২০১৭ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখবেন যেভাবে

২০১৭ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখবেন যেভাবে

২০১৭ সালের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৩শে জুলাই প্রকাশ হবে। ০৬ জুলাই ২০১৭ তারিখ বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৩শে জুলাই ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী সময় দিয়েছেন। রেওয়াজ অনুযায়ী ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের কপি তুলে দেয়া হবে। পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে সহজে সকল বোর্ডের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ২০১৭ জানা যাবে….

অনলাইনে ফলাফল পাওয়ার পদ্ধতিঃ পরীক্ষার্থীগণ শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ও eboardresults.com ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।

মোবাইলে ফলাফল জানার উপায়ঃ যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস(SMS)ের মাধ্যমে ফল পেতে মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC অথবা Alim লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

উদাহরণ:

সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC DHA 123456 2017

মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য Alim MAD 123456 2017

এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জন্য HSC TEC 123456 2017

লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফলাফল প্রকাশের ধারাবাহিকতাঃ বিগত কয়েক বছর ধরে এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি-এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এবারের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা ০২ এপ্রিল শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ই মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ই মে থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫শে মে। আগামী ২৪ জুলাই এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩শে জুলাই এবারের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এবারের পরীক্ষার্থী সংখ্যাঃ ১০ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন ছাত্রী।

বিগত বছরের পরিসংখ্যানঃ গত বছরের (২০১৬ সালের) এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিলো ৭৪.৭০ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৫৮ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী। তার আগের বছর (২০১৫ সালে) গড় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত বছর কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৪৯ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮.৫৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬০ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭০.৬৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৪০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭০.১৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৪২ শতাংশ।

মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.১৯ শতাংশ। মোট পাস করেছিলো ৮০ হাজার ৬০৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২,৪১৪ জন।

কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪.৫৭ শতাংশ। মোট পাস ৮৬ হাজার ৪৬৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৬,৫৮৭ জন।

গতবার ছেলেদের পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৭৫.৬০ শতাংশ ছিলো।

সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১,৩৩০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১,৯১২ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৬,০৭৩ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২,২৫৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৩,৮৯৯ জন, বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৭৮৭ জন, যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৪,৫৮৬ জন।

বিদেশে ৭টি শিক্ষালয় থেকে ২৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পাস করে ২৩২ জন। পাসের হার ৯৩.৫৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৫৩ জন।

গত বছর মোট পাস করেছিলো ৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৪১ হাজার ৪৬৮ জন।

গতবার এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিকতে কলেজ বোর্ডগুলোর ফলাফলে পাসের হার ছিলো ৭২.৪৭ শতাংশ, মোট পাস করেছিলো ৭,২৯,৮০৩ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৪৮,৯৫০ জন।

ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণঃ পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএস(SMS)ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের পর দিন থেকে এক সপ্তাহ আবেদন গ্রহণ করা হবে।

এজন্য শুধু টেলিটক মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে স্পেস দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

প্রতিটি বিষয় বা পত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি প্রযোজ্য।

ফিরতি এসএমএস(SMS)ে আবেদন ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে পূণরায় ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (যেমন: বাংলা ও ইংরেজী) রয়েছে, সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোডের বিপরীতে আবেদন দুটি পত্রের আবেদন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আবেদন ফি ৩০০ টাকা ফি নেওয়া হবে।

একই এসএমএস(SMS)ে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা দিয়ে লিখতে হবে।

 

 

আরো পড়ুন:

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা প্রশ্নে অনুষ্ঠিত সভা শেষ হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট

রহমতুল্লাহ মডেল হাই স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ শতাংশ পাস করেছে

গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা পরীক্ষা আগামী ১৯শে ডিসেম্বর শুরু হবে

এসএসসিএইচএসসি ফরম পূরণে বাড়তি ফি ফেরত না দিলে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত: হাই কোর্ট

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline