চূড়ান্ত প্রাথমিকের নতুন প্রশ্ন কাঠামো

চূড়ান্ত হয়েছে প্রাথমিকের নতুন প্রশ্ন কাঠামো।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দিয়ে পরিমার্জিত প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির এক আদেশে এ বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় কর্মশালায় পরিমার্জিত এই প্রশ্নপত্রের কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়।

প্রতিটি বিষয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বাদ দিয়ে সেখানে নতুন ধারার প্রশ্ন যুক্ত করে এবার থেকে প্রাথমিক সমাপনীর প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। এমসিকিউ প্রশ্ন বাদ দেওয়া হলেও পরীক্ষার সময় আগের মত আড়াই ঘণ্টাই থাকবে।

গত বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা পরীক্ষার সকালে ফাঁস হয়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।

এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি এবং এবারের এসএসসি পারীক্ষাতেও। প্রশ্নফাঁস মহামারি আকার ধারণ করায় প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক আগে প্রশ্নফাঁস হলে সেখান থেকে সহজেই বহু নির্বাচনী অংশের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে।

বাংলাদেশে এসএসসিতে এমসিকিউ প্রশ্ন প্রবর্তন করা হয়েছিল ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে । তখন মোট ৫০টি বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো; প্রতিটির জন্য বরাদ্দ ছিল ১ নম্বর করে। দীর্ঘদিন ওই ব্যবস্থা চলার পর প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এখন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ কমিয়ে আনছে সরকার। আর এবার থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্নে।

প্রাথমিক সমাপনীতে সৃজনশীল প্রশ্নের হার গত কয়েক বছর ধরেই ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছিল। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতি বিষয়ে ৬৫ শতাংশ এবং ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ৮০ শতাংশ প্রশ্ন ছিল যোগ্যতাভিত্তিক, বাকি প্রশ্ন ছিল সনাতন ধরনের। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে সারা দেশে এক সঙ্গে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরুর পর ২০১২ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মত ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৫ শতাংশ এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ৫০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা হয়। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয় চিন্তা করে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে এই পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক কর

 

 

আরো পড়ুন:

চলতি বছর থেকে প্রাথমিক এমসিকিউ প্রশ্ন বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

প্রাথমিক পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন বাদ দিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline