৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি
প্রশ্ন ১। “”অ”” এমন একটি প্রাণী যে চোখে দেখতে পায়না। কিন্তু এটি স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে পারে। প্রাণিটি ১লক্ষ হার্জ কম্পাঙ্কে শব্দ সৃষ্টি করে তার স্বাভাবিক জীবন যাপনে।
ক) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাণিটির নাম কী? ১লক্ষ হার্জ শব্দ কম্পাঙ্ক কোন তরঙ্গের উদাহরন সংজ্ঞা সহ উল্লেখ কর শ্রাব্যতার সীমা কী?
খ) “”অ”” প্রাণিটি চোখে না দেখা সত্ত্বে ও কীভাবে চলাফের করে ব্যাখ্যা কর
গ) শব্দের প্রতিধ্বনি কী? শব্দের প্রতিধ্বনিরর শর্তসমূহ ব্যাখ্যা কর
:
১নং প্রশ্নের উত্তর (ক)
_______________________
উদ্দীপকে উল্লিখিত “”অ “” প্রাণিটি হল বাদুড়। কারণ আমরা জানি, বাদুড় চোখে দেখে না এবং ১লক্ষ হার্জ কম্পাঙ্কে শব্দোত্তর তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে এটি পথ চলে, যেটি উদ্দীপকের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়।
:
শব্দোত্তর তরঙ্গঃ কোন উৎস থেকে সৃষ্ট শব্দের কম্পাঙ্ক যদি ২০হাজার হার্জের বেশি হয়,তখন তাকে শব্দোত্তর তরঙ্গ বলে। উল্লিখিত প্রাণিটি যেহেতু ১লক্ষ হার্জ কম্পাঙ্কে শব্দ সৃষ্টি করতে পারে সুতরাং তার এ কম্পাঙ্ক শব্দোত্তর তরঙ্গের উদাহরণ। :
শ্রাব্যতার সীমাঃ কোন উৎস থেকে শ্রুত শব্দের কম্পাঙ্ক যদি ২০হার্জ থেকে ২০হাজার হার্জের মধ্যে হয়, তখন সে শব্দটি আমরা শুনতে পাই। একেই শ্রাব্যতার সীমা বলে।
:
১নং প্রশ্নের উত্তর (খ)
_________________________
“”অ “” প্রাণিটি হল বাদুড়। এটি চোখে দেখে না। বাদুড় শব্দোত্তর তরঙ্গের মাধ্যমে পথ চলে। আমরা জানি বাদুড় এক লক্ষ হার্জ কম্পাঙ্কে শব্দোত্তর তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। চলাফেরার সময় এটি এ তরঙ্গ সৃষ্টি করে। যদি সামনের কোন প্রতিফলকে বাধা পেয়ে তার সৃষ্ট শব্দটি পুনরায় ফিরে আসে অর্থাৎ প্রতিধ্বনির সৃষ্টি হয়,তখন বাদুর বুঝতে পারে সামনে কোন বাধা আছে এবং সে আর ঐ পথে যায় না। কিন্তু যদি কোন প্রতিধ্বনি ফিরে না আসে তবে সে বুঝতে পারে সামনে কোন বাধা নেই এবং সে ঐ পথে চলাচল করে ও খাদ্য সংগ্রহ করে। এভাবে শব্দোত্তর তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে বাদুড় চলাফেরা করে।
:
১নং প্রশ্নের উত্তর (গ)
____________________
শব্দের প্রতিধ্বনিঃ শব্দ একধরনের অণুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ। এ তরঙ্গের প্রতিফলন,ব্যতিচার ও উপরিপাতন সম্ভব। তাহলে প্রতধ্বনি বুলতে বুঝায়, শব্দ উৎস থেকে নির্গত শব্দ যদি দূরবর্তী প্রতিফলকে বাধা পেয়ে পুনরায় উৎসের নিকট ফিরে আসে তবে তাকে প্রতিধ্বনি বলে।
:
প্রতিধ্বনির শর্তসমূহঃ নিচে প্রতিধ্বনির শর্তসমূহ আলোচনা করা হল-
=> মাধ্যমের প্রকৃতিঃ শব্দের প্রতিফলনের জন্য একটি উত্তম মাধ্যম (যেমন-বায়ু,পানি বা কঠিন মাধ্যম) দরকার। এখানে কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ সর্বাধিক বিধায় প্রতিফলন দ্রুত সংগঠিত হয়।
:
=> উৎস হতে প্রতিফলকের দূরত্বঃ উৎস হতে প্রতিফলকের দূরত্বের উপর প্রতিধ্বনি নির্ভর করে। উৎস হতে প্রতিফলকের দূরত্ব ১৬.৬ মিটারের কম হলে শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায়না। এ কারণে প্রতিধ্বনি হতে হলে শব্দের উৎস হতে প্রতিফলকের দূরত্ব ন্যূনতম ১৬.৬ মিটার হতে হবে।
:
=> সময়ঃ শব্দ উৎস থেকে শব্দ নিঃসৃত হওয়ার পর যে প্রতিধ্বনি হয় এর স্থায়িত্বকাল ০.১ সেকেন্ড। এ সময়ের মধ্যে যদি কোন শব্দ শুনা যায়,তবে তাকে মূল শব্দ থেকে আলাদা করা যাবেনা। এ কারণে শব্দ উৎস থেকে উৎসারিত শব্দ এবং প্রতিফলিত শব্দের ব্যবধান ০.১ সেকেন্ড হতে হয়।
:
বিঃদ্রঃ বিগত বছরের একটি প্রশ্নে লুকিয়ে থাকা আগামীর ১০টি প্রশ্ন নিয়ে আমার চলমান “”প্রশ্ন বিশ্লেষণ “” এর ২য় পর্ব আজ রাতে দেয়া হবে।