উচ্চ মাধ্যমিক এইচএসসি প্রাণিবিজ্ঞান : পরিবেশ ও পরিবেশ জীববিদ্যা

পরিবেশ ও পরিবেশ জীববিদ্যা

প্রারম্ভিক আলোচনা: অধ্যায়টি সহজ। একটু পড়ে নিলেই এখান থেকে আসা প্রশ্ন উত্তর করা সম্ভব।

অধ্যায় সারবস্তু:

১. বাস্তুতন্ত্র মূলতঃ দু’টি উপাদানে গঠিত। যথা-

· অজীব উপাদান

· সজীব উপাদান

 

২. একটি বাস্তুতন্ত্রে তিন শ্রেণীর খাদক পাওয়া যায়। যথা:

· মুখ্য বা প্রাথমিক খাদক: ঘাস খাওয়া প্রাণী, পতঙ্গ ইত্যাদি (মুখ্য খাদক কিন্তু সর্বোচ্চ খাদক নয়)

· গৌণ বা মাধ্যমিক খাদক: পতঙ্গভুক ব্যাঙ বা পাখি

· তৃতীয় বা টারশিয়ারি খাদক: সাপ (ব্যাঙ খায়)

· সর্বোচ্চ খাদক (যদি থাকে): ময়ুর (সাপ খায়)

৩. মৃত জীব থেকে পাওয়া জটিল জৈব যৌগসমূহ বিয়োজকগুলো (মৃতজীবী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া) বিয়োজন বা বিশ্লিষ্ট করে সরল জৈব যৌগে পরিণত করে। এই সরল জৈব যৌগ পরে আবার উৎপাদক কাঁচামাল রূপে ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করে।

৪. সরল জৈব যৌগকে ভেঙ্গে কিছু অণুজীব অজৈব যৌগে বা মৌলিক উপাদানে পরিবর্তিত করে, এদের পরিবর্তক বা রূপান্তরক বলে।

৫. কোন নির্দিষ্ট এলাকায় একই প্রজাতির জীব সমষ্টিকে পপুলেশন বা জীবগোষ্ঠী বলা হয়। আর পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত পপুলেশন বা জীবগোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে কমিনিউটি বা জীব সম্প্রদায় বলা হয়।

৬. খাদ্যচক্রে এক জীব থেকে অন্য জীবে খাদ্যশক্তি স্থানান্তরের সময় বিপুল পরিমাণ স্থিতিশক্তি তাপ হিসেবে বিনষ্ট হয়।

 

৭. খাদ্যচক্র মূলতঃ দু’প্রকার:

· গ্রেজিং খাদ্যচক্র: উৎপাদক > মুখ্য খাদক > গৌণ খাদক > টারশিয়ারি খাদক > সর্বোচ্চ খাদক

· ডেট্রিটাস খাদ্যচক্র: মৃত জীব-এর জটিল জৈবযৌগ > অণুজীব > নিম্নপর্বভুক্ত প্রাণী (কেঁচো, শামুক)

 

৮. খাদ্য পিরামিড তিন ধরনের-

· সংখ্যার পিরামিড

· শক্তির পিরামিড

· জীবভরের পিরামিড

৯. সংখ্যার পিরামিডে ভূমি থেকে যত শীর্ষের দিকে যায়, তত জীবের পরিমাণ কমতে থাকে।

১০. শক্তির পিরামিডে ভুমিতে অবস্থিত উৎপাদক স্তরের সর্বমোট শক্তির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। শীর্য়ে অবস্থিত সর্বোচ্চ খাদকের ব্যক্তিগত শক্তি বেশি আছে বলে মনে হলেও সর্বমোট শক্তির পরিমাণ কম থাকে ।

১১. জীবভরের পিরামিডের নিচ থেকে উপরের পুষ্টিস্তরের সর্বমোট জীবভর ক্রমশঃ কমতে থাকে। (শক্তির পিরামিডের মতই প্যারাডক্স)

 

১২. ভূমিকম্প বিশ্লেষণ করে তিন ধরনের সাইজমিক (Seismic) তরঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন। যথা:

· মুখ্য তরঙ্গ

· গৌণ তরঙ্গ

· পৃষ্ঠতলীয় তরঙ্গ

১৩. টেকটোনিক প্লেটে ভূস্তর গঠিত, এগুলোর সীমানাকে বলে সাবডাক্‌শন জোন, যেখানে ৯০% ভূমিকম্প সংগঠিত হয়।

 

১৪. ঘূর্ণিঝড় পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন-

· হারিকেন: উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে(আমেরিকার পশ্চিম উপকূল) , উত্তর আমেরিকার আটলান্টিক মহাসাগরে।

· টাইফুন: উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর (রাশিয়া ও জাপানের পূর্বে)

· সাইক্লোন: ভারত মহাসাগর, আফ্রিকার পূর্ব উপকূল, ইন্দোনেশিয়া, অধিকাংশ অস্ট্রেলিয়া (এই নামটা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর দেওয়া)

১৫. পরিবেশ বিপর্যয়ের বিভিন্ন কারণের মধ্যে উল্কাপাতই হচ্ছে ভয়াবহতম কারণ। (ডাইনোসোরদের বিলুপ্তির অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়)

১৬. ভূ-পৃষ্ঠের ১৪.৯ বিলিয়ন হেক্টর হচ্ছে স্থলভাগ।

প্রাণিবিজ্ঞান সকল অধ্যায় দেখতে এখানে যান

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline