নতুনদের জন্য সিপিএ মার্কেটিং-
সিপিএ মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটারদের কাছে অধিক জনপ্রিয় বিষয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি যা অনেকটা সিপিএ মার্কেটিং এর মত। আপনি হয়তো নতুন ধরণের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা শুনে থাকবেন যেখানে কোনো রকম ডিল না করেই কাজ করে টাকা পাওয়া যায়,তাকে আমরা সিপিএ মার্কেটিং বলে থাকি।এ ধরণের অনলাইন মার্কেটিং করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।এজন্যই একে বলা হয়ে থাকে কস্ট পার অ্যাকশন তার মানে যে কোন অ্যাকশন ফুলফিল হলেই আপনি কমিশন পাবেন। আপনারা সবাই হয়তো জানেন Amazon অথবা Clickbank.com এর প্রোডাক্ট প্রমোট করে রেভিনিউ শেয়ারের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় । কিন্তু সি. পি. এ. মার্কেটিং তার থেকে অনেক সহযে এবং অনেক কম কাজ করেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আরো দেখুন:সিপিএ (CPA) মার্কেটিং কি?
সিপিএ মার্কেটিং মূলত যে বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে-
- ভিজিটরদের ইমেইল প্রবেশ করা বা শুধু জিপ কোড প্রদান করা
- টুলবার, সফটওয়্যার বা গেইম ডাউনলোড করা
- সাইটে সাইন আপ করা
- অনলাইন কোনো গেইমের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করা
- নিউজলেটারের জন্য সাইন আপ করা, ইত্যাদি।
কেন সিপিএ মার্কেটিং করবেনঃ
বর্তমানে অনেকে অনলাইনে অনেকভাবে আয় করছেন- ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে। আপনি হয়ত জানেন ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে যথেষ্ট দক্ষতার পাশাপাশি বিড করে ইন্টারভিউ দিয়ে কাজ পেতে হয়। যদিও সিপিএ মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে পড়ে তারপও অনলাইন মার্কেটিং বলতে প্রধানত এফিলিয়েট মার্কেটিংকেই বোঝায়। সংক্ষেপে এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য কারো একটি প্রোডাক্টকে সেল করে কমিশন লাভ করা। এক্ষেত্রে নতুনদের জন্য সমস্যা হলো কারো কাছে সেল করা। অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং আয়ের আয়ের অনেক ভাল একটি মাধ্যম বলে মনে করা হয়। তবে এটা নতুনদের জন্য নয় একটু জটিল। সিপিএ মার্কেটিং সহজ নতুনদের জন্য সহজ।কিন্তু কেন সহজ? এক কথায় বলতে গেলে সিপিএ মার্কেটিং এ ইমেইল সাবমিট, জিপ সাবমিট, ক্রেডিট কার্ড সাবমিট, ডাউনলোড, ইনস্টল ইত্যাদি করতে ভিজিটরকে কোন টাকা খরচ করতে হয় না। আর জন্যই সিপিএ মার্কেটিং বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয়। সুতরাং সিপিএ মার্কেটিং শুধু নতুনদের জন্য নয় সবার জন্যই হতে পারে অনলাইন উপার্জনের সেরা মাধ্যম।
উপযুক্ত স্থান বেছে নিন-
নতুনদের সিপিএ মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমেই একটি উপযুক্ত স্থান বেছে নিতে হবে। আপনার উচিৎ সিপিএ মার্কেটিং এর ভালো স্থানগুলো সম্পর্কে রিসার্চ করে তারপর যেটি আপনার কাছে সহজ মনে হবে সেটি ফলো করা। অবশ্যই এই বিষয়ে ধারণা নিতে হবে।চাইলে এই সাইটগুলোতে ভিজিট করতে পারেন, ‘Affplus.com; ‘Odigger.com; এবং ‘OfferVault.com’।
সিপিএ নেটওয়ার্কে আপনার অ্যাকাউন্ট এপ্রোভ করবেন কিভাবে-
আপনি কোনো সিপিএ নেটওয়ার্কে সাইন আপ করলেন কিন্তু আপনার সাইন আপ করা অ্যাকাউন্ট এপ্রোভ করবেন কিভাবে? আসলে অনেক সিপিএ নেটওয়ার্ক আছে যেখানে নতুন অ্যাকাউন্ট এপ্রোভ করতে তেমন কিছুই করা লাগবে না।
আরো দেখুন:সিপিএ মার্কেটিংয়ের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন
তবে মূল কথা হচ্ছে আপনাকে সৎ হতে হবে অবশ্যই ।যদি আপনি কোনো মিথ্যা ইনফরমেশন ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট এপ্রোভ হবে না। কারণ সাইন আপ করার সময় আপনার অনেক ধরণের ইনর্ফমেশন তারা জানতে চাইবে যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনি তখন মিথ্যার আশ্রয় নিলে তাদের বুঝতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
আবার অনেক সিপিএ নেটওয়ার্ক আছে যেগুলোতে সাইন আপ করার পর একটা ভাইবা দিয়ে পাস করলে, তখন অ্যাকাউন্ট এপ্রোভ করা হয়। এগুলো বিগেনার বা নতুন যারা কাজ শুরু করেছে তাদের জন্য না।
