২০১৮ সালের মধ্যভাগ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত হবে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সেশনজট ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেশনজট মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ নামে এক বিশেষ একাডেমিক প্রোগ্রাম চালু করে। এ প্রোগ্রাম অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় অধিভুক্ত স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কলেজে পাঠদানকারী শিক্ষকগণের জন্য বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ২য় ব্যাচের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব্ কথা বলেন।
ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কোনো সেশনজট নেই। ২০১৩ সালের পূর্বে যারা ভর্তি হয়েছিল তাদের জীবনে ছিল দুর্বিষহ সেশনজট।
২৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এ প্রশিক্ষণে ইংরেজী, পদার্থবিজ্ঞান, সমাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রশিক্ষণে ১৬০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করছেন।
এ অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান, ইংরেজী, পদার্থবিজ্ঞান, সমাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সম্মানিত কোর্স এডভাইজার প্রফেসর ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, প্রফেসর শাকের আহমেদ, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হোসেন ও প্রফেসর ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।
আরো পড়ুন: