📣চলছে প্রো-অফার!!! ইশিখন.কম দিচ্ছে সকল অনলাইন-অফলাইন কোর্সে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়! বিস্তারিত

Pay with:

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেয়া হচ্ছে

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনস-এমসিকিউ) তুলে দেয়া হচ্ছে।

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনস-এমসিকিউ) তুলে দেয়া হচ্ছে।পাবলিক পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি কমাতে এর আগে দুই দফায় ১০ নম্বর করে এমসিকিউ প্রশ্ন কমানো হয়। এবার এ প্রশ্নপদ্ধতি পুরোপুরি তুলে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূলত প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ রাখা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন করতে শতভাগ লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নে (সিকিউ) পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বড় আকারের সেমিনার আয়োজন করে সেখানে সবার মতামত নিয়ে তা চূড়ান্ত করা হবে।

উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদেশীদের পরামর্শে এমসিকিউ পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয় ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে। সব প্রস্তুতি শেষ করে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ চালু হয়।

গত কয়েকবছর যাবত বলা হচ্ছে  এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাই হচ্ছে না। এ ছাড়া ভালো ফল করতে অনেক শিক্ষক টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার হলেই শিক্ষার্থীদের সরাসরি অথবা  বোর্ডে উত্তর লিখে  দিচ্ছেন। আবার সঠিক উত্তরসহ প্রশ্নপত্র আগেভাগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তা পেয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর পাওয়া সহজ হচ্ছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চলমান এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচকভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায়  এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে  কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, এমসিকিউ পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষাবিদদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এটা ২০১৭  থেকে বন্ধ করা হবে। তখন ১০ নম্বর কমানো হয়। শিক্ষাবিদদের নিয়ে সেমিনার করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন,  শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্ন থাকলে ফেসবুকে আর উত্তর লিখে দেয়ার সুযোগ থাকবে না। মেধারও সঠিক মূল্যায়ন হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমসিকিউ তুলে দিতে আমিই সভায় প্রস্তাব করি। তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের  এসএসসি পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ চালু করা হয়। বাকি ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (সিকিউ)। ৫০ নম্বরের এমসিকিউ উত্তর দিতে প্রতি বিষয়ে ৫০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যার নাম ছিল প্রশ্নব্যাংক। ৫০ নম্বরের উত্তর দিতে শিক্ষার্থীরা ৫০০ এমসিকিউ মুখস্ত করে পরীক্ষায় বসত। তখন এমসিকিউ ও সিকিউ মিলে ৩৩ নম্বর পেলেই পাস করত। ফলে শিক্ষার্থীরা রচনামূলক অংশের লেখাপড়া বাদ দিয়ে শুধু ৫০০ এমসিকিউ মুখস্থ করত। এতে পাসের হার রাতারাতি বাড়তে থাকে। এতে শিক্ষার মান নামতে শুরু করে। এ অবস্থায় ১৯৯৬  খ্রিস্টাব্দ থেকে  নির্ধারিত ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ তুলে দেয়। তবে , এতেও কিছু হয়নি। এমসিকিউর উত্তর পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের বলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে থাকে। পরে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এমসিকিউর পূর্ণ নম্বর ৫০ থেকে কমিয়ে ৪০ করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের এমসিকিউর উত্তর বলে দেওয়ার প্রবণতা কমেনি। নকল ঠেকাতে কেন্দ্র বিনিময় প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক উত্তর বলে দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্ন কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হয়। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নানা উদ্যোগের পরও বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন উত্তরসহ ফাঁস হয়েছে।

 

 

আরো পড়ুন:

প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

   
   

0 responses on "প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেয়া হচ্ছে"

Leave a Message

Address

151/7, level-4, Goodluck Center, (Opposite SIBL Foundation Hospital), Panthapath Signal, Green Road, Dhanmondi, Dhaka-1205.

Phone: 09639399399 / 01948858258


DMCA.com Protection Status

Certificate Code

সবশেষ ৫টি রিভিউ

eShikhon Community
top
© eShikhon.com 2015-2024. All Right Reserved