
বৃটেনের নিরাপত্তা গবেষক মলওয়্যার টেক, যেটি রেনসম ওয়্যার এটাককে একটি গণ্ডীর মাঝে ধরে রাখতে সাহায্য করেছিল, তারাই ভবিষ্যৎবাণী করেছে ‘আরেকটি হামলা আসছে, খুব সম্ভবত আজকেই ( সোমবার )’
র্যান্সমওয়্যার কি?
র্যানসমওয়্যার এমন একটি ভাইরাস, যেটি ব্যবহারকারীর সমস্ত নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেয়।র্যানসমওয়্যার হচ্ছে পরিচিত ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর কম্পিউটার প্রোগ্রাম। যেটি কম্পিউটার বা মুঠোফোন ব্যবহারে বাধা দিয়ে থাকে। এটি একধরনের র্যানসম বা মুক্তিপণ দাবি করার মতো ব্যাপার।এটি মুলত কম্পিউটারে ঢুঁকে গুরুত্বপূর্ণ ফোল্ডার নিজের নিয়ন্ত্রনে নেয়। এরপর ব্যবহারকারী উক্ত ফোল্ডারে ঢুঁকতে চাইলে ৩০০ ডলার দাবি করে।

২০১৭ সালের মে মাসের প্রথমদিকে এই ভাইরাসটির মাধ্যমে প্রায় একশটি দেশ এ সাইবার হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্পেন, রাশিয়া, ফ্রান্স রয়েছে। ইংল্যান্ডের ৪৮টি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, স্কটল্যান্ডে ১৩টি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে। কিছু কিছু হাসপাতাল আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী গত শুক্রবারের সাইবার হামলায় আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার কম্পিউটার সিস্টেম অকেজো হয়ে পড়ে। এর চেয়ে বড় কোন হামলা হয়তো অপেক্ষা করছে সোমবারের জন্য।
ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারগুলোতে ম্যাসেজ দেখাচ্ছে, তাদের দাবি ৩শ ডলার।অর্থ দিলেই সমস্ত ডকুমেন্টগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মেলওয়্যার টেক জানিয়েছে, তারা একটি ডোমেন নিবন্ধন করেছে যাতে ভাইরাসগুলোর ছড়িয়ে পড়ার গতিকে অনুসন্ধান করে বের করতে পারে ও ধ্বংস করতে পারে।
কিভাবে আক্রমন করে র্যানসমওয়্যার?
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সফটওয়্যারে এ ভাইরাস ভালোভাবেই তাণ্ডব চালিয়েছে।প্রথম এ ভাইরাসকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। র্যান্সমোয়ার উইন্ডোজ পিসিগুলোর নিরাপত্তা দুবলতা কাজে লাগিয়ে ঢুকে পড়ে। সাধারণত উইন্ডোজ এক্সপিতে এর এট্যাক বেশি হচ্ছে, তবে উইন্ডোজ, ৭,৮,১০ এ এট্যাক হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও আমাদের মত যারা অনলাইনপেমেন্ট, বিভিন্ন ধরণের পাসওয়ার্ড সহ গুরুত্বপুর্ণ ডাটা কম্পিউটারে রাখেন, তাদের জন্য এটা উদ্বেগের বিষয়।