📣চলছে প্রো-অফার!!! ইশিখন.কম দিচ্ছে সকল অনলাইন-অফলাইন কোর্সে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়! বিস্তারিত

Pay with:

পড়া মনে রাখার কিছু কৌশল

পড়া মনে রাখার কিছু কৌশল:

১. আত্মবিশ্বাস:


আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত। মনকে বোঝাতে হবে
পড়াশোনা অনেক সহজ বিষয়-আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে। তাহলেঅনেক কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে।
আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আবার কোনো রকমেই বেশি হওয়া চলবে না। অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবের সাথে নিজেকে
তুলনা করে চলনসই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোনো বিষয় পড়তে যাওয়া ভালো। একবার পড়েই মনে রাখা কঠিন। তাই
এটিপুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পড়ে এর সম্বন্ধে একটি ধারণা লাভ করার পরেই মনে রাখা সহজ হয়। আবার কোনো বিষয়ে ভয়
ঢুকে গেলে সেটা মনে রাখা বেশ কঠিন। ছাত্র- ছাত্রীরা সাধারণত অঙ্কইংরেজীকে বেশি কঠিন মনে করে। তাদের উচিত হবে বইয়ের প্রথম থেকে পড়া বুঝে বুঝে পড়া এবং পড়ার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস করা। লেখাপড়া মনে রাখার একটি বড় পদক্ষেপ। এই জন্যই বলা হয় লেখাপড়া। আর পড়ালেখা করার উত্তম সময় একেকজনের জন্য একেক রকম।
যারা সাধারণত হোস্টেলে থাকে তাদের ক্ষেত্রে রাত জেগে পড়াটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। অনেকের কাছে আবার বিকেলে বা সন্ধ্যার পরে, কেউ কেউ আবার সকালে পড়তে ভালোবাসেন। তবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হচ্ছে যেহেতু ঘুমের পরে মন ও মনন পরিষকার থাকে সেহেতু ভোর হচ্ছে পড়ালেখার জন্য ভালো সময়।

২. কনসেপ্ট ট্রি বা ধারণার গাছ

——
পড়া মনে রাখার এটি একটি কৌশল। কোনো বিষয়ে পড়া মনে রাখার জন্য সম্পূর্ণ পড়াটি পড়ে নেয়ার পর সাতটি ভাগে ভাগ করতে হয়। এবং প্রতিটি ভাগের জন্য এক লাইন করে সারমর্ম লিখতে হয়। ফলে পড়ার এটি সাতটি লাইনে সীমাবদ্ধ থাকে। এর প্রতিটি লাইন একটি পাতায় লিখে অধ্যায় অনুযায়ী একটি গাছ তৈরি করে গাছের নিচ থেকে ধারাবাহিকভাবে পাতার মতো করে সাজাতে হবে। যাতে এক দৃষ্টিতেই পড়ার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মনে পড়ে যায়। এই পাতাগুলোতে চোখ বোলালে লেখাটি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে।বাংলা, ভূগোল ও সমাজশাস্ত্রের জন্য এই কৌশলটি অধিক কার্যকর।

 

৩. কি ওয়ার্ড মূল শব্দ

———
যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের আকারে খুব সহজে মনে রাখা যায়। যেমন- রঙধনুর সাত রঙ মনে রাখার সহজ কৌশল হলো ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা। প্রতিটি রঙের প্রথম অক্ষর রয়েছে শব্দটিতে। এমনিভাবে ত্রিকোণমিতির সূত্র মনে রাখতে ‘সাগরে লবণ আছে, কবরে ভূত আছে, ট্যারা লম্বা ভূত’ ছড়াটি মনে রাখা যেতে পারে। এর অর্থ দাঁড়ায়, সাইন=লম্ব/ অতিভুজ (সাগরে লবণ আছে), কস=ভূমি/অতিভুজ (কবরে ভূত আছে), ট্যান=লম্ব/ ভূমি (ট্যারা লম্বা ভূত)। মেডিকেলে আমরা ভেগাসনার্ভের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা মনে
রাখতে একটি পদ্য লাইনের সাহায্য নিতাম। তা হলো ঃ ‘মেরিনা আমার প্রাণের বেদনা শুনিয়া রাগিয়া কাঁদিয়া কাঁটিয়া ওযে পালায়ে চলে গেল হায়’। এতে ভেগাস নার্ভের সবগুলো শাখাকে
মনে রাখা যায়। যেমন ঃ
মেরিনাতে- মেনিনজিয়াল,
আমার-অরিকুলার,
প্রাণের-ফেরিনজিয়াল
এভাবে সবগুলোর শাখা আমরা ছড়ারমাধ্যমে
মনে রাখতে পারি। মেধাবী ছাত্ররা নিজেই নিজের মতো করে নানা রকম ছড়া তৈরি করে নেবে।
৪. কালরেখা বা ইতিহাস মনে রাখার কৌশল ইতিহাস মনে রাখায় এ কৌশলটি কাজে দেবে। বইয়ের সব
অধ্যায় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিয়ে গত ৪০০ বছরের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা বানাতে হবে।
সেখান থেকে কে, কখন, কেন উল্লেখযোগ্য ছিলেন, সেটা সাল অনুযায়ী খাতায় লিখতে হবে। প্রতিদিন একবার করে খাতায় চোখ বোলালে খুব সহজে পুরো বই সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হবে। ফলে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন কষ্টকর মনে রাখার বিষয় হলো বিভিন্ন সাল। এগুলোকে কালো রেখার মাধ্যমে চর্চা করে মনে রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। এখানে কনসেপ্ট ট্রি বা ধারণা গাছ পদ্ধতি ব্যবহারকরা যেতে পারে।এটা সত্যি যে আলাদা আলাদাভাবে ইতিহাস মনে রাখাটা কষ্টকর বটে!

 

৫. উচ্চস্বরে পড়া
———-
পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চস্বরে পড়তে হবে। এই পদ্ধতিতে কথাগুলো কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে সহজে আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে একসময় পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর আগ্রহ না থাকলে পড়া শেখার কিছুক্ষণ পরই তা মস্তিষক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। শেখা হয়ে যাওয়ার পর বারবার সেটার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এটাও পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে। যেমন করে বাচ্চা বাচ্চা ছেলে পুরো কোরআন শরিফ মুখস্থ করে বা হাফেজ হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই ধারণার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হয় পড়ার বস্তুতে লাইন দিয়ে ধরে ধরে পড়ে শব্দ না করে পড়া ভালো। অথবা মুখে ফিসফিস করে শব্দ করা যায় বা শব্দের মতো করে ঠোঁট উচ্চারণ করা যায়। তবেশব্দ করে পড়ার পদ্ধতিতে ছাত্র- ছাত্রীরা দ্রুত কাহিল হয়ে যায়।

 

৬. নিজের পড়া নিজের মতো করে

——
সাধারণত মেধাবী ছাত্র-
ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রযোজ্য। তারা নিজের মতো করে একটি বিষয় বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে একটি নোটের মতো করে। এবং ওই নোটই তারা পরবর্তীতে টেক্সটবুক হিসেবেব্যবহার করে। এতে করে সুবিধা হচ্ছে নোট করার সময় শিক্ষার্থী বা ছাত্রীকে ওই এটি বিভিন্ন পুস্তক থেকে একাধিকবার পড়তে হয়। ফলে এটি সম্পর্কে একটি ধারণা পরিষকার হয়। এবং এই পরিষকার ধারণার ওপরে সৃজনশীল পদ্ধতি ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী অনেক বেশি পড়া মনে রাখতে পারবে এবং অনেক বেশি মেধাবী বলে প্রমাণিত হবে। মেডিকেল শিক্ষায় আমরা অনেক সময় বিভিন্ন বই থেকে নোট টুকে নিতাম এবং পরবর্তীতে মূল পাঠ্যবইয়ের সাথে রেখে প্রশ্নের উত্তর পড়তাম। এতে করে মনে রাখা আমাদের সময় অনেক সহজ ছিল। বিভিন্ন বই থেকে সাহায্য নেয়ার পাশাপাশি আমাদের অধ্যাপক মহোদয়দের বিভিন্ন লেকচার ক্লাস সুচারুরূপে নোট করে নিজস্ব নোটের পাশে রাখতাম। নিজের তৈরিকরা লেখা নিজের পড়তে অনেক সহজ মনে হতো। তবে এতে ছাত্রকে প্রতিটি ক্লাস করতে হবে, প্রতিটি অধ্যাপকের লেকচারগুলো শুনতে হবে, নোট করতে হবে এবং প্রতিদিন পড়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। ইদানীং দেখা যায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি লেভেলে কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী পড়ার আগে নীলক্ষেত মার্কেট থেকে নোট ফটোকপি করে নেয়। তাতে তারা পাস করতে পারে কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে প্রমাণিত হয় না।

 

৭. নতুন-পুরনোর সংমিশ্রণ ও নিজের নোটের পাশাপাশি অন্য কিছু গ্রহণ করা:

———
নতুন কিছু পড়া শেখার সময় নিজস্ব নোটের পাশাপাশি নতুন ধারণাটিকে কোথাও নোট করতে হবে বা সযত্নে লালন করতে হবে। নতুন কিছু শেখার সময় একই রকম আরো বিষয় মিলিয়ে নিতে হবে। কারণ একেবারে নতুন কোনো তথ্য ধারণ করতে মস্তিষেকর বেগ পেতে হয়। কিন্তু পুরনো তথ্যের সঙ্গে নতুন তথ্য সংযোজন করতে পারে খুব সহজে। উদাহরণস্বরূপ ‘সিডি’ শব্দটি শেখার ক্ষেত্রে পুরনো দিনের কলের গানের কথা মনে রাখলে শব্দটা সহজেই মনে থাকবে। শুধু মনে রাখতে হবে, শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা কী। ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রির নতুন কোনো সূত্র শেখার সময় মনে করে দেখতে হবে এ ধরনের সূত্র আগে পড়া কোনো সূত্রের সঙ্গে মেলে কি না।

 

৮. কেন’র উত্তর খোঁজা

—-
এটি একটি ভালো অভ্যাস। প্রতিটি অধ্যায়ের মধ্যে কী, কেন, কবে, কোথায়, কীভাবে এই
জিনিসগুলো নিজে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে। অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন সংযোগে পানি হয় এই ফর্মুলাটিকেই কী, কেন, কীভাবে এরূপে মেধাবী ছাত্ররা মনে রাখার সহজ ফর্মুলা হিসেবে নিতে পারে। নিজের মনকে সব সময় নতুন কিছু জানার মধ্যে রাখুন। নতুন কিছু জানার চেষ্টা কর এবং নিজস্ব নোটের পাশাপাশি এর বিভিন্ন উত্তর নোট করে নিন। এ নিয়মটা প্রধানত বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য প্রযোজ্য। তাদের মনে সব সময় নতুন বিষয় জানার আগ্রহ প্রবল হতে হবে। অনুসন্ধানী মন নিয়ে কোনো কিছু শিখতে চাইলে সেটা মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর কোনো অধ্যায় পড়ার পর সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাস করতে হবে। তাহলেই বিজ্ঞানের সূত্র ও সমাধানগুলো সহজে আয়ত্ত করা যাবে।
৯. কল্পনায় ছবি আঁকা বা কাল্পনিকভাবে গল্পের বিষয়ের সাথে মূল ধারণাটি নিয়ে একটি কাল্পনিক ছবি বেশকিছু বার পড়লে অনুমান করা যায়। এই ছবিটির আকার, কৃতিত্ব একেক ছাত্রের জন্য একেক রকম। এটিকে কল্পনার ছবি আকারে যত বেশি বিস্তারিতভাবে আনা যাবে, এটির খুঁটিনাটি তত বেশি করে প্রকাশ হবে এবং শিক্ষার্থী তত বেশি নম্বর পাবে। এটি বিভিন্ন রচনামূলক বিষয়ে ব্যবহার করা যায়। বিষয়সদৃশ একটি ছবি আঁকতে হবে মনে। গল্পের প্রতিটি চরিত্রকে আশপাশের মানুষ বা বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই এটি নিয়ে পড়তে বসলে মানুষ কিংবা বস্তুটি কল্পনায় চলে আসবে। এ পদ্ধতিতে কোনো কিছু শিখলে সেটা ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। আর মস্তিষককে যত বেশি ব্যবহার করা যায় তত ধারালো হয় ও পড়া বেশি মনে থাকে।

 

১০. পড়ার সঙ্গে লেখা

——
কোনো বিষয় পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি খাতায় লিখতে হবে। একবার পড়ে কয়েকবার লিখলে সেটা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। পড়া ও লেখা একসঙ্গে হলে সেটা মুখস্থ হবে তাড়াতাড়ি। পরবর্তী সময়ে সেই প্রশ্নটির উত্তর লিখতে গেলে অনায়াসে মনে আসে। এ পদ্ধতির আরেকটি সুবিধা হচ্ছে হাতের লেখা দ্রুত করতে সাহায্য করে। পড়া মনে রাখতে হলে শেখার সঙ্গে সঙ্গে বেশি বেশি লেখার অভ্যাস করতে হবে। সাধারণত কোনো বিষয়ে পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার লিখতে হয়। আবার ২৪ ঘণ্টা পরে ওই এটি আবারও পড়তে হয় এবং পরে লিখতে হয়। কিছুদিন পরপর এটি পড়া বা লেখার ওপরেই নির্ভর করে কতটুকু মনে রাখার সামর্থ্য রয়েছে। তবে লেখার চেষ্টা করা প্রতিটি পড়ার সাথে সাথে অত্যন্ত উপকারী পদক্ষেপ।

 

