
মেয়েদের বসে থাকলে চলবে না, মেধা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নারীকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। বেশি করে পড়ালেখা করতে হবে। মেয়েদের বসে থাকলে চলবে না। তাদের নিজেদের মেধা কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীরা যাতে মূল স্রোতে আসতে পারেন, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ই মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রাধান্য দিচ্ছি। আমাদের উচ্চ আদালতে কোনও নারী বিচারক ছিলেন না, আমরা এসে সে উদ্যোগ নিয়েছি। নারীদের পুলিশের এসপি পদে নিয়োগ দিয়েছি। এছাড়া প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের স্থান করে দিয়েছি। আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ছয় মাস করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা খেলাধূলায়ও এখন আর পিছিয়ে নেই। তারা এখন এভারেস্টে অভিযানে যাচ্ছেন। আমরা তৃণমূল পর্যায়েও নারী নেতৃত্ব আনার চেষ্টা করছি।’
নারীদের অবদানের কথা বলতে গিয়ে তিনি তাঁর মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে সংসার, রাজনীতি ও আন্দোলন পরিচালনায় ভূমিকা রাখতেন, সেসবের স্মৃতিচারণকরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে সংগ্রাম শুরু করেন আমার বাবা। মা আড়ালে থেকে সবরকমের সহযোগিতা করে গেছেন বাবাকে। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে জাতির জনকের বিরুদ্ধে যখন মামলা দেওয়া হয়, তখনও মা শক্ত হাতে সংসার সামলেছেন, বাবাকে শক্তি জুগিয়েছেন। তার কোনো চাহিদা ছিল না। এমনকি বাবা যখন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখনও একইরকম সরল জীবন যাপন করেছেন মা। তিনি থাকতেন ওই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতেই।
জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশকে পিছিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করত কি-না সন্দেহ আছে। তাদের কারণে দেশ পিছিয়ে যায়, নারীরাও পিছিয়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত করা হয়। ’৯৬ খ্রিস্টাব্দে আমরা সরকারে আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি।’
আরো পড়ুন: