[কবি পরিচিতি : লালন শাহ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার অন্তর্গত ভাঁড়ারা গ্রামে মতান্তরে ঝিনাইদাহ জেলার হরিশপুর গ্রামে ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাধক সিরাজ সাঁই বা সিরাজ শাহর শিষ্যত্ব গ্রহণ করার পর লালন সাঁই বা লালন শাহ নামে পরিচিতি অর্জন করেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যালাভ না করলেও হিন্দু-মুসলমান শা ̄¿ সম্র্পূকে বিশেষ জ্ঞান ও বক্ষৎপত্তি লাভ করেন। বাউল সাধক ও সঙ্গীত রচয়িতাদের মধ্যে লালন শাহ সবচেয়ে বেশি উৎকর্ষের পরিচয় দেন। তাঁর সঙ্গীত অধ্যাত্মভাব, মরমী রসব্যঞ্জনা ও শিল্পগুণে বিশেষ সমৃদ্ধ। লালন সহসধাধিক গান রচনা করেন। রবীন্দ্রনাথই শিক্ষিত বাঙালি বিদ্বৎ সমাজের কাছে লালনকে পরিচিত করেন। রবীন্দ্রনাথের অনেক গানে লালনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। লালনের ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’, ‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’ ইত্যাদি গান বাংলা তত্ত্ব-সাহিতে্যর অমল্য সম্পদ।]
শব্দার্থ ও
টীকা : মীন-মাছ; মোহনা-নদীর যে অংশ সমুদ্রে পড়েছে।
পাঠ পরিচিতি : অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী সম্পাদিত ‘লালনসমগ্র’ নামক গ্রন্থ থেকে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ কবিতাটি সম্পাদনা করে সংকলিত হয়েছে। সময়ের কাজ সময়মতো করতে হয়। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে যেমন সেখানে মাছ থাকে না, ঠিক সময়ে মাঠে চাষ না করলেও তেমনি ফসল হয় না। লালন বলেন, যথাসময়ে যথা কর্মটি করলে যে মহৎ শক্তির সচনা হয় তাতে অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে।