পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই নেয়া হয়েছে প্রথম শ্রেণির পরিবেশ পরিচিতি বিষয়ের পরীক্ষা। গত ১৪ই ডিসেম্বর প্রথম শ্রেণির ধর্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে চলে আসে পরিবেশ পরিচিতি বিষয়ের প্রশ্ন। এভাবে ওই দিনই পরিবেশ পরিচিতি বিষয়ের প্রশ্ন আউট হয়ে যায়।
গত ১৪ই ডিসেম্বর বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে এই বিষয়ের প্রশ্ন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা জেনে যাওয়ার পরও প্রশ্নপত্র পাল্টানো হয়নি। সেই আগের প্রশ্নেই গতকাল (১৮ই ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম শ্রেণির পরিবেশ পরিচিতি পরীক্ষা। কোন কোন বিদ্যালয়ে শুধু ধর্ম প্রশ্ন কেটে পরীক্ষা নেয়া হলেও অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এবারের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার ভুল করেছেন। পরীক্ষার দিন এ ভুল (একই পৃষ্ঠায় দুই বিষয়ের প্রশ্ন) ধরা পড়ায় কিছুই করার ছিলো না। প্রশ্ন হাতে রেখে পরীক্ষা নিয়েছি।
একাধিক অভিভাবক জানান, ফাইনাল পরীক্ষার মতো একটি পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিতে এভাবে ভুল হয় কিভাবে? আর ভুল ধরা পড়ার পরও কেন প্রশ্ন পাল্টে দেয়া হয়নি? যারা এই প্রশ্ন আগে জানতে পেরেছে তারাইতো পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাবে। আর শিক্ষকরা যদি প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকে তাহলে প্রশ্ন হাতে রেখে পরীক্ষা নিয়ে কতটা সফল হবেন। কেননা শিক্ষকরাই তো কোচিং ক্লাসের সাথে জড়িত। হোক সেটা কলাপাড়া মংগলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কোচিং বাণিজ্যের কারণে এখন পরীক্ষার আগেই শিক্ষার্থীরা জেনে যাচ্ছে কালকের পরীক্ষায় কি প্রশ্ন আসবে।
কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনি লাল সিকদার ভুল স্বীকার করে বলেন, উপজেলায় ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কয়েকদিনে এতো প্রশ্ন ছাপানো সম্ভব ছিলো না। তাই ওই প্রশ্নেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে প্রশ্ন আউটের কথা তিনি অস্বীকার করে বলেন একই পৃষ্ঠায় দুই বিষয়ের প্রশ্ন ছাপানো তাঁদের ভুল হয়েছে। তবে এই ভুল ধরা পড়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষালয় প্রধানকে প্রশ্ন ছিড়ে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে দুই একটি স্কুল প্রধান প্রশ্ন না ছিড়েই পরীক্ষা নিয়েছে বলে তিনি বলে তিনি জানান।
আরো পড়ুন:
0 responses on "ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই নেয়া হয়েছে পরীক্ষা"