বিনামূল্যের বই বিক্রির দায়ে ৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

বিনা মূল্যের সরকারি বই কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে শালনগর মডার্ন একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে শনিবার রাতে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণীর সরকারি বিপুল পরিমাণ বই কালোবাজারে বিক্রির সময় এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের কাছে খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বইগুলো উদ্ধার করে।

জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার শালনগর মডার্ন একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী মহিউদ্দীন বিদ্যালয় থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর ২০১৭ ও ২০১৮ সালের ৪৬২ কেজি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে উপজেলার লাহুড়িয়া বাজারের ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ী ইকরামুল বিশ্বাস ও লাল চাঁদের কাছে বিক্রি করেন। তাছাড়া স্কুলের পুরাতন ভাঙ্গা ৩০/৩৫টি টিন, কিছু লোহার রড ও ভাঙ্গা স্টিলের দরজা গোপনে বিক্রি করে। শনিবার রাতে ক্রেতারা এসব সামগ্রী বিদ্যালয় থেকে রাত নয়টার সময় নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ম-লবাগ বাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। বই ক্রেতা লাল চাঁদ জানান, শালনগর মডার্ন একাডেমীর মহিউদ্দীন স্যারের কাছ থেকে ৫০০ কেজি বই, খাতাপত্র ও রড-টিন কিনেছি। সন্ধ্যার সময় নৈশপ্রহরীর কাছে টাকা দিয়ে মালামাল ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ঘেরাও করে আটকে রাখে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কাজী মহিউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে পুরাতন খাতা ও বই বিক্রি করা হয়েছে। সেখানে চলতি বছরের দু-একটা বই থাকতে পারে। তার মধ্যে ২০১৮ সালের বই কিভাবে গিয়েছে তা আমার জানা নেই।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মামলার বাদী শহীদুল ইসলাম বলেন, সরকারি নতুন বা পুরাতন কোন বই বিক্রি করবার বিধান নাই। তাই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকারি বই কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ এনে শালনগর মডার্ন একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মহিউদ্দীনসহ ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা হলেনÑ সহকারী শিক্ষক গোপাল কুন্ডু ওরফে বাবু মাস্টার, দফতরী ইউনুস মোল্যা, নাইটগার্ড ফজলুল হক ওরফে খোকন বিশ্বাস, ইকরামুল বিশ্বাস, আলম বিশ্বাস, মহব্বত বিশ্বাস ও ক্রেতা লালচান বিশ্বাস।

 

 

আরো পড়ুন:

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া বইয়ে ভুলে ভরা

এই প্রথমবারের মতো নিজস্ব মাতৃভাষায় পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা বই পাচ্ছে

শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মুগ্ধ ২য় শ্রেণির ছয় বৃদ্ধ শিক্ষার্থী

নবম-দশম শ্রেণির ছয়টি বইয়ে আমূল পরিবর্তন এসেছে এবার

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline