৩৭ তম লিখিত প্রস্তুতি- বৈদেশিক_বাণিজ্য

বিসিএস ও ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি:

বৈদেশিক_বাণিজ্য:

বাণিজ্য (আমদানি রপ্তানি) সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্নে সুযোগমতো কাজে লাগান

::বিভিন্ন অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি চিত্রঃ(বিলিয়ন ডলার)
অর্থবছর————রপ্তানি ————আমদানি
২০১০-১১————২২.৯৩

৩২.০০
২০১১-১২————২৪.৩০

৩৫.৯২
২০১২-১৩———–২৭.০২

-৩৪.০৮
২০১৩-১৪———–৩০.১৭

-৪০.৭৩
২০১৪-১৫————৩১.৩০

৪০.৫৮
উৎসঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫।

::চলতি অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষমাত্রা ৩৩৫০ কোটি ডলার। প্রথম ৯ মাসে আর্ন হয়েছে ২৪৯৫.৫১ কোটি ডলার বাকি ৩ মাসে আর্ন করতে হবে ৮৫৪.৪৯ কোটি ডলার।২০১৫-১৬ অর্থবছরে মাসওয়ারী রপ্তানি আর্ন নিচে দেখানো হলঃ (কোটি ডলার)
মাস

-আয়
জুলাই

——–২৬২.৯৫
আগষ্ট

———২৭৫.৮৪
সেপ্টেম্বর

—২৩৭.৪৬
অক্টোবর

—-২৩৭.১৫
নভেম্বর

—–২৭৪.৯৩
ডিসেম্বর

—-৩২০.৪০
জানুয়ারি

–৩১৮.৫৬
ফেব্রুয়ারি

–২৮৫.৪২
মার্চ

————২৮৩.১৪
উৎসঃ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

::২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রথম ৯ মাসে খাতভিত্তিক আয়ঃ (কোটি ডলার)
খাত

—————আয়
তৈরি পোশাক

————-২০৪৪
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য———–৮৫.১৩
পাট ও পাটজাত পণ্য

—৬৪.১৫
হোম টেক্সটাইল

———-৫৫.৬০
হিমায়িত খাদ্য ও মাছ

-৪০.২৪
প্রকৌশল পণ্য

————- ৪২.৫৮
উৎসঃ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

::বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে পরবর্তী দশকে (২০২০-৩০) দেশটির রপ্তানি বহুমুখী হবে।২৫ টি দেশের মাঝে বাণিজ্য আস্থা স্কোরে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বোচ্চে রয়েছে।
উৎসঃ HSBC প্রকাশিত প্রতিবেদন, ২০১৬।

::বস্ত্র ও পোশাক বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাত এবং আশা করা হচ্ছে ২০২১-৩০ সালে এ খাতে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের তিন চতুর্থাংশে দাড়াবে।টেক্সটাইল ও কাঠ উৎপাদন খাতের অবদান দাড়াবে ১৫%।এই সময়ের মাঝে শিল্পের যন্ত্রপাতি রপ্তানি ১২%, আইসিটি সরঞ্জাম ১৩% ও যানবাহন পরিবহন সরঞ্জাম ১৪% বৃদ্ধি পাবে।
উৎসঃ বাসস।
২৯ মার্চ, ২০১৬।

::বর্তমানে আমাদের আমদানি ব্যয়ের মাত্র ৬০% রপ্তানি আর্ন দ্বারা মেটানো সম্ভব, বাকি ৪০% আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যর্থতা।

::বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে জানান, ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটত ৮ গুণ। তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ গত পাঁচ মাসে পণ্য আমদানি করেছে ১৭১৫২ কোটি টাকার আর রপ্তানি করেছে ২০৭৪ কোটি টাকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে অন্য দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৯৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে ৪৮টি দেশের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি দেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আছে। এ ছাড়া ৩ টি দেশের সাথে চুক্তি করা হলেও তার কার্যকারিতা নেই। তাছাড়া আরো ৭ টি দেশের সাথে চলমান বাণিজ্যের পাশাপাশি সম্প্রসারণের চুক্তি রয়েছে।
উৎসঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬।

::বিভিন্ন অর্থবছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চিত্রঃ (বিলিয়ন ডলার)
অর্থবছর————- রপ্তানি ———-আমদানি
২০১০-১১—————৫.১০

–০.৬৮
২০১১-১২—————৫.১০

–০.৭১
২০১২-১৩————–৫.৪১

–০.৫৩
২০১৩-১৪————–৫.৫৯

–০.৮৩
২০১৪-১৫—————৫.৭৯

–০.৭৭
উৎসঃ অর্থ মন্ত্রণালয়।

::২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৬০ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। ১০ বছরের ব্যবধানে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এসে ঘাটতির এ পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
উৎসঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬।

::এক বছরের ব্যবধানে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩৩.৭৬%।
উৎসঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

::বিভিন্ন অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত বাণিজ্যের চিত্রঃ (কোটি ডলার)
অর্থবছর– আমদানি — রপ্তানি —– ঘাটতি
২০০৬-৭—–২২২.৬০—-২৮.৯৪——১৫৩.৪৯
২০০৭-৮—–৩৩৮.৩৮–৩৫.৮০—-৩০২.৫৭
২০০৮-৯—–২৮৬.৩৬—২৭.৬৫—–২৫৮.৭০
২০০৯-১০—৩২১.৪৬—–৩০.৪৭—–২৯০.৯৯
২০১০-১১—-৪৫৭————৫০———–৪০৭
উৎসঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬।

::গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করলো ৬.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আর ভারতে রপ্তানি করলো ৫২৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। এই বছরে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ালো ৫,৯৭৩ মিলিয়ন ডলার।
উৎসঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

::গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যের চিত্র। তৈরী পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ মাত্র ৬-৭ টি পণ্য ভারত বাংলাদেশ থেকে নেয় আর বাংলাদেশ পেঁয়াজ মরিচ, আদা, জিরা থেকে শুরু করে মটরযানসহ প্রায় ২৫০ এর অধিক পণ্য আমদানি করে। অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন ধরনের অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা অব্যাহত থাকায় প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
উৎসঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

::বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য থাইল্যান্ডে রপ্তানি করে, তার ২০ গুণ বেশি পণ্য দেশটি থেকে আমদানি করে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের হিসাবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৬৪ কোটি ডলারের।
উৎসঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

::বাংলাদেশ থেকে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে।পণ্য আমদানি-রপ্তানির আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ২০১১ সালে ৪৭৫ কোটি ডলার, ২০১২ সালে ৬৫৫ কোটি ডলার, ২০১৩ সালে ৮৩৬ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। গত ১০ বছরে পণ্য আমদানি-রপ্তানির আড়ালে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ মোট ৪৯ হাজার ১৩ কোটি ডলার।
উৎসঃ ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন।

::এনবিআরের প্রতিবেদনেও উল্লেখ আছে, বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের ৮০% ই পাচার হয় বাণিজ্যের আড়ালে। অন্যদিকে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) অ্যান্ড কাউন্টারিং টেররিজম ফাইন্যান্সিংয়ের পাঠানো ‘সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং অর্থপাচার সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশের সক্ষমতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে।
উৎসঃ দৈনিক কালের কন্ঠ।
৬ এপ্রিল, ২০১৬।

::২০১৫-১৬ সালের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গবেষণা সংগঠন সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থবছরের প্রথমার্ধে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বিবিসিকে বলেন – অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাবার জায়গাটিতে একটা বড় চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে।সাধারণত রেডিমেড গার্মেন্টসের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা যেটি থাকে সে তুলনায় কম রাখা হয়েছে। রেডিমেড গার্মেন্টসের বাইরের অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি অনেকটাই কমে গেছে। প্রথম মাঁচ মাসে প্রত্যাশিতভাবে ওগুলোর রপ্তানি হয়নি”।“আমদানি ব্যয় কমেছে, তবে তার একটা বড় কারণ বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়া। উন্নত বিশ্বের অর্থনীতিও শ্লথ হওয়ার কারণে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের যে লক্ষ্য সেটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে । তাছাড়া এডিপি বাস্তবায়নের গতিও খুব ধীর”- রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে এ বিষয়গুলো উল্লেখ করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারী বিনিয়োগ তেমন দেখা যাচ্ছেনা বলে জানান সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক। এমনকি বাংলাদেশে বিদেশী যে বিনিয়োগ হয় সেখানেও বড় ধরনের কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা বলে জানান মি: রহমান। তবে মুস্তাফিজুর রহমান বলছেন- “যেসব অবকাঠামো এখন হচ্ছে সেগুলো যদি সময়মতো সাশ্রয়ীভাবে করা যায়, ইকোনোমিক জোন যদি তাড়াতাড়ি করা যায় তাহলে হয়তো পরিবর্তন আসবে, বিদেশী বিনিয়োগও বাড়বে এমন আশা করা যায়”।
উৎসঃ বিবিসি বাংলা।
০৩ জানুয়ারি, ২০১৬।

::দক্ষিণ এশীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধান অনুযায়ী ভারতে পণ্য রফতানীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নানা ধরনের সুবিধা পাওয়ার কথা। কাগজে-কলমে হাজার হাজার বাংলাদেশী পণ্য শুল্কমুক্তভাবে রফতানীর বিধানও আছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশের রফতানীযোগ্য ২৭টি প্রধান পণ্যকেই ভারত ‘সেনসিটিভ’ তালিকায় রেখেছে। তৈরী পোশাক, টেক্সটাইল পণ্য, ফুটওয়্যার, গোশত, সিরামিক্স ও টাইলস অতি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশী পণ্য- যেগুলো কোনো অবস্থাতেই ভারতে প্রবেশের সুযোগ নেই। আর যেসব পণ্য তালিকা করে বাদ দেয়া যায়নি সেগুলোর ক্ষেত্রে ভারত সরকার তৈরি করে রেখেছে নানামুখী বাধা। কোনো বাছবিচারম ছাড়াই যেখানে ভারতীয় পণ্যে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে, সেখানে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অবস্থা ৬০০ ভাগের ১ ভাগও নয়।
উৎসঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

আরো পড়ুন:

বিসিএস+ ব্যাংক+ নন ক্যাডার + নিবন্ধন, পার্ট – ২

বিসিএস+ ব্যাংক+ নন ক্যাডার + নিবন্ধন, পার্ট – ৩

বিসিএস+ ব্যাংক+ নন ক্যাডার + নিবন্ধন, পার্ট – ৪

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline