
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আনন্দঘন উৎসব করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতির ঐতিহাসিক সাফল্যে বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) আনন্দঘন উৎসব করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্মৃতি চিরন্তন’ প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকালে এক আনন্দ সমাবেশের উদ্বোধন করা হয়। উপাচার্য ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে এই আনন্দ সমাবেশের উদ্বোধন করেন।
এসময় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন- এই তিনটি সূচকে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। উপাচার্য বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে মানবসম্পদ উন্নয়নের ফলে। আর মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অন্যদের জন্য অণুপ্রেরণা হিসেবেও কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আনন্দ সমাবেশটিতে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ হতে চারুকলা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে ফুটপাতে বিভিন্ন হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ফুলের ডালা এবং “উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন” শ্লোগান সম্বলিত ব্যানারসহ সারিবদ্ধভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে অবস্থান করে পরস্পর পরস্পরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।