
দীর্ঘদিন যাবত দেশের ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারার কেউই নেই। এসব বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের পছন্দমত অস্থায়ীভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, এসব উপাচার্যের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।এই ১৪ টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির নাম প্রকাশ করেনি ইউজিসি।
এছাড়া ২৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর,৬৮টিতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ৪৮টিতে ট্রেজারার নেই।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে কমিশনের পক্ষ থেকে ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারার নিয়োগের প্যানেল প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানোর জন্য একাধিকবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপাচার্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। পদটিতে জনবল নিয়োগে আইনের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। উচ্চশিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের সনদে স্বাক্ষর থাকবে উপাচার্যের। কিন্তু উপাচার্য না থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণরা মূল সনদ নিতে পারছেন না। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত অস্থায়ী উপাচার্য মূল সনদে স্বাক্ষর করছেন। যার আইনগত কোনো ভিত্তিও নেই।
ইউজিসি জানায়, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের সাময়িকবাবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন,২০১০ এর ৩১ (৬)-এ নির্ধারণ আছে। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দ্বারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন। যেটি আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আইনানুযায়ী যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই সব প্রতিষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। যদি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর না থাকে তবে ট্রেজারার সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালনকারী কর্মকর্তার নাম আগামী ১ জানুয়ারি মধ্যে ইউজিসিকে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে ইউজিসি এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির মূল সনদ উপাচার্য এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত হতে হবে। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি চার বছর মেয়াদে প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেবেন। কাজেই উক্ত পদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া আইনের পরিপন্থী। রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপাচার্যের স্বাক্ষর ছাড়া সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে না।
আরো পড়ুন: