অব্যাহত টার্গেট কিলিং
Continued targeted killings
,টার্গেট করে পরিকল্পিত খুনের ধারাবাহিকতায় সর্বসাম্প্রতিক শিকার হলেন ঝিনাইদহের পুরোহিত গোপাল গাঙ্গুলী।
And the targeted killings continue. The latest victim was Gopal Ganguly, a Hindu priest in Jhenidah.
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুন হলেন তিনজন, যার শুরুটা হয়েছিল চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার মধ্য দিয়ে।
Three people were killed in a span of just 48 hours, beginning with the murder to Mahmuda Khatun, wife of a police officer in Chittagong.
মাঝে নাটোরে খুন হয়েছেন খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার সুনীল গোমেজ।
Then Sunil Gomes, a Christian grocer in Natore, was killed.
এটা এক চরম বর্বরতা যে এ ধরনের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার যঁারা হচ্ছেন, তঁারা সবাই নিরীহ সাধারণ জনগণ।
It is despicable that all these victims of targeted killings were innocent members of the public.
একই ধরনের এই হত্যাকাণ্ডগুলোর শিকার হচ্ছেন মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী, বিদেশি নাগরিক বা ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসী লোকজন।
Basically it is members of the religious minority, persons of divergent persuasions, foreign nationals and persons of different ideologies who are being targeted.
মাঝে ব্যতিক্রম হিসেবে খুন হলেন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।
The wife of the police officer was an exception.
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের সঙ্গে একই চক্র জড়িত থাকলে ধরে নিতে হবে যে এই হত্যাকারী চক্র তাদের নিশানার আওতা বাড়িয়েছে।
If it is the same group which has killed her, that means the killers have widened their target.
সাধারণভাবে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো জড়িত রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
It is generally religious militant groups who are involved in such killings.
এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কাছ থেকে ‘দায় স্বীকারের’ ঘটনা ঘটে।
In most cases after such killings, a message is issued with the international terrorist group IS taking responsibility.
নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার ও ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনাতেও তাই হয়েছে।
This happened in the case of the Christian grocer being killed in Natore and the Hindu priest in Jhenidah.
আবার পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি।
No one took blame for killing the police officer’s wife.
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী তৎপরতার কারণেই তঁার স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা।
The police feel that she was killed in retaliation to her husband Babul Akter’s drive against militants.
অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে সরকার দাবি করে আসছে।
In the meantime, the government insists that IS does not exist in Bangladesh.
প্রশ্ন হচ্ছে এসব ঘটনা তবে কারা ঘটাচ্ছে?
The question is, who then are behind these killings?
একাধিক গোষ্ঠী জড়িত কি না বা এসব ঘটনা ঘটিয়ে তারা কীভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারছে, সেগুলো বড় প্রশ্ন হয়ে দঁাড়িয়েছে।
Are they from the same group? How do they remain out of reach?
All these questions loom large.
খুনি চক্রের এই বেপরোয়াভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামগ্রিকভাবে সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে।
This recklessness of the killers has highlighted the failure of the law enforcement as well as the government.
এসব হত্যাকাণ্ড যেমন থামানো যাচ্ছে না, তেমনি হত্যাকাণ্ডের পরও খুনিদের চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না।
It has not been possible to prevent these killings, not has it been possible to nab the killers and put them on trial.
আমরা চাই এ নিয়ে সব বিভ্রান্তি দূর হোক, খুনি চক্র চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি হোক।
All the confusion must be cleared.The killers must be identified. They must be caught and tried
=
প্রথম আলোর ইংরেজী ভার্সন অবলম্বনে।