রাজধানীর নামিদামি স্কুলে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতেই মূলত কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের শিক্ষা শাখা তাদের কাজ শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করে কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুদক আগে থেকেই রাজধানীর স্কুলগুলোতে অবৈধ ভর্তি এবং ভর্তিতে বেশি টাকা নেওয়ার ব্যাপারে নজর রাখছে। তবে অবৈধ ভর্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আমাদের কাজ আরো সহজ হয়ে গেল। আমরা সহজেই ফাঁকফোকরগুলো ধরতে পারব। আজ (গতকাল) আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এটি অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জানা যায়, গত নভেম্বর মাসেই সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পৃথক নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে প্রথম শ্রেণিতে লটারি ও নবম শ্রেণিতে জেএসসি পরীক্ষার ফল এবং অন্যান্য শ্রেণিতে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু নামিদামি স্কুলগুলো প্রথম শ্রেণিতে তাদের যত আসন রয়েছে লটারিতে সাধারণত এর অর্ধেক শিক্ষার্থীর নাম তোলে। অন্য শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষায়ও আসনের তুলনায় অর্ধেক শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করে। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য আসনের সংখ্যা ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা কেউ করে না। ফলে কত আসন আছে, আর শেষ পর্যন্ত কত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলো তার খবর কেউ জানে না।
এসব বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান গতকাল বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালায় ম্যানেজিং কমিটি। তারা নিজেরাই তাদের সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক সময় আমাদের কথাও শোনে না। স্কুলগুলোতে অবৈধ ভর্তি হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ভালো হয়।’
আরো পড়ুন:
0 responses on "রাজধানীর নামিদামি স্কুলে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি, অনুসন্ধান করবে দুদক"