সম্প্রতি ইউরোপে বন্যার কারণ ওমেগা ব্লক
==
চলুন দেখে নেয়া যাক ওমেগা ব্লক কি?
–
ওমেগা ব্লগ আবহাওয়ার এমন একটা অবস্থা যার কারণে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপের বৃহদাঞ্চল হঠাৎ নিুচাপের মধ্যে পড়ে। এ সময় সাধারণ পশ্চিমা বায়ু তার গতিপথ হারিয়ে ফেলে। জেট স্ট্রিম নামে পরিচিত এ বায়ু উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে সাধারণত দুই থেকে তিন ধরনের হয়ে থাকে এবং ভূমির কয়েক মাইল ওপর দিয়ে সংকীর্ণ ও শক্তিশালীরূপে প্রবাহিত হয়। ওমেগা ব্লকের প্রভাবে আবহাওয়ার যেসব পরিবর্তন ঘটে তা এখানে তুলে ধরা হল।
নিম্নচাপ :
ওমেগা ব্লকের কারণে গত সপ্তাহের শেষ দিকে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপে অতি নিুচাপ দেখা দেয়। ফলে বাতাস একেবারেই অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বাতাসের ঘূর্ণিপ্রভাবে সেখানে দ্রুত মেঘ সৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টিপাত ঘটায়। সাধারণ অবস্থায় নিুচাপ পশ্চিমা বায়ুর (জেট স্ট্রিম) ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু ওমেগা ব্লকের এই ক্ষেত্রে নিম্নচাপ জেট স্ট্রিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অতিশয় মন্থর গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। বাতাসে মিশে থাকা জলীয়বাষ্প সূর্যের সামান্য তাপ সংগ্রহ করে ভারিবর্ষণ হয়ে গলে পড়ছে এবং ব্যাপক মাত্রায় ঝড়-বৃষ্টির সৃষ্টি করছে।
,
আদ্র বায়ু :
নিম্নচাপের পাশাপাশি ভূমধ্যসাগর থেকে উৎপন্ন হওয়া আদ্র বায়ু পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে। ভারি বর্ষণ ও বন্যার জন্য এ আদ্র বায়ু অনেকাংশেই দায়ী। যতক্ষণ এ আদ্র বায়ুর প্রভাব থাকবে ততক্ষণ বজ্রঝড় চালু থাকবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
.
দীর্ঘায়িত বৃষ্টিপাত :
যেমনটি আগে উল্লেখ করা হয়েছে যে ওমেগা ব্লক অঞ্চলের নিুচাপ অত্যন্ত ধীর গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে। বাতাসের গতি না থাকায় এই বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। ফলে অকেজো হয়ে উঠছে পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা। এতে বন্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
.
ঝড় ও বজ্রপাত :
ভারি বর্ষণ ঝড়ের পাশাপাশি প্রবল বজ্রপাতের সৃষ্টি করছে। গত ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত ইউরোপজুড়ে অন্তত ১৪ লাখ বার বজ্রপাত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা কয়েকদিন ধরে এ অবস্থা চলতে পারে।
,
তথ্য সূত্র .> যুগান্তর