বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত পাঁচটি চক্র

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত পাঁচটি চক্র

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি জালিয়াতির সাথে পাঁচটি জালিয়াত চক্র জড়িত বলে জানা গেছে। এর মধ্যে দুটি চক্রের চার জালিয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি তিন চক্রের জালিয়াতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

পুলিশ জানায়, জালিয়াতির ঘটনায় আটক ছয় শিক্ষার্থীর পিছনে এই পাঁচটি চক্র কাজ করেছে। বৃহৎ অর্থের বিনিময়ে প্রথমে তারা ভর্তি সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এই ছয় শিক্ষার্থী আটকের পর জালিয়াতরা প্রত্যেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারফেসবুক আইডির হদিস মিলছে না। যারা এসব চক্রে কাজ করেছে তাদের প্রত্যেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। জালিয়াতরা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।

পরিচয় গোপন রেখে একজন বলেন, এই পাঁচটি চক্রের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তারা ভর্তি জালিয়াতিতে সহযোগিতা করে থাকে। তাদের সহায়তায় এসব চক্র কয়েকবছর থেকেই ভর্তি জালিয়াতি করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, জালিয়াতির অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।

এদিকে ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় সবচেয়ে আলোচিত সেই আন্টির পরিচয় মিলেছে। রংপুর নগরীর খামারমোড় এলাকায় বসবাস করেন সেলিমা বেগম (৫০) নামের সেই আন্টি। তার স্বামীর ডাক নাম মনা বলে জানিয়েছে পুলিশ। পেশায় গৃহিনী সেলিমা বেগম। জালিয়াতির অভিযোগে লালমনিরহাটের শামস নামের এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সেলিমা রহমান পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ও রংপুর কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) মহিব্বুল ইসলাম বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পিছনে একাধিক চক্র কাজ করেছে। এসব চক্রের প্রত্যেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। জালিয়াতরা বিভিন্ন ভাবে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ভর্তি করে দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জালিয়াতির ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী আটক হওয়ায় কৌশল অবলম্বন করেছে জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোন সময় তারা গ্রেপ্তার হতে পারে।

এদিকে, গত ২৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় শনাক্ত করা ভূয়া পরীক্ষার্থী এবং তাদের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে অতি শীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দিতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে কমিটি গঠনের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্য কামসুজ্জামান জানান, এখন পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা। এমনকি কমিটির সদস্যদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তেমন আলোচনাও হয়নি।

 

 

আরো পড়ুন:

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় আবাসিক হল বন্ধ থাকবে

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline