
প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি, আদালতে মামলা করা হয়েছে।
কলারোয়ায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলা করেন চাকরিপ্রত্যাশী হাবিবুর রহমান। তিনি উপজেলার খোর্দ্দ-বাটরা গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বৈদ্যকে আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান অবসরে যাওয়ায় পদটি শূন্য হয়। শূন্য পদে গত ৫ নভেম্বর পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই পদে তিনিসহ ১২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সামসুদ্দিন আল মাসুদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বৈদ্য তাঁকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের কথা বলে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাছাড়া একই সময় আবুল কাশেম নামের আরেক আবেদনকারীকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
মামলার বাদী হাবিবুর রহমান আরো জানান, এক সপ্তাহ আগে গোপনে কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকৌশলে আব্দুল আজিজ নামের এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ নিশ্চিত করেন। বিষয়টি জানার পর তিনি সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘ঘুষ নিয়ে নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন আল মাসুদ বাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’
কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এ বিষয়টি আমাকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।’
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে। এ কারণে বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে।’