
১৩ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী ছিলেন বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা বিমানে, একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে মিলি মহারজন নামে এক ছাত্রী মারা গেছেন। অন্যদের বিষয়ে জানা যায়নি। তারা সকলেই নেপালি বংশোদ্ভূত। কলেজের ছুটিতে নিজ দেশে বেড়াতে যাচ্ছিলেন ওই ১৩ শিক্ষার্থী। বিধ্বস্ত বিমানটির যাত্রী ছিলেন তারা।
এরা হলেন- রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।
মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, এদের মধ্যে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা। বাকিদের এখনেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কলেজের অফিস সহকারী নির্মল দাস জানান, গতকাল রোববার গাইনি ও মেডিসিন বিভাগের এমবিবিএস সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর নেপালি শিক্ষার্থীরা দেশের বাড়িতে ছুটি কাটাতে ইউএস-বাংলায় নেপাল যায়।
সোমবার নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ৪৬ জন প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম।
নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ।
আগামীকাল মঙ্গলবার কলেজ বন্ধ থাকবে, বুধবার কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে, বৃহস্পতিবার কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৫০ জন।