ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার দিনে সিসিটিভি ক্যামেরা ৩২টি সচল এবং বাকি ৪টি নষ্ট ছিল

ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার দিনে সিসিটিভি ক্যামেরা ৩২টি সচল এবং বাকি ৪টি নষ্ট ছিল

ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার দিনে সিসিটিভি ক্যামেরা ৩২টি সচল এবং বাকি ৪টি নষ্ট ছিল। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মোট ৩৬টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার দিনে (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট ছিল। অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সর্বমোট ৩৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। হামলার দিনে এ ক্যামেরাগুলোর মধ্যে ৩২টি সচল এবং বাকি ৪টি নষ্ট ছিল। নষ্ট ৪টি ক্যামেরার মধ্যে একটি ভাইস চ্যান্সেলর বাংলোতে ঢোকার মুখে, একটি গেস্ট হাউসের সামনে, একটি ইউনিভার্সিটি সেন্টারের সামনে এবং অন্যটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে স্থাপিত।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য গ্লোবাল ট্রেড করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা সরবরাহ করা হয় বলে জানিয়েছেন শাবি ক্যাম্পাসের একজন তত্ত্বাবধায়ক ও সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মো. দুলাল আহমেদ।

এদিকে হামলার ঘটনাস্থল মুক্তমঞ্চের চারদিকে মোট ৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। মুক্তমঞ্চের সামনে হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড ও মুক্তমঞ্চের উত্তরে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং ‘এ’ এর সামনের অংশের জন্য একটি, মুক্তমঞ্চের বিপরীত দিক পশ্চিমে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একটি এবং অন্যটি বামে দক্ষিণ দিকে ফুডকোর্ট এলাকার জন্য। তবে সেগুলো একটু দূরে এবং মুখ অন্যদিকে ঘোরানো থাকায় মুক্তমঞ্চ পুরোপুরি ক্যামেরার আওতায় আসেনি।

শাবি প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় সবসময় সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রয়েছে। মাঝে মাঝে ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যায়, সেটা জানার পরপরই আবার ঠিক করানো হয়। তবে ঘটনার দিনে কয়টা ক্যামেরা নষ্ট ছিল, তা জানাতে পারেননি তিনি।

হামলার ঘটনার দিনের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে জানা যায়, সকাল প্রায় ১০টায় শাবির প্রধান ফটক দিয়ে বাইসাইকেলে করে ক্যাম্পাসে ঢোকে হামলাকারী ফয়জুল। ৯টা ৫২ মিনিটে (চেতনা-৭১ এর সিসি ক্যামেরার সময়) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চেতনা-৭১’ এ পৌঁছায় সে। এর দুই মিনিট আগে ৯টায় ৫০ মিনিটে (চেতনা-৭১ এর সিসি ক্যামেরার সময়) অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হেঁটে ‘চেতনা-৭১’ অতিক্রম করেন। সকাল ১০টায় ৬ মিনিটে (এনবিআর টাইম)তিনি শাবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে পৌঁছান। তবে ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীকে এখানে দেখা যায়নি।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে দু’জন পুলিশ ও দু’জন শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকরা হলেন ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষক জিবেস কান্তি সাহা এবং রিতেশ্বর তালুকদার।

জিবেস কান্তি সাহা এবং রিতেশ্বর তালুকদার জানান, তারা আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে ‘ইইই’ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অধ্যাপক জাফর ইকবাল স্যারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে যান। অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ২টা-সোয়া ২টার দিকে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং ‘বি’ এর পাশের টং-এ (খাবারের দোকান) স্যারের সঙ্গে চা পান করেন। পরবর্তীতে বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তারা।

 

 

আরো পড়ুন:

জাফর ইকবালের ওপর হামলার দ্রুত বিচারের দাবি উপাচার্যের

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline