📣চলছে প্রো-অফার!!! ইশিখন.কম দিচ্ছে সকল অনলাইন-অফলাইন কোর্সে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়! বিস্তারিত

Pay with:

ভিডিও এডিটিং কি? কিভাবে শিখব ভিডিও এডিটিং?

ভিডিও এডিটিং নিয়ে কিছু কথাঃ

বিজ্ঞাপন বানানোসহ তথ্য বিতরণ এবং ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিডিও ভিত্তিক ওয়েবসাইট ও চ্যানেলের চাহিদা দেখা যায়। অনেকে পড়াশোনার কাজেও ইউটিউব ওয়েবসাইটের বিভিন্ন চ্যানেলের ভিডিও ব্যবহার করে থাকেন। অ্যানিমেশনসহ আকর্ষণীয় ভিডিও বানানোর কাজের জন্য একজন ভিডিও এডিটরকে নিয়োগ দেওয়া হয় যিনি কোন প্রতিষ্ঠানের ভিডিও সংক্রান্ত গ্রাফিক্স ও কাজ দেখভাল করেন।


ভিডিও এডিটিং কি?

ভিডিও এডিটিং হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি ভিডিও ফুটেজকে এডিটর পছন্দশীল ভাবে এডিট করে সাজিয়ে একটি পরিপূর্ণ গল্প ফুটিয়ে তোলে। যে কাজ গুলো করার নির্দেশনা আছে তা হলো Correction, Organization, Modifications and Accurate এগুলো প্রডাকশনের সকলেরই জেনে রাখা ভালো। এটি হচ্ছে একটি পোস্ট প্রোডাকশন কাজ। যেখানে ভিডিওর টাইটেল, গ্রাফিক্স, কালার কারেকশন, সাউন্ড মিক্সিং, ইফেক্ট সহ সব ধরণের কাজ করা হয়।


ভিডিও এডিটরদের কাজের স্থানঃ-

ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চাইলে সাধারণত ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোতে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে সাধারণত সকল ক্ষেত্রেই ভিডিওগ্রাফির কাজ করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ইউটিউব এবং ফেসবুকসহ অনলাইনের মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপন ও কোন অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা বা কনফারেন্সের প্রচার চালানোর জন্য ভিডিও বানিয়ে থাকে। কোন একটি নির্দিষ্ট তথ্য মানুষকে জানানোর জন্যও ভিডিও তৈরি করা একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তাই যে কোন প্রতিষ্ঠানেই একজন ভিডিও এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকে। ভিডিও এডিটর কাজ করেন এমন কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল –

১। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস। যেমনঃ আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার.কম।
২। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন কম্পানী।
৩। অনলাইন এডুটেইনমেন্ট ওয়েবসাইট বা চ্যানেল।
৪। যে কোন কর্পোরেট, আন্তর্জাতিক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট প্রজেক্টের জন্যও এক বা একাধিক ভিডিও এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকে।


একজন ভিডিও এডিটর যে ধরনের কাজ করে থাকেনঃ-

নন লিনিয়ার এডিটিং এ একজন এডিটর নিম্নলিখিত কাজগুলো করে থাকেন:
শুটিংয়ের সময় যে ফুটেজ নেয়া হয় তাতে এমন কোন গল্প তৈারী হয় না। যেটা এডিট প্যানেলে সম্ভব। এবং আনুসাংগিক আরো অনেক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রডাকশনটি দর্শক প্রিয় করে তোলা।


অপ্রয়োজনীয় ফুটেজ বাদ দেওয়াঃ-

ভিডিও এডিটিং এর একটি অপরিহার্য কাজ হচ্ছে ভিডিও ফুটেজের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোকে বাদ দেওয়া। ভিডিওতে অনেক ধরণের শট থাকতে পারে যা অপ্রয়োজনীয়, তাই সেগুলো বাদ দিয়ে এডিটিং এর মাধ্যমে কাজটি আরও সহজ ও সুন্দর করা সম্ভব।


ভাল ফুটেজগুলোকে আলাদা করাঃ-

ভিডিও শুট করার পর ভাল এবং প্রয়োজনীয় ফুটেজগুলোকে আলাদা করে রাখা। তার জন্য আপনাকে আগেই ভেবে নিতে হবে আপনি গল্পের সাথে মিলিয়ে কি কি শট ব্যাবহার করবেন। এরপর ফুটেজগুলোকে প্রয়োজন অনুসারে এডিটিং এর জন্য সাজিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারবেন।


গ্রাফিক্স ও মিউজিক যোগ করাঃ-

ভিডিও এডিটিং এর এই অংশটি ভিডিওতে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। গ্রাফিক্স ও মিউজিক যোগ করলে ভিডিওকে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে তোলা সম্ভব হয়। যার ফলে দর্শকের কাছে ভিডিও টি আকৃস্টকর হয়।


সাউন্ড ইফেক্ট এবং ভিজুয়্যাল ইফেক্টঃ-

একজন ভালো ভিডিও এডিটর ফুটেজে কি ধরণের ইফেক্ট ব্যাবহার করা উচিত সেই সর্ম্পকে জানে,বোঝে। ভিডিওর সঙ্গে সাউন্ড ইফেক্ট এবং বিভিন্ন ভিজুয়াল ইফেক্ট ব্যাবহার করে ভিডিওকে আরও বেশি প্রানবন্ত এবং আকর্ষনীয় করে তোলা হয়।


ভিডিও দ্বারা একটি নিদিষ্ট ঘটনা বোঝানোঃ

কোন ধরনের ধারাভাষ্য বা লেখা ছাড়াই একটি ভিডিও নিদিষ্ট ঘটনার বর্ণনা করে। ভিডিও এডিটর তার দক্ষতার সাহায্যে সেই তথ্য একজন দর্শককে পরিপূর্ণভাবে বোঝাতে পারেন। বিশেষ করে যারা শব্দ শোনে না তাদের কেও ভিডিওর মাধ্যমে বুঝান সম্ভব হয়।


একজন ভিডিও এডিটরের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

১। ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চাইলে বেশ জরুরী হলো ব্যক্তিগত দক্ষতা। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত দক্ষতার উপর নির্ভর করে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চাইলে যোগ্যতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ হলেও সাধারণত মোশন গ্রাফিক্স বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি আছে এমন কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়াও ডিজিটাল মিডিয়া প্রডাকশন, ভিডিও প্রডাকশন বা ফিল্ম প্রডাকশন বিষয়ে কোন ডিগ্রি থাকলে প্রার্থী হিসেবে আপনি প্রাধান্য পাবেন।

২। ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়োগ পাওয়ার জন্য ২ থেকে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজনীয় হতে পারে।

৩। ভিডিও এডিটর হিসেবে নিয়োগ পেতে চাইলে আপনার দক্ষতা প্রমাণ করতে আপনাকে সাধারণত ২ থেকে ৫ টি ভিডিও এডিটিং-এর নমুনা জমা দিতে হয় যার উপর ভিত্তি করে আপনার নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ভিডিওগুলো অবশ্যই আপনার দ্বারা সম্পাদিত হতে হবে এবং ইউটিউব অথবা ভিমিও’র মত ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকলে এবং কাজের নমুনা আপলোড করা থাকলে তা আপনাকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।

৪। মোশন গ্রাফিক্স বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে ভিডিও এডিটিং এর উপর কোন কোর্স করা থাকলে এবং উপযুক্ত সার্টিফিকেট বা সনদ থাকলে আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে ভিডিও এডিটর হিসেবে।

একজন ভিডিও এডিটরের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
১। অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড, প্রিমিয়ার প্রো, আফটার ইফেক্টস, ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটরের কাজ জানতে হবে।

২। ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চাইলে সৃষ্টিশীল হওয়া প্রয়োজন। ভিডিও তৈরি করার সময় আপনি নতুন ধরনের চিন্তাভাবনা ও কৌশল প্রয়োগ করতে পারলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া সম্ভব এবং ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ বাড়বে আপনার সৃষ্টিশীলতার পুরস্কার হিসেবে।

৩। নতুন ভিডিও এডিটিং বা সম্পাদনার কৌশল, সফটওয়্যার, বিভিন্ন ধরন ও শৈলী নিয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।

৪। ইতিবাচক মানসিকতার হতে হবে।

৫। একইসাথে কয়েকটি কাজ করতে পারেন এমন ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে, ইংরেজীতে যাকে বলা হয় মাল্টিটাস্কিং।

৬। আউট অব দ্য বক্স বা আগে কখনো করা হয়নি এমন সৃষ্টিশীল কিছু করতে আগ্রহী হতে হবে।

৭। ভিডিও এডিটিং এর কাজে নিজের ইচ্ছা ও আগ্রহ অনেক বড় একটি বিষয়। স্বেচ্ছায় কাজ না করতে চাইলে এই শিল্পে ভালো করা ও টিকে থাকা বেশ কঠিন।

৮। ভিডিও কোডেক সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকতে হবে।

৯। স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এমন হতে হবে। উপরের পদের কারও সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে কাজ ফেলে রাখা যাবে না।

১০। ভিডিওর সেট বা ভিডিওগ্রাফির সাধারণ যন্ত্রপাতি নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে।


সেরা ১০ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ২০২১

1. Adobe Premiere Pro CC
2. CyberLink PowerDirector
3. Adobe Premiere Elements
4. Vegas Pro
5. Final Cut Pro
6. Camtasia Studio
7. Corel VideoStudio Ultimate
8. Filmora
9. Pinnacle Studio
10. Magix Movie Edit Pro


একজন ভিডিও এডিটরের মাসিক আয়ঃ-

ভিডিও এডিটরের মাসিক আয় কাজ, অভিজ্ঞতা ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। সাধারণত একজন ভিডিও এডিটর মাসিক ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা বা তার বিশিও আয় করে থাকে।


একজন ভিডিও এডিটরের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

বিষয়টি একেবারেই প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। তবে জুনিয়র ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ শুরু করার পরে পরবর্তীতে সিনিয়র ভিডিও এডিটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়। সিনিয়র ভিডিও এডিটর পদ থেকে হেড অব ভিডিও এডিটিং এবং সর্বোচ্চ ভিডিও এডিটিং ম্যানেজার পদ পর্যন্ত আপনি যেতে পারবেন।

   
   

0 responses on "ভিডিও এডিটিং কি? কিভাবে শিখব ভিডিও এডিটিং?"

Leave a Message

Address

151/7, level-4, Goodluck Center, (Opposite SIBL Foundation Hospital), Panthapath Signal, Green Road, Dhanmondi, Dhaka-1205.

Phone: 09639399399 / 01948858258


DMCA.com Protection Status

Certificate Code

সবশেষ ৫টি রিভিউ

eShikhon Community
top
© eShikhon.com 2015-2024. All Right Reserved