
নাটেরের মহন আলী অফিস সহায়ক পদে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১৫ নভেম্বর। ২১ শে ডিসেম্বর তাকে ঢাকার আবদুল গণি রোডে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদান করতে বলা হয়েছে। তার কর্মস্থল রংপুর সাবস্টেশন। মহন আলীর একইসঙ্গে যারা চাকরির আবেদন করেছেন বা পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কোথাও কেউ ফল প্রকাশের কোনো খবর পায়নি। অন্য কেউ নিয়োগপত্র পেয়েছে কি-না খুঁজতে গিয়ে কাউকে পাননি। সন্দেহ হলে সত্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে আসেন মহন আলী। কোথায়, কার কাছে যোগদান করবেন কেউ বলতে পারে না। এ টেবিল ও টেবিল ঘুরে শেষে জানতে পারেন তার ওই নিয়োগপত্রই ভুয়া বা জাল।
শিক্ষা অধিদপ্তর ১৯ নভেম্বর অফিস সহায়কসহ কয়েকটি পদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করেছে বটে কিন্তু ফলই প্রকাশ করেনি।তাই নিয়োগপত্র দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। অথচ নিয়োগপত্রে মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সই রয়েছে। তবে, প্রতারকরা ওয়াহিদুজ্জামানকে পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) হিসেবে উল্লেখ করেছে কথিত ওই নিয়োগপত্রে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বদলি ও এমপিও দালাল ও জেলাভিত্তিক এমপিও দালাদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট এ ধরণের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। অধিদপ্তরের এইচ আর এম ইউনিটে কর্মরত একজন বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাও জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) নিয়োগ কমিটির প্রধান কিন্তু তিনি গত সপ্তাহে দৈনিকশিক্ষাকে নিশ্চিত করেছেন যে ওই নিয়োগপত্র ভুয়া। ফলই প্রকাশ হয়নি। এহেন অপকর্মে জড়িতদের খুঁজে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার তাগিদ দেন তিনি।
আরো পড়ুন: