৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি আন্তর্জাতিকে, পার্ট – ৬৭

৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি

..
নিউইয়র্ক জলবায়ু চুক্তি

…..
বিশ্বের ১৭৫টি দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং প্রতিনিধিরা গত শুক্রবার নতুন জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। গত ডিসেম্বরে প্যারিসে গৃহীত জলবায়ু পরিবর্তন নীতির মৌলিক সিদ্ধান্তগুলোর ওপর ভিত্তি করে ২২ এপ্রিল নিউইয়র্ক শহরে এই জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । পরিবেশ থেকে যে কোনো উপায়ে ব্যাপকভাবে কার্বন-ডাইঅক্সাইড কমানোর জন্য একটা যৌক্তিক সমাধানের খসড়া খুঁজতেই এবারের এ চূড়ান্ত জলবায়ু চুক্তি। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সভাপতিত্বে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝাং গাওলিসহ ৬০টি দেশের প্রধানরা উপস্থিত থাকেন এ উচ্চাভিলাষী চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য। এএফপি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে একনজরে নিউইয়র্ক চুক্তির মূল বিষয়বস্তুগুলোর চৌম্বক অংশ-
.
নিউইয়র্ক জলবায়ু

…….
চুক্তির লক্ষ্য শিল্পবিপ্লবের পূর্বের সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানো অর্থাৎ বৈশ্বিক তাপমাত্রা অন্তত ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৩.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) নিচে রাখাই এ জলবায়ু চুক্তির প্রধান লক্ষ্য। শুধু তাই নয়, লক্ষ্য ২ সেলসিয়াস হলেও তাপমাত্রা ন্যূনতম ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (২.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ভেতরে রাখাটাই এর প্রধান চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং সে কারণে সৃষ্ট খরায় সর্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে থাকা গরিব দেশ এবং দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করাটাও এর অন্যতম একটা লক্ষ্য। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২ সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমানোটা প্রায় অসম্ভব। উপরন্তু ক্রমবর্ধমান গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা বরং ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির দিকেই যাচ্ছি। সেখানে দেশগুলো তাদের প্রতিশ্র“তি অনুসারে গ্যাস নিঃসরণ কমালে তা হয়তো ৩ সেলসিয়াসে রাখা সম্ভব!
.
;
চুক্তির কার্যকারণ


পরিবেশ রক্ষায় যতদ্রুত সম্ভব গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসকারী বিকল্প কোনো গ্যাস আবিষ্কারের চেষ্টা করার প্রস্তাব আছে। প্যারিস চুক্তি অনুসারে, এ শতকের দ্বিতীয়ার্ধেই শক্তি ও জ্বালানি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য মানবসৃষ্ট কারণে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাসের বিপরীতে কার্বন নাশকারী উপাদান বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। বিশ্বজুড়ে বনায়ন বৃদ্ধি এবং কার্বন গ্যাস কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করাও এ চুক্তির অন্যতম প্রতিশ্রুতি।
.
.
জ্বালানি ভাগাভাগি

..
উন্নত দেশগুলোই দীর্ঘ সময় থেকে বায়ু এবং পানিদূষণ করে আসছে। তাদেরই দূষিত গ্যাস নির্গমন হ্রাসে প্রধান ভূমিকা পালন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উন্নয়নশীল যে দেশগুলোকে এখনও প্রচুর কয়লা, গ্যাস এবং তেল জ্বালিয়ে শক্তি উৎপাদন করে তাদেরকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করাও এ চুক্তির অন্যতম একটি উদ্দেশ্য। এ ছাড়া উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহারে সহযোগিতা করতে ধনী রাষ্ট্রগুলোকে নির্দেশনা দেয়া আছে।
.
,
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি

……
২০১৮ সালে একবার এবং এরপর প্রত্যেক পাঁচ বছর পরপর একবার করে রাষ্ট্রগুলো নিজেদের কর্মকাণ্ডকে উপস্থাপন করবে। এ ছাড়া কিছু দেশ নিজেদের এজেন্ডামতো ২০২৫ অথবা কেউ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক তামপাত্রা রোধমূলক বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তারা তাদের নির্ধারিত সময়গুলোতে এর আপডেট জানাবে।
.
.
অর্থায়ন জলবায়ু

…….
পরিবর্তনবিষয়ক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এবং গ্রিন এনার্জি ব্যবহার করার জন্য অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সরাসরি আর্থিক সাহায্য দেয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি বলা আছে। দু’বছর পরপর ধনী রাষ্ট্রগুলো গরিব রাষ্ট্রগুলোকে এ বিষয়ে অর্থায়ন করবে। ২০০৯ সালের প্রতিশ্রুতি অনুসারে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোকে ধনী রাষ্ট্রগুলোর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা তবে ২০২৫ সার নাগাদ এ অর্থ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline