এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কারণে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেনা পটুয়াখালীর তালতলী দক্ষিণ ঝাড়াখালী ছালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। এ অভিযোগে শিক্ষক মাওলানা আসাদুজ্জামানের (ইউসুফ) বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পিতা হাবিবুর রহমান। তবে শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, তালতলী উপজেলার দক্ষিন ঝাড়াখালী ছালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসার মাওলানা আসাদুজ্জামান (ইউসুফ) পাশ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলেকে পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের মাদ্রাসায় ভর্তি করান। নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার বাসায় এসে রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা নেন ওই শিক্ষক। কিন্তু দাখিল ফরম পূরণকালীন হাবিবুর রহমানকে জানানো হয়, তার ছেলের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি। মাদ্রাসা বোর্ড হতে স্পেশালভাবে রেজিস্ট্রেশন করে আনতে ত্রিশ হাজার টাকা লাগবে বলে তিনি জানান।
শিক্ষক মাওলানা আসাদুজ্জামানের কথায় আস্থা রেখে কোচিং ক্লাসের খরচসহ মোট পয়তাল্লিশ হাজার টাকা প্রদান করেন অভিভাবক হাবিবুর রহমান। অথচ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেও ছেলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় হাবিবুর রহমান টাকা ফেরত চাইলে শিক্ষক আসাদুজ্জামান টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা হাবিবুর রহমান সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা শিক্ষক আসাদুজ্জামান (ইউসুফ) এর নামে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
হাবিবুর রহমান এ ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষকের কারণে তার ছেলে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। শিক্ষা জীবন পড়েছে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। তিনি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আসাদুজ্জামান (ইউসুফ) জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক। মাদ্রাসার আর্থিক লেনদেন করেন সুপার ও অফিস সহকারী। তাঁকে হয়রানী করার জন্য এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
0 responses on "দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পিতা"