
দেশের ফ্রিল্যান্সিং পেশাজীবিদের সরকার নিজ থেকে অর্থ সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকারি সূত্র থেকে বলা হয়েছে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একাডেমিক আউটসোর্সকে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার তালিকায় রাখা হয়েছে। তারা সরকারের ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি পাচ্ছেন। এখন এই সহায়তা বা ভর্তুকি ব্যক্তি পর্যায়ে আউটসোর্সিং করা ফ্রিল্যান্সাররাও যেন পান তা দেখা হচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং খাতে বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম। বিশ্বের তৃতীয় বড় ফ্রিল্যান্সিং দেশ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ। ফ্রিল্যান্সিং এর বাজারমূল্যের প্রায় ২০ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে এবং দিন দিন এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বেসিসের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান,
”আমরা যে ক্যাশ ইনসেনটিভটা দিচ্ছি তা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে কেমন করে পৌঁছানো যেতে পারে-তা দেখা হচ্ছে। বিষয়টি এখনও খুব স্পষ্ট হয়ে আসেনি। আমরা চেষ্টা করবো যাতে এই বিষয়টিও স্পষ্ট করা যায় যে, কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানগুলো না যারা ব্যক্তিগতভাবে ফ্রিল্যান্সিং করেন তারাও যাতে নগদ সহায়তাটা পেতে পারে।”
গত বছর সরকার এই খাতের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। বছরটির ২৭ মার্চ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভায় এই কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বেসিসকে। নির্দিষ্ট সময় পর এটি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন সেই সময়ের বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। তবে পরে এটির গন্তব্য কোথায় হয়েছে বা কী অবস্থায় আছে তা জানা যায়নি।
খাত হিসেবে ফ্রিল্যার্ন্সিংকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। ২০ হাজার নারীসহ ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ১০ হাজার বিশেষায়িত আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সার তৈরির এডভান্স প্রশিক্ষণের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ইতোমধ্যে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণী এই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যাদের মধ্যে ১০ হাজার তরুণ-তরুণী অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আউটসোর্সিং করে ৬ লাখ ডলারেরও বেশি আয় করেছে। ২০১৮ সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ পাবে ৪০ হাজার তরুণ-তরুণী।