‘লুক ওয়েস্ট পলিসি’ এবং ‘লুক ইস্ট পলিসি’ কোন দেশসমূহের সাথে জড়িত? বিমসটেক এর সাথে এটি কিভাবে সম্পর্কযুক্ত?
বিমসটেক-কে বলা হচ্ছে থাইল্যান্ডের ‘লুক ওয়েস্ট পলিসি’ এবং ভারতের ‘লুক ইস্ট পলিসি’ এর সম্মিলন। অবশ্য উদ্যোগটি থাইল্যান্ডেরই। এর আর একটি দিক হল সার্ক ও আসিয়ানের সংযোগ। এখানে আছে সার্ক-এর ৫টি দেশ এবং আসিয়ানভুক্ত দেশ থাইল্যান্ড। বিমসটেকে অংশগ্রহণের বিষয়ে থাইল্যান্ডের আবেদনে ভারতের সাড়া দেয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে সহজে যোগাযোগ স্থাপন, অনুন্নত এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আসাম, অরুনাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং সিকিমে আন্ত:নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ রাজ্যগুলো সেভেন সিস্টার্স হিসেবে পরিচিত এবং স্বাধীন হতে চায়। সেভেন সিস্টারের সাথে সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভুটানের। বিমসটেক রোড কানেক্টিভিটির আওতায় ভারত সেভেন সিস্টারের সাথে সহজে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এক্ষেত্রে চীনের নেতৃত্বে কুনমিং ইনিসিয়েটিভ এ যোগ দেয়ার প্রয়োজন কমবে। বিমসটেক ‘রিজিওনাল কানেকটিভিটি’ এর আওতায় ভারতের ‘ল্যান্ড নক’ সেভেন সিস্টারের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারেরও সুযোগ তৈরি হতে পারে।
.
.
:: প্রশ্ন: সার্ক চ্যার্টার এর দুর্বলতা কাটিয়ে বিমস্টেক কিভাবে একটি ‘কার্যকর আঞ্চলিক সংস্থা’ হতে পারে?
বর্তমান বিশ্বে পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া কোন দেশের পক্ষে এগিয়ে যাওয়ার কথা কল্পনাও করা যায় না। আর এ ক্ষেত্রে কার্যকর আঞ্চলিক সহযোগিতার কোন বিকল্প নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য, দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন সার্ক যে প্রত্যাশা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, বাস্তবে সেই প্রত্যাশা পূরণ থেকে আমরা অনেকটাই দূরে রয়ে গেছি। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা না হওয়ায় তিন দশক বয়সী দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন (সার্ক) প্রায় একটি অকার্যকর সংস্থায় পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে বিমসটেককে একটি কার্যকর আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারে।
.
.
:: প্রশ্ন: বিমসটেক কিভাবে ‘আঞ্চলিক কানেকটিভিটি’ প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখতে পারে?
বৈশ্বিক অর্থনীতির ভরকেন্দ্র ক্রমেই এশিয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। চীন, জাপান পশ্চিমের সমান্তরালে একটি অবস্থান এরই মধ্যে নিতে সক্ষম হয়েছে। ওই পথের অনুগামী হলো বিমসটেক দেশগুলো। সংস্থাটি পূর্ণ অবয়ব নিয়ে কার্যকর হলে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে সহজেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
.
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংযোগ প্রসারের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বিকশিত হচ্ছে। আঞ্চলিক দেশগুলোর এই বাস্তব উপলব্ধি সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের বার্তাই বহন করছে।
.
একটি ট্রান্সন্যাশনাল হাইওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মায়ানমার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগের কেন্দ্রবিন্দু। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারিত হবে। সম্ভব হবে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানো। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর উলি্লখিত চারটি দেশ ব্যবহার করতে পারলেও, এর ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।
.
.
:: প্রশ্ন: বিমসটেক কিভাবে ‘আঞ্চলিক সমৃদ্ধির প্লাটফর্ম’ হিসেবে কাজ করতে পারে?
বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যকার সেতুবন্ধন। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে গভীর বোঝাপড়া ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করতে পারে বিমসটেক।
.
এ অঞ্চলে বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি মানুষের বাস। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপি’র পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। যার সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলের জনগণের জীবনমানসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব।
.
বহুমুখী খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে একটি উত্কৃষ্ট ও আরো সমৃদ্ধ ভবিষ্যত্ গড়তে এ অঞ্চলের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে এক অনন্য প্লাটফরম হিসাবে কাজ করতে পারে বিমসটেক।
.
বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভুটান ও নেপাল। বিমসটেক অঞ্চলের মধ্যে বাস করে দেড়শ’ কোটি মানুষ, যেটি বিশ্ব জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। অথচ বিশ্বের সম্পদ ভোগের ক্ষেত্রে এরা অনেক পিছিয়ে। কাজেই এই বিপুল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে নিজেদেরই সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এই সত্যকে উপলব্ধি করেই সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে।
.
এই অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে উন্নয়নের একটি প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ। সহযোগিতার ১৪টি ক্ষেত্রের মধ্যে কাউন্টার টেররিজম ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগও রয়েছে।
বিমসটেক দক্ষিণ এশিয়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। বিকাশমান অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক কারণে এতদঞ্চলের গুরুত্ব আজ যে কোন সময়ের চাইতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জোটভুক্ত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা এক দশমিক ৩ বিলিয়ন, যেটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ। একই সঙ্গে সম্মিলিত জিডিপির পরিমাণ দুই দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার।
.
.
:: প্রশ্ন: বিমসটেকের মাধ্যমে কিভাবে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে?
পূর্বমুখী উন্নয়নে গতিশীল নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা, ভারতে আছেন নরেন্দ্র মোদী, মিয়ানমারে আছেন অং সান সু চি, নেপালে আছেন কেপিশর্মা অলী। জননেত্রী যেভাবে তার নেতৃত্ব গুণে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিচ্ছেন তেমনি তিনি চাইলে বিমস্টেক আরো গতিশীলতা পেতে পারে। বিমস্টেকের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াকে সংযুক্ত করার প্রয়াস নেয়া যেতে পারে। আসলে পূর্বমুখী পরিকল্পনার সার্থক রূপ পেতে হলে বিমস্টেক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোগকে ঢেলে সাজাতে হবে। সর্বাগ্রে ধরতে হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, কাঠামোগত সংস্কার এবং জ্ঞান গবেষণা, বিজ্ঞান-সংস্কৃতি সর্বমুখী অথচ কার্যকর শিক্ষার মান উন্নয়ন। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক উচ্চশিক্ষা কাঠামো গঠনে জননেত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারেন কেননা বঙ্গবন্ধু কন্যা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার মর্যাদা রক্ষায় সবসময়ে, সচেষ্ট রয়েছেন। এরপরই আসে স্বাস্থ্য খাত। এখাতেও প্রচুর সহযোগিতা আবশ্যক। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বিমস্টেক পারস্পরিক সহযোগিতা করতে পারে। আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিমস্টেকের গতিশীল ভূমিকা বাঞ্ছনীয়। অন্যদিকে Food security নিশ্চিত করতে শস্য ভাণ্ডার হিসেবে বিমস্টেক যাতে কার্যকর হয় সেজন্য পদক্ষেপ বাঞ্ছনীয়। ভারত যদি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে এবং থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এগিয়ে আসে তবে একটি সত্যিকার আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে বিমস্টেক আসিয়ানের মতো আগামী দশবছরে শক্তিশালী হতে পারে।
.
উন্নয়নের একটি বড় শর্তই হলো গণতান্ত্রিক পরিবেশ। আশার কথা, বিমসটেক দেশগুলো গণতান্ত্রিক ধারার পথেই রয়েছে। এটাও দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের বড় স্তম্ভ।
.
বিমসটেককে একটি কার্যকর আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধের নিষ্পত্তি জরুরি। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের ওপর চেপে আছে। মায়ানমারের রাজনৈতিক সমস্যা ও সহিংসতার কারণেই বিভিন্ন সময়ে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এ সমস্যার সমাধান হতে হবে।
0 responses on "বিসিএস পরামর্শ -২"