
৭ই মার্চের ভাষণের পথ ধরেই আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, রণকৌশল ও লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ একটি জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বিশ্বে নজিরবিহীন।
বৃহস্পতিবার (৮ই মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণেই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। তবে বঙ্গবন্ধু কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেদিন সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করা হলে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হতেন। তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না এবং ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করত না। এই একটি ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালিদের রাতারাতি সশস্ত্র করে এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাননীয় সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরে উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। আলোচক ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন খান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল কার্যত আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের করণীয় সম্বন্ধে ছিল তাঁর পূর্ণ দিকনির্দেশনা। ৭ই মার্চের ভাষণের পথ ধরেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। জাতির পিতার এ ভাষণ শুধু বাঙালির নয়, ইউনেস্কো স্বীকৃতির পর এটি এখন বিশ্বমানবতার অনন্য সম্পদ। তাই ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
আরো পড়ুন: