ইউরোপে শরণার্থী সংকট বৈশ্বিক নিরাপত্তার ঝুঁকি আন্তর্জাতিক
মুহাম্মদ রুহুল আমীন
.
আফ্রো-এশিয়ার দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও যুদ্ধ-বিক্ষত রাষ্ট্রসমূহের অসহায় মানুষগুলো পার্শ্ববর্তী ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহে আশ্রয় লাভ করলেও শেষপর্যন্ত সে দেশগুলোর নানা সমস্যার কারণে ইউরোপে পাড়ি জমাতে বাধ্য হচ্ছে। সার্বজনীন মানবাধিকারের মূলনীতিতে ঐ ভাগ্যান্বেষী নিরীহ আদম সন্তানদের সমস্যা সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা নানামুখী অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং এভাবে ‘ইউরোপে শরণার্থী সংকট’ বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
.
২০১৪ সালে প্রায় চার কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী তুরস্ক, ইরান, জর্ডান, লেবানন, পাকিস্তান, কেনিয়া, চাদ ও ইথিওপিয়া প্রভৃতি দেশে ক্ষণিকের জন্য ঠায় নিয়েছিল এই আশায় যে তাদের দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা দূর হলে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। সুদূর ইউরোপে আশ্রয় খুঁজেছিল প্রায় সোয়া ছয় লক্ষ হতভাগা মানুষ এবং প্রায় পঁচানব্বই লক্ষ মানুষ পৃথিবীর অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫ সালে প্রায় ৩ লক্ষ আরব নাগরিক কেবল ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী টমাস ডে ম্যাজেয়ার বলেছেন, এ বছর শরণার্থীর সংখ্যা ৫ থেকে ১০ লক্ষ পৌঁছাবে। তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে লিবিয়ায় প্রায় ১০ লক্ষ শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
.
সিরিয়া, লিবিয়া ও ইরাক থেকে আগত শরণার্থীরা পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশসমূহে ব্যাপক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করলেও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলো তা সহ্য করে আসছিল। কিন্তু ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশ শুরু হওয়া মাত্রই বিশ্বব্যাপী হই চই পড়ে যায় এবং ইউরোপে ভুখা-নাংগা শরণার্থীরা নানা ভোগান্তির শিকার হয়। প্রথমতঃ সেঙ্গেন চুক্তিভুক্ত মুক্ত সীমান্ত নীতি বাতিল করে পুনরায় সীমান্ত তল্লাশির চাপ বাড়তে থাকে ইউরোপে। যুক্তরাজ্য অভিবাসী ও শরণার্ণী-সমস্যা ঠেকাতে আইন করতে যাচ্ছে। দ্বিতীয়তঃ ইউরোপের বর্ণবাদী, ধর্মবাদী ও অভিবাসী বিরোধী দলগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচিসহ নানা প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। তৃতীয়তঃ ইউরোপের অনেক দেশে শরণার্থীদের কারণে সৃষ্ট ব্যয়ভার মিটাতে হচ্ছে স্ব স্ব দেশের কর দাতাদের। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানির একজন কর দাতাকে গত বছর নিদেনপক্ষে ২০ ইউরো বেশি কর দিতে হয়েছিল এবং আশঙ্কা করা যাচ্ছে এ বছর এ করের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। এ তিনটি কারণে ইউরোপে আগত এবং গমনেচ্ছু শরণার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
.
প্রশ্ন হলো, ইউরোপে হঠাত্ করে শরণার্থীরা কেন ভিড় করলো? বিভিন্ন গবেষণা বিশেষতঃ ইউরোপে অভিবাসী ও শরণার্থী বিষয়ক সংগঠনগুলো এর পেছনে পাঁচ-ছয়টি কারণ উল্লেখ করেছে। প্রথমতঃ সিরিয়া, লিবিয়া এবং ইরাকে আত্মঘাতী জাতিগত গৃহযুদ্ধ বৃদ্ধি পাওয়া। দ্বিতীয়তঃ দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও যুদ্ধরত দেশসমূহের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিরতার আশা ক্ষীণ হওয়া, তৃতীয়তঃ প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী গ্রহণে সৃষ্ট অপারগতা; চতুর্থতঃ তুরস্কের শরণার্থীদের বের করে দেয়ার আশঙ্কা; পঞ্চমতঃ আশ্রয়দানকারী দেশসমূহের অর্থনৈতিক বিপর্যয়।
..
উপরিউক্ত কারণে ইউরোপের শরণার্থী সমস্যাটি এখন আর ইউরোপীয় নয়, বরং তা বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। আর এ সমস্যা সমাধানে এখনি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ না করলে অনতিবিলম্বে তা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি দুর্বার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিবে বলে আশঙ্কা করা যায়। ইউরোপের শরণার্থী সংকট বিষয়ে স্বয়ং ইউরোপে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগেই উল্লেখ করেছি যে, যুক্তরাজ্যে শরণার্থী নিয়ন্ত্রক আইন পাস হতে যাচ্ছে, ইউরোপে মুক্ত সীমান্ত নীতি বাতিল করার পাঁয়তারা চলছে এবং সর্বোপরি, করভারের আশঙ্কায় ইউরোপীয়রা শরণার্থীদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে। এতসব নেতিবাচক অবস্থার মধ্যেও শরণার্থীদের প্রতি সুবিচার ও সহানুভূতির পরিবেশও তৈরি হচ্ছে।
..
ইইউ কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্স টিমারম্যান্স দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, ‘যাদের সুরক্ষা দরকার, তাদেরকে আমরা তাড়িয়ে দিতে পারি না।’ গত ২৯ আগস্ট জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ইউরোপের শরণার্থী সংকট নিরসনে নিরাপদ ও আইনগত সুযোগ সৃষ্টি করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে অনুরোধ করেছেন। ইইউয়ের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো শরণার্থী সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী ম্যাত্তিও রেনজী ২৮টি ইউরোপীয় দেশকে শরণার্থীদেরকে ভাগাভাগি করে আশ্রয় দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। ফরাসি প্রধানমন্ত্রী শরণার্থীদেরকে যথোপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদাসহকারে আশ্রয়দানের আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ তারা যুদ্ধ, অত্যাচার, নির্যাতন থেকে পালিয়ে এসে ইউরোপে মানবিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। গত ৩০ আগস্ট পোপ ফ্রান্সিস ওই সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ আহ্বান করেছেন, যেগুলো মানবতাকে বিপন্ন করে।
..
ব্যক্তিগত বিবৃতি ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি অনতিবিলম্বে ইইউভুক্ত দেশসমূহের আভ্যন্তরীণ ও সুবিচার মন্ত্রণালয়কে শরণার্থী সংক্রান্ত যৌথ আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণে তত্পর হতে আহ্বান করেছেন। বেদনাদায়ক হলো, ইতোমধ্যে হাঙ্গেরিসহ কতিপয় পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্র শরণার্থীদের প্রতি নানা অমানবিক আচরণ প্রদর্শন করেছে। গত ৩১ আগস্ট রয়টার্স এবং এএফপি প্রচারিত ছবিতে শরণার্থী শিশুরা যে সব প্ল্যাকার্ড বহন করে তাতে লেখা ছিল: ‘I want to go to Germany’, ‘I want to live in security’, ‘We don’t want to stay in Hungary’. শরণার্থী অসহায় মানুষদের নানা বিড়ম্বনার কথা পৃথিবী জানে। এর কয়েকদিন আগে বঙ্গোপসাগরসহ অত্রাঞ্চলে নৌকার যাত্রীদের দুর্ভোগ নিয়ে আমরা অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ হতে দেখেছি। নৌকা ট্র্যাজেডিগুলো এখন নতুনরূপে ট্রাক ট্র্যাজেডিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী ব্যস্ত হাইওয়ের একটি ট্রাক/লরি থেকে ৭১ জন নিহত নিরীহ শরণার্থীর খবর বিশ্বময় প্রচারিত হলেও তা বিশ্ববিবেককে তেমন নাড়া দিয়েছে বলে তো মনে হচ্ছে না। সমসাময়িক সময়ে ভূমধ্যসাগরের জাহাজের ফাটল ১১১টি নিরীহ জীবন মর্মন্তুদভাবে কেড়ে নিলেও বিশ্ব নিয়ন্ত্রক শক্তিসমূহ এ সংক্রান্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অধিকন্তু হাঙ্গেরি গত ২৯ আগস্ট থেকে সার্বিয়া সীমান্ত পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটার জুড়ে ন্যাটোর আদলে তিন ভাঁজের রেজর তারের বেড়া তৈরি করতে শুরু করেছে। অধিকন্তু পাহারা কুত্তা ও 4-4s অস্ত্রের সাহায্যে সীমান্ত প্রহরা জোরদার করা হয়েছে।
..
শরণার্থী সমস্যাটি যখন কেবল আফ্রো-এশিয়ায় সীমাবদ্ধ ছিল তখন বিশ্ব নীরবে তা দেখেছে। কেউ উচ্চ-বাচ্য করেনি। কেবল দায়সারা গোছের নিছক কূটনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষায় কতিপয় সেমিনার, বক্তৃৃতা-বিবৃতি দিয়ে বিশ্বমোড়লরা হম্বি-তম্বি দেখিয়েছেন। কিন্তু সমস্যাটি যখন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরস্থ ইউরোপে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে, তখন বিশ্ব মিডিয়া একটু সোচ্চার হয়েছে। আমার অন্তরে যে চোখ আছে, তা দিয়ে আমি যতটুকু দেখতে পাচ্ছি, তাতে আমি এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলতে পারি, সমস্যাটি এখন কেবল আঞ্চলিক নয়, বরং তা বৈশ্বিক পরিসরে বিস্ফোরিত হওয়ার মুহূর্তে টাইম বোমার মতো অপেক্ষা করছে।
..
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন, তারা শরণার্থী, অভিবাসী ও মানবপাচার প্রভৃতি ইস্যুকে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা-সমস্যা (non-traditional security threats) হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করতে না পারলে তা দ্রুত বিস্তার লাভ করে অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি করে। সম্ভবত এটি অনুধাবন করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী এবং সে কারণে তিনি ২৮টি ইউরোপীয় দেশকে ভাগাভাগি করে শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
..
ইতোমধ্যে বিশ্বময় নানা সমস্যা-বিশ্লেষণে এ সত্য উদ্ঘাটিত হয়েছে যে, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাকসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব, সংঘাতের ফলে ইউরোপের শরণার্থী সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক এমনও প্রশ্ন রেখেছেন যে, যাদের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে, যে কারণে এ সমস্যা ঘনীভূত হয়েছে, সে বিষয় নিয়ে পৃথিবীতে তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। এ পর্যবেক্ষণের সাথে আমি একাত্ম হয়ে স্পষ্ট করে বলছি, শরণার্থী সংকট তৈরি হয়েছে আফ্রো-এশীয় অঞ্চলে কায়েমি স্বার্থান্ধ মহলের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ হাসিলের নিরন্তর উদ্যোগের ফলে। স্নায়ুযুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাস্তবতায় যে স্বার্থ-লড়াই শুরু হয়েছিল, তা আজ স্নায়ুযুদ্ধোত্তরকালে বিস্ফোরিত হয়েছে মাত্র। এখন অত্রাঞ্চলে জবর-দখলতত্ত্ব (hegemonic stability theory) টিকিয়ে রাখতে বর্তমান বিশ্বের প্রতাপশালী রাষ্ট্রসমূহ সেখানে গোত্রীয় দ্বন্দ্ব, ধর্মীয় বিবাদ, গোষ্ঠী লড়াই, সীমান্ত লড়াই প্রভৃতি নিরন্তর দ্বন্দ্বসমূহ চাঙ্গা করে রাখছে। আমরা গত দু-তিন বছরে শান্ত-সুনিবিড়-স্বস্তিময়-সমৃদ্ধিময় রাষ্ট্র লিবিয়াকে আজনবী অস্থিরতায় ছটফট করতে দেখেছি। অমিত তেজ সিরিয়াকে গৃহযুদ্ধে ন্যুব্জ হতে দেখেছি, প্রবল পরাক্রমময় ইরাককে ভেঙে তছনছ হতে দেখেছি। অথচ এ রাষ্ট্রগুলো ছিল একসময় এশিয়া-আফ্রিকার দরিদ্র দেশসমূহের রুটি-রুজির আশ্রয়, বাঁচার ঠিকানা, আশার আলো। ইয়েমেন, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরবসহ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোও আজ বিশ্ব-তাঁবেদার শক্তির শানিত পর্যবেক্ষণে।
..
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিবেশের এমন পরিস্থিতিতে এখন অত্রাঞ্চলে বিশ্বমোড়লদের নীতি পর্যলোচনার উপযুক্ত সময়। শরণার্থী সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। এ নীতির স্বল্প মেয়াদি লক্ষ্য হলো, ইউরোপের সীমানাগুলোতে ‘মুক্ত-নীতি’ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য ইইউকে আইন করতে হবে। হাঙ্গেরির মতো অন্য কোনো দেশ যেন কাঁটাতারের বেড়া না দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। শরণার্থীদেরকে পূর্ণ মানবীয় মর্যাদা দিয়ে প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং ইউরোপে তাদের বসবাস, কাজ-কর্ম করার অনুমতি দিতে হবে। মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নানাধাপে বিশেষ সংখ্যায় শরণার্থী গ্রহণে রাজি হয়েছে। খবরটি সুখকর। কারণ স্নায়ুযুদ্ধোত্তর কালে আফ্রো-এশীয় শরণার্থী সূত্র দেশসমূহের স্বার্থ লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাই মুখ্য। এ কথা আরো স্পষ্ট করলে বলতে হয় যে, মধ্যপ্রাচ্যের তেল, গ্যাস, পানি সম্পদ নিয়ে যে লড়াই চলছে এবং সম্ভাব্য যে লড়াইগুলো অপেক্ষা করছে, তাতে মূল নেতৃত্ব ও নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এবং অত্রাঞ্চলের যে কোনো যুদ্ধ-দ্বন্দ্বের ফলে সৃষ্ট স্ট্র্যাটেজিক সুবিধার সিংহভাগ যাবে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। সঙ্গত কারণে শরণার্থী সংকট নিরসনে মুখ্য ভূমিকা পালনে যুক্তরাষ্ট্রকেই তত্পর হতে হবে। একবিংশ শতাব্দী পরিবর্তিত বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা যে মর্যাদা ও দায়িত্বে অভিষিক্ত করেছে, তার যথাযথ বাস্তবায়নের যোগ্যতাও যুক্তরাষ্ট্রের আছে। শুধু জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধের নতুন চেতনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শরণার্থী সমস্যাসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য ইস্যুগুলো সমাধানে নিষ্ঠাবান হলেই শরণার্থী-কেন্দ্রিক যে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা স্তিমিত হবে শিগগিরই।
..
লেখক :প্রফেসর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিন, স্কুল অব বিজনেস এন্ড সোস্যাল সাইন্সেস, সিনেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ইং, ইত্তেফাক
আরো পড়ুন:
৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি , পার্ট – ৭
৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি , পার্ট – ৮
৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি আন্তর্জাতিকে, পার্ট – ৫৮