১১. অর্থ জেনে পড়া


ইংরেজী পড়ার আগে শব্দের অর্থটি অবশ্যই জেনে নিতে হবে। ইংরেজী ভাষা শেখার প্রধান শর্ত হলো শব্দের অর্থ জেনে তা বাক্যে প্রয়োগ করা। বুঝে না পড়লে পুরোটাই বিফলে যাবে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে ইংরেজী বানিয়ে লেখার চর্চা করা সব থেকে জরুরি। কারণ পাঠ্যবইয়ের যেকোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। ইংরেজী শব্দের অর্থভাণ্ডার সমৃদ্ধ হলে কোনো পড়া ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। শুধু ইংরেজী নয় বাংলা কিংবা অন্য ভাষাতেও অর্থ বুঝে না পড়লে পড়া মনে থাকে না এবং সৃজনশীল হওয়া যায় না। পড়া মনে রাখার জন্য পাঠ্যপুস্তকের অক্ষরগুলোর মানে জানা ছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থী সব সময় প্রতিদিন ৫টি করে নতুন শব্দ মনে রাখার চেষ্টা করবে মানে সহকারে। এতে করে ছাত্র- ছাত্রীদের শব্দভাণ্ডার বিশাল হবে, সৃজনশীলতা প্রকাশে অনেক সাহায্যকারী হবে। দেখা যায়, মেধাবী ছাত্ররা একটি ভাবকে নানা রকম শব্দে প্রকাশ করতে পারে।

 

১২. গল্পের ছলে পড়া বা ডিসকাশন:

——–
যেকোনো বিষয় ক্লাসে পড়ার পরসেটা আড্ডার সময় বন্ধুদের সঙ্গে গল্পের মতো করে উপস্থাপন করতে হবে। সেখানে প্রত্যেকে প্রত্যেকের মনের ভাবগুলো প্রকাশ করতে পারবে। সবার কথাগুলো একত্র করলে অধ্যায়টি সম্পর্কে ধারণাটা স্বচ্ছ হয়ে যায়। কোনো অধ্যায় খণ্ড খণ্ড করে না শিখে আগে পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে হবে। পরে শেখার সময় আলাদাভাবে মাথায় নিতে হবে। তাহলে যেকোনো বিষয় একটা গল্পের মতো মনে হবে। এখানে উচ্চতর বিদ্যায় গ্রুপ ডিসকাশন একটি অন্যতম ব্যাপার। বিভিন্ন ভার্সিটিতে টিউটোরিয়াল ক্লাস এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমরা এক বা একাধিক বন্ধুর সাথে গ্রুপ ডিসকাশন করে পড়তাম। আমি যেটি জানতাম তা বলতাম এবং অন্যরা যেটি জানত তা শুনতাম। একে অপরের মধ্যে কে কাকে পড়ার মাধ্যমে আটকাতে পারে এটি একটি প্রতিযোগিতা ছিল। তবে প্রতিযোগিতাটি অবশ্য মানসমমত ও স্বাস্থ্যকর হতে হবে। এর সবচেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল যে ছেলে এবং মেয়ে একসাথে গ্রুপে পড়লে পরে তাদের মধ্যে বিশিষ্ট সম্পর্কের জন্ম নিত।

 

১৩. মুখস্থবিদ্যাকে ‘না’

——-
মুখস্থবিদ্যা চিন্তাশক্তিকে অকেজো করে দেয়, পড়ালেখার আনন্দও মাটি করে দেয়। কোনো কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে সেটা বেশিদিন স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু তার মানে এই নয়, সচেতনভাবে কোনো কিছু মুখস্থ করা যাবে না। টুকরো তথ্য যেমন-সাল, তারিখ, বইয়ের নাম, ব্যক্তির নাম ইত্যাদি মনে রাখতে হবে-কী মনে রাখছেন, এর সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের কী সম্পর্ক তা খুঁজে বের করতে হবে। এ ছাড়া বিজ্ঞানের কোনো সূত্র কিংবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আয়ত্ত করতে সেটা আগে বুঝে তারপর মুখস্থ করতে হবে। মুখস্থবিদ্যা একেবারেই যে ফেলনা তা নয়। এটি অনেক কার্যকরও বটে। তবে সৃজনশীলতার যুগে মুখস্থবিদ্যার চেয়ে কাল্পনিকভাবে লেখা, নিজের মতো করে লেখা অত্যন্ত মেধাবী কাজ। তবে কিছু কিছু বিষয় মুখস্থ অবশ্যই রাখতে হয়। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুখস্থকে ‘না’ বলুন এবংসৃজনশীল পদ্ধতি গ্রহণ কর

আরো পড়ুন:

   
   

0 responses on "পড়া মনে রাখার কিছু কৌশল"

Leave a Message

Address

151/7, level-4, Goodluck Center, (Opposite SIBL Foundation Hospital), Panthapath Signal, Green Road, Dhanmondi, Dhaka-1205.

Phone: 09639399399 / 01948858258


DMCA.com Protection Status

Certificate Code

সবশেষ ৫টি রিভিউ

eShikhon Community
top
© eShikhon.com 2015-2024. All Right Reserved