তীব্র বেগে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফনি।
শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে ভারতের ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। শুক্রবার গভীর রাতে যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে।
এরপর এটি শুক্রবার রাতেই বাংলাদেশে ১২০ কিমিরও বেশি গতিতে আঘান হানবে।
ঘূর্ণিঝড় ফণি হতে সর্তক থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ইশিখন ধারাবাহিকভাবে আপনাদের জন্য ঘুর্ণিঝড় সর্ম্পকিত যাবতীয় পোস্ট করবে।
১০ বছর আগে ভারত ও বাংলাদেশে আছড়ে পড়েছিল আয়লা। তার গতি ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের ধারে কাছে। ঝড়ের দাপটে খুলনা, বাঘের হাটের সুন্দরবন অঞ্চলে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। নদীবাধ ভেঙে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে, এ বার সব রকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রশাসন যথাসম্ভব চেষ্টা করে চলেছে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে। তার পাশাপাশি একটু সতর্ক যদি আমরা নিজেরাও হই, তা হলে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে অনেক সহজেই। কী সেই সতর্কতা?
ঘূর্ণিঝড়ের আগে, তাণ্ডব চলার মধ্যে এবং ঝড় থেমে যাওয়ার পর কী করবেন আর কী করা উচিত নয়, তা দেখে নিন
ঘূর্ণিঝড়ের আগে:
যথাসম্ভব নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা কর। এই সময়ে অনেক গুজব রটে। সে সবে কান দেবেন না। লোকের মুখের কথা না শুনে শুধুমাত্র সরকারি বার্তায় বিশ্বাস রাখুন। ঝড়ে গাছ পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। তাই নিজের মোবাইল ফোন আগেই সম্পূর্ণ চার্জ দিয়ে রাখুন। বিপদের সময় যে কোনও মুহূর্তে মোবাইলের দরকার হতে পারে। পোষ্যদেরও বাড়ির ভিতর নিরাপদ স্থানে রেখে দিন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময়:
ঝড় শুরু হলে প্রথমেই বাড়ির ভিতরের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিন। তা নাহলে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঘরের দরজা-জানলা ভাল করে বন্ধ রাখুন। পরিস্রুত জল খান। ঝড়ের সময় যদি রাস্তায় থাকেন, তা হলে যত দ্রুত সম্ভব কোনও সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নিন। গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির নীচে দাঁড়াবেন না।
ঘূর্ণিঝড়ের পর:
ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে এমন কোনও বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না। ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত দেবেন না।