অফার গুলো প্রোমট করবেন কিভাবে-
যখন সিপিএ নেটওয়ার্ক সাইটে আপনি এপ্রভাল পাবেন তখন সাইটে লগিন করলে আপনি আপনার ড্যাশবোর্ড পাবেন। ড্যাশবোর্ডে গিয়ে আপনার পছন্দমত অফার বাছাই করতে পারবেন। সেই অফারে আপনার লিংকটি পাবেন। সেই লিংকটিই আপনি প্রোমট করবেন। ধরুন, আপনার পছন্দ গেম নিয়ে কাজ করা। তাহলে আপনি গেমি এর অফারগুলো বাছাই করবেন। এরপর গেম রিলেটেড জায়গায় আপনার লিংকটি প্রোমট করবেন।
আরো দেখুন:সিপিএ মার্কেটিং শিখুন
বর্তমান সময়ে বড় বড় মার্কেটাররা সিপিএ নিয়ে উঠেপরে লেগেছেন। তারা পেইড ক্যাম্পেইন করে অফারগুলো প্রোমট করছেন। আবার অনেক সফল মার্কেটার আছেন যারা এখনো ফ্রি ট্রাফিক বা ভিজিটর এর কাজ করে যাচ্ছেন। সুতরাং আপনিও শুরু করতে পারেন ফ্রি ট্রাফিক দিয়ে এবং নতুনদের জন্য ফ্রি ট্রাফিকই রিকমেন্ড করা হয়। ফ্রি ট্রাফিক সোর্সের মধ্যে রয়েছে- ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং, ব্লগ কমেন্টটিং, ফোরাম পোস্টিং, আর্টিকেল মার্কেটিং এবং সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং যেমন- ফেসবুক, টুইটার পিন্টারেস্ট ইত্যাদি। তবে অবশ্যই স্প্যাম করে নয়। দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করে অগ্রসর হতে হবে। তবে বর্তমান সময়ে ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়। সংক্ষেপে ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং- আপনার অফার রিলেটেড ভিডিও বানান, ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি কর, সেখানে ভিডিওটি আপলোড কর, ভালো একটি টা্ইটেল দিন, ডিস্ক্রিপশন লিখুন এবং সেখানে আপনার অফারের লিংক দিন। এরপর আপনার ভিডিওটি বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার কর। তবে ইউটিউব এর ডিফল্ট শেয়ার গুলোই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং এ আরেকটা বোনাস হলো গুগল এডসেন্স থেকে আয়। সুতরাং একসঙ্গে আপনি দুইটা উপার্জন করতে পারছেন।
আরো দেখুন:সিপিএ মার্কেটিং কেন শিখবেন ?
কোথায় শিখবেন সিপিএ(CPA) মার্কেটিং-
বর্তমানে সিপিএ মার্কেটিং শেখায় এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখান থেকে আপনি সিপিএ কোর্সটি করতে পারেন। তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সব ট্রেইনিং সেন্টার সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারছে না। এক্ষেত্রে আপনি ইশিখন থেকে ঘরে বসে অনলাইনে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে সিপিএ কোর্সটি করতে পারেন। কারণ- ইশিখনে রয়েছে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এমন কিছু প্রফেশনাল ট্রেইনার। ইশিখন থেকে কোর্স করলে যারা হবে আপনার ট্রেইনার। এছাড়াও ইশিখন থেকে কোর্স করলে আপনি কোর্স সম্পর্কিত অন্যান্য সকল সুবিধাসমূহ পাবেন।
আরো দেখুন:সিপিএ মার্কেটিংয়ে সহজেই ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব
সিপিএ(CPA) মার্কেটিং এর বিশেষ সুবিধা-
- লাইভ ক্লাস মিস করলে পরের দিন কোর্সের ভেতর উক্ত ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং ও আলোচিত ফাইল সমুহ পাবেন।
- লাইভ ক্লাসের সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও কোর্স, ( শুধুমাত্র এই ভিডিও কোর্সই অনেক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে।)
- প্রতিটি ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। (প্রতিটি এসাইনমেন্ট এর জন্য ১০ মার্ক) প্রতিটি ক্লাসের লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রাকটিজ ফাইল পাবেন এবং কনটেন্ট পাবেন।
- প্রতিটি ক্লাসের প্রথম ১৫ মিনিট আগের ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধান হবে, পরের ১ ঘন্টা মুল ক্লাস শেষ ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রতিটি ক্লাসের শেষে ১০ নাম্বারের মডেল টেস্ট।
- এই মডেল টেস্ট মার্ক এবং এসাইমেন্ট মার্ক ও নিয়মিত উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট এর মান নির্ধারণ হবে।
- কোর্স শেষে সার্টিফিকেট
- লাইভ ক্লাস সমুহের ডিভিডি ।
1 responses on "নতুনদের জন্য সিপিএ মার্কেটিং"