১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী তরুণ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে ভার্চুয়াল স্কুল

১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী তরুণ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে ভার্চুয়াল স্কুল

শুধু বই-পুস্তকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই শিক্ষা। তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে ধরন বদলেছে শিক্ষার। পাল্টে গেছে শিক্ষার মাধ্যম। ঘরে বসেও এখন স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব। ভার্চুয়াল ক্লাসে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে ডিগ্রিও সম্পন্ন করা সম্ভব। এমনকি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণও সম্ভব। তবে দেশে ভার্চুয়াল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু না থাকলেও থেমে নেই তরুণদের ভাবনা। এরই মধ্যে ভার্চুয়াল স্কুল চালু করেছে একদল তরুণ। স্কুলের নাম ‘ইয়োর স্কুল টাইম’। মূলত এই হোম স্কুলিং প্লাটফর্ম থেকে শিশু-তরুণরা ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও দেখে এসব বিষয় শিখতে পারবে তারা। অ্যানিমেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো। শেখার পাশাপাশি উপভোগও করতে পারবে শিশুরা। বিশ্বের তরুণদের সাথে দেশীয় তরুণদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের একটি বড় প্লাটফর্ম হবে এটি—এমনটাই আশা উদ্যোক্তাদের।

১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী তরুণ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে ভার্চুয়াল স্কুলটি। তবে এই প্ল্যাটফর্মের মূল স্বপ্নদ্রষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্টের ছাত্র আবু জাহের। সূচনালগ্ন থেকে উদ্যোক্তার সাথে ছিলেন সারতাজ আলীম। অন্যদের মধ্যে আছেন তমাল, পার্থ, মাহির, তন্ময়, সাইফুল, হিমেল, রায়হান, ফাহিম, প্রিয়া প্রমুখ। আবু জাহের বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার সমান্তরালে একটি কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টায় ভার্চুয়াল এ ক্লাসটি চালু করেছি। যেখান থেকে সদ্য হাতেখড়ি হওয়া শিক্ষার্থী থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত যে কোনো পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষার সব উপকরণ পায় সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। শুরুটা সম্পর্কে আবু জাহের বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর কাছে ভীতিকর বিষয় হলো ইংরেজি এবং রীতিমতো বিরক্তিকর বিষয় হলো সাধারণ জ্ঞান। বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ করে দেওয়ার জন্য আমরা অ্যানিমেটেড টিউটোরিয়াল দিয়ে চমত্কারভাবে উপস্থাপন করি।

শিক্ষার এই নতুন ফর্মুলায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। বিরক্তিকর এবং দুর্বোধ্য বিষয়গুলো এখানে শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে উঠেছে উপভোগ্য। ক্লাসের কন্টেন্টগুলোকে কিভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় সে সম্পর্কে জানালেন সারতাজ আলীম। বললেন, প্রথমত আমাদের দলটি মাথায় রাখে যে একটি কন্টেন্টকে কিভাবে উপস্থাপন করলে বারবার দেখার পরও একজন শিক্ষার্থীর বিরক্তি আসবে না বা আগ্রহ হারাবে না। উপস্থাপনে বৈচিত্র্য, অ্যানিমেশনে কখনও প্রয়োজনীয় তথ্যের সাথে বাড়তি দু’একটি চমকপ্রদ তথ্য যোগ করে বিরক্তিকর হিসেবে পরিচিত পাঠগুলোকে মজাদার করে তোলা হয়েছে।

দিন যতই যাচ্ছে তাদের ভার্চুয়াল স্কুলে যোগ হচ্ছে নতুন সব টিউটোরিয়াল, নতুন নতুন কৌশল, নতুন উপস্থাপনা নিয়ে হাজির হচ্ছে স্বপ্নবাজরা। শুধু জ্ঞান অর্জন নয় নিজেকে আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে অনুশীলনের ব্যবস্থা এবং টিউটরিয়াল সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডাউনলোডের সুবিধাও থাকছে ওয়েবসাইটে। এরই মধ্যে দেশে প্রথম রিয়েল টাইম অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে স্কুলটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে একসাথে কুইজে অংশ নিয়েছে প্রতিযোগীরা, বিজয়ীদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে উপহার এবং প্রাইজমানি।

ভার্চুয়াল ক্লাসে সব সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত এবং বিনামূল্যে মিলছে শিক্ষা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম সবসময় এ কাজে পরামর্শ দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন বলে জানালেন উদ্যোক্তা আবু জাহের।

 

 

আরো পড়ুন:

এবার বই পড়বে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline