
স্কুল-কলেজের সভাপতি পদে শিক্ষক নয় রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা) কোনও শিক্ষক সভাপতি পদে নির্বাচিত বা মনোনীত হতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা এক রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রিটকারীদের আইনজীবী. হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা, ২০০৯ এর ৭ (২)-তে বলা আছে, কোনও শিক্ষক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে নির্বাচিত বা মনোনীত হতে পারবেন না।
এ কারণে আদালত কোনও শিক্ষক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে নির্বাচিত বা মনোনীত হতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ঝিনিয়া এমএ হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবিএম আনিছুর রহমান। তিনি একই উপজেলার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। পরে তার সভাপতি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মো. বাদশা মিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। এরপর গত ১৫ অক্টোবর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বেসরকারি স্কুল-কলেজের সভাপতি পদে শিক্ষকদের নির্বাচিত বা মনোনীত করার বৈধতার প্রশ্নে নিয়ে রুল জারি করেন আদালত। সেই রুলের শুনানি শেষে আদালত বুধবার (৯ মে) রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বিনাভোটে স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে সাংসদদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আাপিল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে। ফলে এখন আর বিনাভোটে এমপিরা কমিটির সভাপতি বনে যেতে পারেন না।
আরও পড়ুনঃ
লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপর স্থান দেওয়ার কারন কী?
Class Seven- বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি- ভাষা