প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত পার্ট – 35
প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত | পরিবহন খাতে আধিপত্য বিস্তার
Commuters hit by transport tussle
দুই দিন ধরে দুটি পরিবহনশ্রমিক সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ যাত্রীকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
Caught between a power struggle of two transport worker associations over the past two days, thousands of commuters have been facing immense sufferings.
সোমবার দুপুরে বিবদমান দুই পক্ষের একটি পক্ষ মেয়র হানিফ উড়ালসড়কের ওপর আড়াআড়ি বাস রেখে দিলে এই ভোগান্তি শুরু হয়।
It began on Monday afternoon when one of the sides blocked the Mayor Hanif flyover with their buses.
এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
On Tuesday morning, long distance buses stopped plying from Saidabad bus terminal.
এ সময় মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর শ্রমিকেরা তাঁদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
People’s sufferings reached a height. The workers only withdrew their strike after 11 hours.
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান-সমর্থিত ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন ও সরকারি দলের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা-সমর্থিত ঢাকা আন্তজেলা শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে কার্যালয় দখল ও চাঁদাবাজির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
This standstill was created by a fight between the Dhaka district workers union, backed by shipping minister Shahjahan Khan, and the Dhaka inter-district workers union, supported by ruling party member of parliament Habibur Rahman Molla.They were at loggerheads over sharing toll money and possession of an office.
কারা এই কাজটি করল, লাখ লাখ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলল, তা অজানা নয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?
Will no action be taken against those who cause so much suffering and hardship for the public?
পরিবহনের চাঁদার নিয়ন্ত্রণ নিতেই সায়েদাবাদে নৈরাজ্য
As it is, Dhaka city faces terrible traffic jams.
যানজটে বিপর্যস্ত ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে সামান্য সমস্যা বা কোনো কারণে বাস চলাচল বন্ধ থাকলে যাত্রীরা অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ে।
On top of that, if there is any disruption in the bus services, the passengers face acute problems.
এরপর এখন চলছে রমজান মাস, সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
And it is the month of Ramadan, Eid is ahead.
মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে, চলছে ঈদকেন্দ্রিক নানা রকম অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
People are commuting more and the city is bustling with Eid-related economic activities.
এ রকম সময়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষকে ভোগ করতে হয়েছে অবর্ণনীয় কষ্ট।
Blocking transport at such a time causes intolerable distress.
শ্রমিক সংগঠনের নিজেদের ভাগ-বাঁটোয়ারা আর স্বার্থের দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষকে এর শিকার হতে হলো।
The general public had to suffer due to the scuffle over toll money and interests of the transport worker organizations.
বিবদমান দুটি শ্রমিক ইউনিয়নই সরকারদলীয় দুজন সাংসদের অধীনে পরিচালিত হয়, যার মধ্যে একজন আবার মন্ত্রী।
Both the transport worker unions are headed by ruling party MPs. One of them is even a minister.
তাঁদের দ্বন্দ্বের খেসারত কেন জনগণ দেবে? দিনের পর দিন এভাবেই চলে আসছে।এর যেন কোনো প্রতিকার নেই।
Why will the people pay for their differences?
This has been going on for long with no solution in sight.
দেশের পরিবহন খাত কি এভাবেই চলবে?
Is this how the transport sector will continue?
চাঁদাবাজির ভাগ-বাঁটোয়ারা ও দখল-পাল্টাদখল নিয়ে জনগণকে জিম্মি করা চলতেই থাকবে?
Will the people remain hostage to their skirmishes for power?
0 responses on "প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত পার্ট - 35"