এসএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্রে জঅনিশ্চিতঅনিশ্চিতঅনিশ্চিতনৈক প্রভাষকের অসাবধানতার কারনে কুড়িগ্রামের উলিপুরের এমএস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর মাঝে এখন চরম হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রের গেটে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে তাদের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা জানায়,গত ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষায় সিলেবাস জটিলতায় উলিপুর এমএস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের ১২ নং কক্ষে ২০১৭ সালের সিলেবাস অনুযায়ী না নিয়ে ২০১৬ইং সালের পুরাতন সিলেবাস দিয়ে জোরপূর্বক ৭ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। কক্ষে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বরত ঐ স্কুল এন্ড কলেজের ইনডেক্সবিহীন প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন ও কামরুজ্জামান শিক্ষার্থীদের সাথে এসময় অসদাচরন করেন।
প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,কর্তৃপক্ষ পাঠানো প্রশ্নপত্রেই তাদের বিতরণ করেছি। মাধ্যমিক পরীক্ষায় কলেজ শাখার কোন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান। ঘটনার দিন সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরুর নিয়ম থাকলেও ঐ কেন্দ্রের ১১, ২০ ও ২২ নং কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকগন হেয়ালীভাবে ২০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন,তদন্ত করলে সকল সত্য বেরিয়ে আসবে।এ ব্যাপারে কক্ষে দায়িত্বরত প্রভাষক নাদিরা সুলতানা, শাহিনুর রহমান, শিক্ষক মাহবুবার রহমান জানান, কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের এটির উপর গুরুত্ব না দেয়ায় এ জটিলতা সূষ্টি হয়েছে।
উমানন্দ স্কুলের এক শিক্ষার্থী ২০১৬ সিলেবাসের প্রশ্ন পত্র পেয়ে চিৎকার করে গোলমাল সৃষ্টি করলে উলিপুর এম এস স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষক পূলক চন্দ্র ১ ঘন্টা পর ২০১৭ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে পরীক্ষা গ্রহন করেন। এটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষার দিন শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অভিভাবকগন পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে অবস্থান করলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযুক্ত কক্ষগুলো পরিদর্শন করে সত্যতার প্রমান পান এবং অভিভাবকদের আশ^স্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের সবার কাছে দু:খ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী খাদেমুল ইসলাম ও আঞ্জু আরা বেগমসহ কয়েকজন জানায়, স্যারদের দায়িত্বহীনতার কারনে আশানুরুপ ফল না পাওয়ার আশঙকা করছি। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মূর্তুজা আল মুইদ অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য কেন্দ্র সচিবকে দায়ী করে দূঃখ প্রকাশ করেন এবং এটি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করান বলে জানান। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এই কেন্দ্রে ইনডেক্সবিহীন প্রভাষকদের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনা করার সময় ওএমআর শীটসহ বোর্ডে খাতা প্রেরণ করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ তলব করেন। পরে কেন্দ্র সচিবসহ অভিযুক্ত শিক্ষকরা ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান। এ ব্যাপারে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান জানান,এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে উলিপুর ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন:
0 responses on "পুরাতন সিলেবাসে পরীক্ষা এসএসসি দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত"