
সারাদেশে কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক, পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পাওয়া ২৪১ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হাইকোর্টের রায় না মানায় শিক্ষা, অর্থ ও জনপ্রশাসন সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখিত পাঁচ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ই জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন দোলন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, শামসুদ্দিন ও আইনুন নাহার এ্যানি। এটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার এ্যানি।
কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪১ শিক্ষকের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গতবছর ১১ জানুয়ারি এক রায়ে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশ আজও প্রতিপালিত হয়নি। এ কারণে সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন সংশ্লিষ্টরা।
‘মেধা উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় দেশের বিভিন্ন কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক, পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৮-১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ প্রকল্প চলে।
আইনজীবী মিজানুর রহমান জানান, ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল প্রকল্প শেষ হলে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু তা না করায় দোহারের জয়পাড়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিদর্শক মো. শামসুদ্দিনসহ ২৪১ জন ২০১৬ সালে রিট আবেদন করেন। পরে রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
আরো পড়ুন: