ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কি, কেন পড়বেন, কারা পড়বেন

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কি

প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে মানুষের সমস্যাবলী সমাধান এবং জীবনকে সহজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োগ। প্রকৌশলীগণ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করবার জন্য তাঁদের কল্পনাশক্তি, বিচারক্ষমতা এবং যুক্তিপ্রয়োগক্ষমতা ব্যবহার করেন। এর ফলাফল হচ্ছে উন্নততর নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু ও নিত্যব্যবহার্য কর্মপদ্ধতির আবির্ভাব যেটি প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করে দেয়।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের পর যে কেবল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হলেই বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্ভব।

তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা থাকে এখানে। এ দুয়ে মিলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি। চার বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির পর। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন?

বিশ্বের যে সব দেশ কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সেই সব দেশ তত বেশি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের কর্মধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশের সকল শ্রেণির শিক্ষিত জনগোষ্ঠি সমন্বিত অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে কারিগরি শিক্ষা।

বিশেষ করে মধ্যমস্তরের কারিগরি শিক্ষা। অর্থাৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নের এটি সরাসরি কারিগরি ও দক্ষ জনশক্তি ব্যবহারের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠির সম্পৃক্ততার হারের উপর গড় বাৎসরিক মাথাপিছু আর্ন নিবিড়ভাবে নির্ভরশীল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করায় আজ তারা উন্নত বিশ্বের কাতারে অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আর এ কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব।নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একমাত্র এবং পরিক্ষিত মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা। সারা বিশ্বে জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা বেশ জনপ্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সেমিস্টার পদ্ধতিতে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কেননা এ কোর্স সম্পন্ন করে সরকারি চাকরিতে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করা যায়।

সরকারি-বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানেরও রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ। আর কেউ উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাইলে সে সুযোগতো রয়েছেই।

ডিপ্লোমা পাশ করার পর B.Sc ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ ছাড়াও ২ বছরের A.M.I.E পরীক্ষার মাধ্যমে B.Sc ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর মর্যাদাপূর্ণ চাকরি অথবা পছন্দমত ব্যবসা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট সারা বিশ্বে স্বীকৃত।

সেশনজট মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।

কারা পড়বেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রথমেই বলতে হয় যাদের আর্থিক সমস্যা আছে অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ার ভয় আছে কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রচুর ইচ্ছা আছে। এখানে আসার পর আপনি যদি ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে ওয়াল্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর দেওয়া হবে ৪৮০০টাকা শিক্ষা বৃত্তি এছাড়াও মোটামুটি রেজাল্ট হলেই পাবেন ৯০০ টাকা বৃত্তি যেটি দিয়া আপনি চালিয়ে যেতে পারেন আপনার পড়ালেখার খরচও । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে যেকোন একটা চাকরি পাবেন আর চাকরির পাশাপাশি খুব সহজেই নরমাল কোন একটা ইউনিভার্সিটি থেকে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং করে নিতে পারবেন । কাজ শেখার ইচ্ছা শক্তি থাকলে অবশ্যই শিখতে পারবেন কারণ পলিটেকনিকে এমন কিছু ইন্সট্রুমেন্ট আছে যেগুলো অনেক নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও নেই।

কাদের আসার কোন প্রয়োজন নাই

পাবলিক কোন ইউনিভার্সিটি তে চান্স না পেলেও প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে বি.এস.সি করে নিতে পারবেন তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজন নেই, কারণ ডুয়েট ছাড়া অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নেওয়ার কোন সুযোগ নাই যদিও কিছু কিছু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ আছে বলে আমি জানি তারপরেও সব সাবজেক্ট এর জন্য এখন পর্যন্ত উন্মুক্ত করা হয় নাই, আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও ভালো কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন না, আর যদিও হন তাহলে একেতো খরচ আছে সাথে আবার সেই ৪ বছর ধরে বিএসসি করতে হবে আর নরমাল কোন ইউনিভার্সিটিতেই ডিপ্লোমাদের জন্য আইইবি অনুমোদন নেই।

যাদের ইচ্ছা আছে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজনই নাই কারন ডিপ্লোমাতে উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার যতটা সুযোগ আছে তারথেকে হাজারগুন বেশী সুযোগ আছে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে যাওয়ার । আর যদিও ডিপ্লোমা কম্পিলিট করে যান তবে খরচও সেই একই লাগবে এবং সুযোগও সেই একই পাবেন মাঝেদিয়ে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে অতি মূল্যবান ২টি বছর আর যদি কোন আন্দোলন হয় তাহলেতো ৩ বছরও হারিয়ে যেতে পারে ।

মন্তব্য করুন

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below

Jannatul Ferdous
Jannatul Ferdous

Course Counsellor

I am online

I am offline

Md. Shamim Sweet
Md. Shamim Sweet

Course Counsellor

I am online

I am offline

Mehedi Hasan
Mehedi Hasan

Technical Support

I am online

I am offline

Rezaul Hasan Sarker
Rezaul Hasan Sarker

Course Counsellor

I am online

I am offline

Ariful Islam Aquib
Ariful Islam Aquib

Course Counsellor

I am online

I am offline

Syeda Nusrat
Syeda Nusrat

Course Counsellor

I am online

I am offline